কুড়িগ্রাম শহরের গাড়িয়ালপাড়া এলাকার ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীকে (৬৫) হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন আরও দুইজনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে একজনকে সদর থেকে আরেকজনকে রাজারহাট উপজেলার ফরকেরহাট থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে সদর থানা পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় এখনও প্রকাশ করেনি পুলিশ। এর আগে গতকাল এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিন শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের কথা উল্লেখ করে নিহত হোসেন আলীর ছেলে রুহুল আমিন আজাদ বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ জানান, হোসেন আলীর হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত। আমরা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি। সেইসঙ্গে তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও জমাজমি নিয়ে বিরোধের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পরিবারের কোনও সদস্য সন্দেহের তালিকায় আছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ সুপার জানান, আমরা কোনও কিছু সন্দেহের বাইরে রাখছি না। সবদিক থেকে তদন্ত চলছে। ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ দল আনা হয়েছে। হত্যার রহস্য উৎঘাটনের জন্য সবরকম প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২২ মার্চ) কুড়িগ্রাম শহরের গাড়িয়ালপাড়া গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা ও ধর্মান্তরিত খৃস্টান হোসেন আলীকে সকালে নিজ বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করে তিনজন দুর্বৃত্ত। এসময় এলাকাবাসী হত্যাকারীদের আটকানোর চেষ্টা করলে ৩টি ককটেল ছুড়ে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায় তারা। একটি ককটেল বিস্ফোরিত হলেও অপর দুটি ককটেল অবিস্ফোরিত থেকে যায়। পরে অবিস্ফোরিত ককটেল দুটি রংপুরের বোমা বিশেষজ্ঞ দল এসে নিরাপদ জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটায়।
ময়নাতদন্ত শেষে মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীর লাশ গার্ড অব অনার শেষে তার গ্রামের বাড়ি মোগলবাসা ইউনিয়নের নয়ারহাট গ্রামে দাফন করা হয়।
/এআর/