X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

এমপি লিটন হত্যা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৭ আসামির কার কী দায়?

জিল্লুর রহমান পলাশ, গাইবান্ধা
০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৩:৫৮আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:০২

মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন

 

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যা মামলার রায়ে আট আসামির মধ্যে সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সাত আসামির মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চন্দন কুমার পলাতক (ভারত) রয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত কসাই সুবল কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বহুল আলোচিত এই মামলায় বিচার কার্যক্রম শুরুর দেড় বছরের মাথায় বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে রায় ঘোষণা করেন গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অস্ত্র আইনে করা মামলার রায় হয়েছে গত ১১ জুন। রায়ে একমাত্র আসামি সাবেক এমপি (অব.) কর্নেল আবদুল কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

হত্যার ঘটনায় সাত আসামিদের কার কী ভূমিকা ছিল, তা সাক্ষ্য ও তথ্য-প্রমাণসহ জবানবন্দির ভিত্তিতে প্রমাণিত হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। তাই দণ্ডবিধির ১২০-বি এবং ৩০২/৩৪ ধারায় রায় দিয়েছেন আদালত। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, রেকি করাসহ সহযোগিতা ও বাস্তবায়ন পর্যন্ত আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। আদালতে তা প্রমাণিত হয়েছে।

মামলার অভিযোগপত্র ও আদালতে বিচার কার্যক্রম অনুসারে দণ্ডপ্রাপ্ত ৭ জনের মধ্যে কার কী ভূমিকা ও অভিযোগের ধরন দায় ও পরিচয় উল্লেখ করা হলো−

১. কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খান: এমপি লিটন হত্যকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আবদুল কাদের খান। রাজনৈতিক কোন্দল, আধিপত্য বিস্তার ও এমপি হওয়ার মোহেই লিটনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন কাদের খান। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া কিলারদের অর্থ সহায়তা ও নানা প্রলোভন দেখান তিনি। কিলারদের এক বছর ধরে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ঠান্ডা মাথায় ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে লিটনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। ঢাকা থেকে গাইবান্ধা আসার পথে গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে লিটনকে হত্যা এবং বামনডাঙ্গার দলীয় অফিসের টয়লেটে গেলে গুলি করাসহ তিনটি পরিকল্পনা করলেও নিজেদের মতানৈক্য না হওয়ায় তা ভেস্তে যায়। পরে ২০১৬ সালের শুরুতে নিজ বাড়িতেই গুলি করে হত্যার নতুন ছক কষেন কাদের খান। শুধু এমপি লিটন নয়, নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সরিয়ে দিতে তিনি স্থানীয় আরও কয়েকজনকে হত্যার টার্গেট করেছিলেন। টার্গেটের এক নম্বরেই ছিলেন এমপি লিটন।

এই হত্যাকাণ্ডের ৫২ দিনের মাথায় ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার বাসা থেকে তাকে  গ্রেফতার করা হয়। এর আগে তাকে পাঁচদিন নজরদারিতে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গ্রেফতারের পর ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই তিনি আদালতে হত্যার দায় এবং সব পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

২. রাশেদুল ইসলাম ওরফে মেহেদী হাসান: মেহেদী হাসান (২৬) সুন্দরগঞ্জের উত্তর সমস কবিরাজপাড়ার আবদুল করিমের ছেলে। মেহেদি হাসান প্রধান আসামি আবদুল কাদের খানের ভাতিজা। হত্যা মিশনে অংশ নেওয়া প্রশিক্ষিত চার কিলারের মধ্যে মেহেদি প্রধান ছিল। সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা অনুযায়ী এমপি লিটনকে গুলি করে হত্যা নিশ্চিতের দায়িত্ব ছিল মেহেদীর। হত্যা বাস্তবায়নে দুটি মোটরসাইকেলে করে লিটনের বাড়ি পৌঁছায় মেহেদী, শাহীন, রানা ও হান্নান। শাহীন ও রানা বাড়ির উঠানে ‘লিটনের বৈঠকখানা’ গিয়ে পরিচয় দিয়ে কথা বলতে থাকে। এসময় মেহেদি বৈঠকখানার দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের দুইজনের কথা বলার সময় ঘরে ঢুকেই ছালাম দিয়ে বিছানায় শুয়ে থাকা লিটনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মেহেদী, যা লিটন হাত দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করলে মেহেদী ঘাবড়ে যায়। পরপর চোখ বন্ধ করে লিটনের বুক ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি আরও চারটি গুলি ছোড়ে মেহেদী। লিটনকে হত্যায় ৭.৬৫ বোরের গুলি ভর্তি পিস্তল ব্যবহার করে মেহেদী। হত্যা নিশ্চিতের পর ডায়াং ব্রাউন্সার রানার ১০০ সিসির কালো রঙের মোটরসাইকেলে চড়ে দ্রুত পালায় মেহেদী। ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করা হলে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় মেহেদী।

৩. শাহীন মিয়া ওরফে শান্ত: স্থানীয়ভাবে ক্যাবল (ডিশ) ব্যবসায়ী শাহীন (২৫) সুন্দরগঞ্জের বেকাটারি গ্রামের ওসমান গণির ছেলে। কাদের খানের বাসার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে পরিচিত শাহীন। হত্যা মিশনের পরিকল্পনায় শাহীন ও রানার দায়িত্ব ছিল লিটনের সঙ্গে গল্প করার। সেই অনুযায়ী লিটনের ঘরে সোফায় বসে নিজের পরিচয় তুলে গল্প করছিল শাহীন। গল্পের ফাঁকে মেহেদী গুলি চালানোর পরপরই ঘর থেকে দৌড়ে বের হয়ে মোটরসাইকেল ওঠে। এসময় আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ধাওয়া করলে তার কাছে থাকা পিস্তল উঁচিয়ে ফাঁকা গুলি ছোড়ে শাহীন। কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল ত্যাগের সময় শাহীনের মাথায় থাকা কালো রঙের ক্যাপ পড়ে যায়। হত্যা মিশন বাস্তবায়নে চার কিলারের মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকা শাহীন হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করেছে। সেও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে শাহীন হত্যাকাণ্ডে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা ও ব্যবহৃত পিস্তল নিজের কাছে থাকার কথা স্বীকার করে।

৪. আবদুল হান্নান: কাদের খানের ব্যক্তিগত গাড়িচালক আবদুল হান্নান (৩০) বগুড়ার শাহাজানপুরের কামারপুর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে। গাড়িচালক হিসেবে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকায় এ হত্যাকাণ্ডে হান্নানের ভূমিকা ছিল অন্যতম। প্রধান কিলার মেহেদীকে মোটরসাইকেলে করে লিটনের বাড়ির উঠানে নামিয়ে দেয় হান্নান। এরপর মোটরসাইকেলের ওপরে বসে অপেক্ষা করে। অপেক্ষার সময় লিটনের বাড়ির সামনের গাব গাছের অদূরে খেলাধুলা করা শিশু-কিশোরদের বাড়ি যেতে বলে হান্নান। কিছুক্ষণ পরেই লিটনকে গুলি করে দৌড়ে এসে মোটরসাইকেলে বসে মেহেদী। এরপর মোটরসাইকেল স্টার্ট দিয়ে লিটনের বাড়ির পশ্চিম দিকের রাস্তা দিয়ে চলে যায় হান্নান।

৫. আনোয়ারুল ইসলাম রানা: আনোয়ারুল ইসলাম রানা (৩০) সুন্দরগঞ্জের ভেলারকাজির ভিটা গ্রামের মৃত তমসের আলীর ছেলে। রানা এক সময় ঢাকায় গার্মেন্টে কর্মরত ছিল। কিন্তু বাড়িতে বেড়াতে এলে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহিন তাকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে দলে টেনে নেয়। এমপি লিটনকে হত্যার আগে ঘরে বসে তার সঙ্গে গল্প করে রানা আর শাহীন। রানার কাছে কাদের খানের লাইসেন্স করা পিস্তল ছিল। লিটনকে হত্যার সময় গুলির শব্দ শুনেছিল অনেকেই। রানা দ্রুতগতিতে লিটনের ঘর থেকে বের হয়ে কোমর থেকে পিস্তল বের করে ফাঁকা গুলি ছুড়ে মোটরসাইকেল করে সটকে পড়ে। হত্যা মিশন বাস্তবায়ন করে মোটরসাইকেলে আশপাশের এলাকা ঘুরে বেড়িয়ে কাদের খানের বাড়িতে যান। রাতেই তাদের কাদের খান নিজের গাড়িতে করে বগুড়া ও পরে ঢাকা পাঠিয়ে দেন। ২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে রানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এমপি লিটনকে হত্যা মিশনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে রানা।

(৬) এজেএম শামসুজ্জোহা সরকার ওরফে জোহা: সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত হলদিয়া গ্রামের আবদুল জোব্বারের ছেলে শামছুজ্জোহা। ২০০৮ সালে কাদের খান এমপি নির্বাচিত হলে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ছিল জোহা। এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অন্যতম সহযোগী ছিল সে। জোহাকে নলডাঙ্গায় রড-সিমেন্টের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও একটি গোডাউন ভাড়া করে দেন কাদের খান। ওই গোডাউনে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো রাখা, প্রশিক্ষণ ও বৈঠক হতো। জোহার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেই ঘটনাস্থলে যায় চার কিলার ও সমন্বয়কারী চন্দন কুমার। হত্যাকাণ্ড সম্পন্নের খবর মোবাইল ফোনে কাদের খানকে জানানোর চেষ্টা করে সে। পরদিন বগুড়ায় গিয়ে গোটা পরিস্থিতি কাদের খানকে অবগত করে জোহা।  ২০১৭ সালের ৫ মার্চ নলডাঙ্গার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে অস্ত্র রাখার একটি ট্রাংক উদ্ধারসহ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ড সফল করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় জোহা।

(৭) চন্দন কুমার সরকার: চন্দন কুমার সরকার এমপি লিটন হত্যার প্রধান সমন্বয়কারী ছিল। সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার পূর্ব মনমথ গ্রামের সুশীল কুমার সরকারের ছেলে চন্দন কুমার। লিটন হত্যা মিশন বাস্তবায়নে চন্দন কুমার আগে থেকেই লিটনের বাড়িতে অবস্থান করছিল। সে বাড়ির লোকজন কে কোথায় আছেন এই খবর মোবাইল ফোনে খুনিদের জানাতো। চন্দনের দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতেই ‘কিলিং মিশন’ সম্পন্ন করে কিলাররা। এছাড়া লিটনকে হত্যার আগে ও পরে সব ঘটনা তাৎক্ষণিক জানাতে কাদের খানের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল চন্দনের। হত্যাকাণ্ডে চন্দনের পরোক্ষ সহযোগিতা এবং জড়িতের বিষয়টি প্রধান আসামি কাদের খান রিমান্ডের পর দেওয়া জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে। হত্যার ঘটনার পর চন্দন কুমার পালিয়ে ভারতে চলে যায়।

হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী কে এই কাদের খান :

আবদুল কাদের খান সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি (খাঁপাড়া) গ্রামের মৃত নয়ান খাঁর ছেলে। তিনি সেনাবাহিনীর একজন চিকিৎসক ছিলেন। ২০০৪ সালে কর্নেল হয়ে অবসরে যাওয়ার পর বগুড়া শহরের জিলাদারপাড়া গরীব উল্লাহ শাহ নামে একটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন। স্ত্রী এ জেড ইউ নাসিমা বেগমও পেশায় চিকিৎসক। ২০০৮ সালে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরে ভাইস চেয়ারম্যান হন কাদের খান।

২০১৮ সালে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট (জাপা এরশাদ) প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন কাদের খান। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওই আসনে এমপি নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হয়েই তিনি কাদের খানের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দেন দুদকে। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে শুরু দ্বন্দ্ব-কোন্দল।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকুলী বুলবুলের দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আবদুল কাদের খানসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দেয় পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি অস্ত্রের মধ্যে একটি নিজে থানায় জমা দেন কাদের খান। অপর অস্ত্রটি তার বাড়ির উঠানের মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে অপর অস্ত্রটির এখনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অস্ত্র, মোটরসাইকেল, ট্রাংক, ক্যাপ, ল্যাপটপ, মোবাইল, গাড়ির টিকেটসহ ২৩ ধরনের উপকরণ জব্দ করা হয়েছে। 

/জেবি/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টানা দ্বিতীয় জয়ের খোঁজে সন্ধ্যায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ
টানা দ্বিতীয় জয়ের খোঁজে সন্ধ্যায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ
রুশ বোমারু বিমান ভূপাতিতের দাবি ইউক্রেনের
রুশ বোমারু বিমান ভূপাতিতের দাবি ইউক্রেনের
মেলায় এসেছেন চিত্রনায়িকা, দেখতে যাওয়ার পথে ব্যবসায়ী নিহত
মেলায় এসেছেন চিত্রনায়িকা, দেখতে যাওয়ার পথে ব্যবসায়ী নিহত
এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ
এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ
সর্বাধিক পঠিত
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি