বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গওসুল আজিম চৌধুরী এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু করোনয় ক্রান্ত হয়েছেন। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন শুক্রবার (২৬ জুন) এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. তুহিন জানান, বগুড়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের এ দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভালো আছেন। সিভিল সার্জনের পরিবার ঢাকায় থাকায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল থেকে সেখানে পাঠানো হচ্ছে। আর ডা. মিশু নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
২০ মে শজিমেক হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন করা হয়। আর ৩১ মে টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবের
কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিদিন দুটি ল্যাবে ১৮৮ জন করে ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। অথচ প্রতিদিন প্রায় ৫০০ জনের নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে। এতে ফলে জট থাকছে। ফলে চিকিৎসক ও জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ল্যাবে নমুনা জট প্রসঙ্গে শজিমেক হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জানান, মেশিন ও লোকবল সংকটের কারণে এ সমস্যা হচ্ছে। তবে অন্য চিকিৎসকরা দ্বিমত পোষণ করছেন। কেউ কেউ বলছেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান টিএমএসএসকে
সুবিধা দিতে শজিমেকে পিসিআর ল্যাবে মেশিন ও লোকবল বৃদ্ধি করা হচ্ছে না।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. তুহিন জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৪৮০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলাফল পাওয়া গেছে, ১৪ হাজার ৩১৯ জনের। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের।