X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

আরেক যৌনকর্মীর জানাজা হলো দৌলতদিয়ায়

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:১৬আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:৩০

আরেক যৌনকর্মীর জানাজা হলো দৌলতদিয়ায় রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় দেশের বৃহত্তম যৌনপল্লিতে আবারও মৃত্যুর পর এক যৌনকর্মীর জানাজা ও দাফন হলো।  বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের যৌনপল্লি সংলগ্ন গোরস্থানের মাঠে রিনা বেগমের (৬৫)  জানাজার নামাজ হয়। পরে তাকে যথাযথ ধর্মীয় রীতিতে দাফন করা হয়।

এবার যৌনকর্মীর জানাজার নামাজ পড়িয়েছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানা জামে মসজিদের ইমাম মো. আবু বক্কার সিদ্দিকি। জানাজায় অংশ নেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসক ও অপরাধ) মো. সালাউদ্দিন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ হেডকোয়াটার্স) মো. ফজলুল করিম,গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমানসহ স্থানীয় অনেকে।

রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ‘ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান স্যার দৌলতদিয়া যৌনপল্লির মানুষের মানবিক দিকগুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা মোতাবেক রাজবাড়ী জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। ধর্মীয় বিষয়টি কারও ওপর চাপানো ঠিক নয়, তাই গোয়ালন্দ ঘাট থানা মসজিদের ইমামকে দিয়ে এইবারের জানাজার নামাজ পড়ানো হয়েছে। আগামীতে ধর্মীয় রীতি মেনে এই জানাজা ও দাফনের কাজ অব্যাহত থাকবে।’

উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশিকুর রহমানের উদ্যোগে ধর্মের রীতি মেনে এক যৌনকর্মীর জানাজা ও দাফন হয়। এর আগে এতকাল যৌনকর্মীদের মৃত্যুর পর তাদের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া বা মাটি চাপা দেওয়ার প্রথা ছিল। সেই প্রথা ভেঙে প্রথমবারের মতো যৌনকর্মী হামিদা বেগমের জানাজা ও দাফন হয়। তবে ইসলাম ধর্মের রীতি মেনে যৌনকর্মী হামিদা বেগমের জানাজার নামাজ পড়ানো নিয়ে স্থানীয়ভাবে দ্বিমত হওয়ায় ইমাম গোলাম মোস্তফা এবার রিনা বেগমের জানাজার নামাজ পড়াননি।

দৌলতদিয়া পূর্বপাড়া যৌনপল্লীর ‘অসহায় নারী ঐক্য সংগঠন’ এর সভানেত্রী ঝুমুর বেগম বলেন, ‘আমরা যারা দৌলতদিয়া যৌনপল্লির বাসিন্দা, আমরাও তো সমাজের অন্য মানুষের মতোই মানুষ। আমাদেরও আছে অধিকার। আগে এখানে কেউ মারা গেলে তাকে নদীতে ভাসানো বা মাটিচাপা দেওয়া হতো। আমরা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম আমাদের এই পল্লির বেশিরভাগ নারীই মুসলিম। আমরা মারা গেলে যেন আমাদের জানাজা আর দাফন হয়। সেই দাবি মেনে এখন আমাদের জানাজার ব্যবস্থা হয়েছে, এটি ভাগ্যের ব্যাপার। আমরা যে কেউ মারা গেলে থানায় খবর দেই। আমাদের কেউ মারা গেলে এখন প্রশাসনের সহযোগিতায় ধর্মীয়ভাবে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।এসব কাজে এগিয়ে এসেছেন ওসি আশিকুর রহমান। তাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।’

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মো. আশিকুর রহমান জানান, এখন থেকে ধর্মীয়ভাবেই যৌনকর্মীদের দাফন ও সৎকারের ব্যবস্থা করা হবে। পুলিশ এব্যাপারে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

আরও পড়ুন- আর ভাসিয়ে দেওয়া নয়, যৌনকর্মীদের জানাজা হচ্ছে দৌলতদিয়ায়

/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
দুই বলের ম্যাচে জিতলো বৃষ্টি!
পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টিদুই বলের ম্যাচে জিতলো বৃষ্টি!
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন