করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তৃতি রোধে শেরপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সিদ্ধান্তে বুধবার (১৫ এপ্রিল) রাতে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লকডাউনকালীন সময়ে জাতীয়, আঞ্চলিক/মহাসড়ক ও নৌপথে বা অন্য কোনও জেলা থেকে শেরপুর জেলায় প্রবেশ করতে কিংবা এ জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে পারবে না। জেলার অভ্যন্তরে আন্তঃউপজেলা যাতায়াতের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এছাড়াও সকল ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষি পণ্য, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সরঞ্জাম সংগ্রহ ও পরিবহন এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কযোগে শেরপুর জেলার ওপর দিয়ে অন্যান্য জেলার আন্তঃযোগাযোগ লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বুধবার রাত ১০টা থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এ আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে শেরপুরে আরও এক নারী ও দুই যুবক কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। এরা হলেন শেরপুর সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের ফটিয়ামারী নয়াপাড়া গ্রামের এক নারী (৬০), ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সারিকালিনগর
গ্রামের এক পিকআপ চালক (২২) ও নালিতাবাড়ী উপজেলার পৌর শহরের গড়কান্দা মহল্লার এক যুবক (৩১)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন ডা. মোবারক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে সনাক্ত হওয়া নারী ঢাকায় বাসাবাড়িতে কাজ করতেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ জনে।