মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (নৌ) আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।
ড্রেজার ক্রয়, পাইলট বোট, পাইলট ডিসপাস বোট ও নেভিগেশন বয়া বাতি মালামাল ক্রয় এবং জলযান মেরামত কাজের মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়। এ নিয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই চারটি প্রকল্পের প্রয়োজনীয় নথিপত্র চেয়ে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে দুদকের পক্ষ থেকে পত্র দেওয়া হয়।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল হাই স্বাক্ষরিত চাহিদাপত্রের উল্লেখ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালে মংলা বন্দর চ্যানেল দিবারাত্রি চালু করার লক্ষ্যে ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ড্রেজার ক্রয়, ২০১৩ সালে মংলা বন্দরকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ২৩ কোটি টাকার একটি পাইলট বোট ও একটি পাইলট ডিসপাস বোট ক্রয়, ২০১৩ সালে মংলা বন্দর চ্যানেল দিবারাত্রি চালু করার লক্ষ্যে নেভিগেশন জিআরপি, স্টিল বয়া ও লাইটেড মালামাল ক্রয় ও প্রধান প্রকৌশলী (নৌ) পদে দায়িত্ব পালনকালে বন্দরের জাহাজ মেরামত কাজকে কেন্দ্র করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন আলতাফ হোসেন।
চাহিদাপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, অনুসন্ধানের স্বার্থে ওই কাজগুলোর সরকারি বরাদ্দপত্র, আহ্বানকৃত টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি, ঠিকাদার কর্তৃক দাখিল করা দরপত্রগুলো, টেন্ডার কমিটি ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিসংক্রান্ত নথিপত্র, তুলনামূলক বিবরণী, কার্যাদেশ, বিল ভাউচারাদি, ঠিকাদারের অনুকুলে বিল পরিশোধের চেক নিয়ে পর্যালোচনা জরুরি।
এ বিষয়ে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (নৌ) আলতাফ হোসেন বলেন, চাকরির ১২ বছর সময়ের মধ্যে অনেক টেন্ডার হয়েছে। এর আগেও অনেক অভিযোগ উঠেছে এবং তদন্তে সেগুলো ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এখন একটি মহল আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
দুদকের কাছ থেকে রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি চেয়ে পাঠানো একটি চিঠি পেয়েছেন বলে জানান প্রধান এ প্রকৌশলী (নৌ)। আরা জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রেকর্ডপত্র পাঠানোর জন্য দুদকের পক্ষ থেকে বলা হলেও এখনও পর্যন্ত তা পাঠানো হয়নি। আরও দু এক দিন সময় লাগবে।
/এইচকে/