X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় ১১ বছরেও পুনঃনির্মাণ হয়নি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

মো. নাজমুল হুদা নাসিম, বগুড়া
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২১:৫১আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২৩:১৭

Bogra-21-02-16-Picture-03 বগুড়ার শহীদ খোকন পার্কে কারুশিল্পী প্রয়াত আমিনুল করিম দুলালের ‘অ আ ক খ’ এবং নানা ভাস্কর্য খচিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি পুনঃনির্মাণের দাবি গত ১১ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি।
শহীদ মিনারটি পুনঃনির্মাণের দাবিতে বগুড়ার ভাষা সৈনিক মাহফুজুল হক দুলু গত কয়েক বছর ধরে শহীদ দিবসে শহীদ মিনার চত্বরে অনশন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ তার কর্মসূচির সাথে সংহতি প্রকাশ করে অনশনে অংশ নেন।
মাহফুজুল হক দুলু রবিবার বাংলাট্রিবিউনকে জানান, যতদিন তার দাবি বাস্তবায়ন না হবে ততদিন তিনি শহীদ দিবসে অনশন পালন করবেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১৯৭৮ সালে বগুড়ার কারুশিল্পী প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল করিম দুলালের নকশায় শহীদ খোকন পার্কের উত্তর-পূর্ব কোণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়। মিনারের উপরিভাগে পশ্চিম পাশে ‘ক খ’ ও দক্ষিণ পাশে ‘অ আ’ অক্ষর খোদায় করা ছিল। এছাড়া মিনারের পেছনে সুন্দর অর্থবহ ভাস্কর্য স্থাপন করা ছিল।
পরবর্তীতে শহীদ মিনারটি সকল সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল কর্মকাণ্ডের মিলন মেলায় পরিণত হয়। কিন্তু চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৫ সালে পৌর কর্তৃপক্ষ মিনারটি ভেঙে ফেলে।

পরে সেখানে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ব এ ন প ঢ’ অক্ষর সজ্জিত অদ্ভুত আকৃতির একটি মিনার প্রতিষ্ঠা করা হয়, যার অক্ষর বিন্যাস দেখে অনেকে মিনারটিকে ‘বিএনপির ঢং’ বলে অবিহিত করে থাকেন।

এছাড়া সে সময় পার্কে সভা-সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হলে রাজনীতিবিদ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়।
তারপর থেকেই সাধারণ মানুষ আগের শহীদ মিনার পুনঃবহালের দাবিতে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি পালন করেছে। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৭ সালের ৬ এপ্রিল ও ১১ নভেম্বর বগুড়ার প্রবীণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জেলা উদীচীর তৎকালীন সভাপতি মরহুম রহীম চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহমদের কাছে মিনারটি পুনঃনির্মাণের আবেদন করেন। প্রধান উপদেষ্ঠার নির্দেশে শহীদ মিনারটি পুনঃনির্মাণের বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালি হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

তবে বগুড়ার তৎকালীন জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবিরের সহযোগিতায় শহরের সাতমাথায় বীরশ্রেষ্ঠ স্কোয়ারে ইংরেজি ও আরবীর পাশাপাশি বাংলায় লেখার দাবি বাস্তবায়ন করা হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিদায়ের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসলে শহীদ মিনারটি পুনঃনির্মাণের দাবি তোলে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ।

২০০৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত রহীম চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বগুড়ায় এসে শহীদ মিনারটির পুনঃনির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের অনুরোধ জানালেও কোনও সাড়া মেলেনি।

/এসএনএইচ

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দুই মাসে ব্র্যাক ব্যাংকে আড়াই হাজার কোটি টাকা নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন 
দুই মাসে ব্র্যাক ব্যাংকে আড়াই হাজার কোটি টাকা নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন 
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়নি
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়নি
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
র‌্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
র‌্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা