‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে পাহাড়ের বিরোধপূর্ণ ভূমি নিয়ে শুনানির কার্যক্রম আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে।’ বলেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি সার্কিট হাউজে কমিশনের সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় আনোয়ার আল হক বলেন, ‘রাঙামাটি জেলা পরিষদের ভবনে আমাদের নতুন শাখা অফিস হচ্ছে। সেখানে আগামীতে সভাসহ যাবতীয় কাজ করা হবে। খাগড়াছড়িতে আমাদের প্রধান অফিস এবং রাঙামাটি ও বান্দরবানে আমাদের শাখা অফিস থাকবে।’
আলোচনা সভায় চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, ‘আমরা ন্যায় ও ন্যায্যভাবে ভূমি নিয়ে সমাধান দিতে পারবো। বিধিমালার বিষয়ে আঞ্চলিক পরিষদ সরকারকে যে পরামর্শ দিয়েছে তা গ্রহণ করেই যেন সেটি প্রণয়ন করা হয়। এতে আমাদের কাজের জন্য সুবিধা হবে।’
সভা শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) বলেন, ‘ভূমির জটিলতা নিয়ে এখানকার সাধারণ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা, উন্নয়ন– সবকিছু জড়িত। চুক্তির ২২ বছর পরও এখনও ভূমি ব্যবস্থাপনা জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত হয়নি। এখনও অনেক জটিলতা রয়ে গেছে। আশা করি, ভূমি কমিশন চেষ্টা করবে এই জটিলতার মধ্যে সুষ্ঠু সমাধান দেওয়ার।’
সভা শেষে জেলা পরিষদের নতুন ভবনে ভূমি কমিশনের শাখা অফিস পরিদর্শন করেন কমিশনের কর্মকর্তারা।
এর আগে, বিরোধপূর্ণ ভূমি নিয়ে দরখাস্ত আহ্বান করা হলে দু দফায় তিন পার্বত্য জেলায় তিন হাজার ৯৩৩টি আবেদন জমা পড়ে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।