চা-শ্রমিকদের জীবন মান দেখতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ৩টি বাগানের চা শ্রমিকদের বসত ঘর ও একটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন নিম্নতম মজুরি বোর্ড চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুল ইসলাম ও বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দিনব্যাপী নিম্নতম মজুরি বোর্ড চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সদস্যরা কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর চা বাগান, কানিহাটি চা বাগান,কানিহাটি ডানকান ব্রাদার্সের ক্যামেলিয়া ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও মাধবপুর ইউনিয়নের পদ্মছড়া চা বাগান পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রথম ১৭ অক্টোবর ২০১৯ চা শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে তা গেজেটভুক্ত করা হয়েছে। নিম্নতম মজুরি বোর্ডে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাম ভজন কৈরীকে সদস্য করা হয়। গত ১৯ নভেম্বর এই মজুরি বোর্ডের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার দুপুর থেকে নিম্নতম মজুরি বোর্ড চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুল ইসলাম ও জেমস ফিনলে টি কোম্পানির সিইও তাহসিন এ চৌধুরী, বোর্ড সদস্য রাম ভজন কৈরী শমশেরনগর, কানিহাটি ও পদ্মছড়া চা বাগান পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও চা শ্রমিক নেত্রী গায়ত্রী রাজভর, নির্মল দাশ পাইনকা,সীতারাম বীন, গোপাল কানুসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মজুরি বোর্ড চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বেশ কয়েকটি শ্রমিক ঘর পরিদর্শন করে চা শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের জীবন মান নিয়ে কথা বলেন।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলাই ভ্যালির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা ও চা শ্রমিক নেতা সীতারাম বীন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে চা শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাই চা শ্রমিকরা এই বোর্ডের কাছে দৈনিক মজুরি কমপক্ষে ৩০০ টাকা করার দাবি করছেন। সরেজমিন বোর্ড চেয়ারম্যান ও সদস্যরা চা শ্রমিকদের জীবন মান প্রত্যক্ষ করেছেন। তাই আশা করা যায় এরপর চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি সম্মানজনক পর্যায়ে নির্ধারিত হবে।’
নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সদস্য রাম ভজন কৈরী বলেন, ‘বোর্ড চেয়ারম্যানের পরিদর্শন ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মজুরির বিষয়ে চা শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক। এক ধাপে না হলেও পর্যায়ক্রমে চা শ্রমিকদের দাবি পূরণ করবে বোর্ড।’