কক্সবাজারে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গল দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের কলাতলীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে কলাতলী সুগন্ধা পয়েন্টে ২০টি অবৈধ ঝুঁপড়ি ঘর এবং সৈকত পাড়া এলাকায় ১০টিসহ মোট শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা করা হয়।
কক্সবাজার সদর (ভূমি) কমিশনার মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক শরিফুল ইসলাম, ৩৩ আনসার ব্যাটালিয়ানের কমান্ডার মুফিজুর রহমান ও সদর থানার এসআই রাজীব কান্তি নাথ।
কক্সবাজার সদর (ভূমি) কমিশনার মাজহারুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে কলাতলী সুগন্ধা পয়েন্টে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪০ শতক জমি দখল করে ঝুঁপড়ি ঘর নির্মাণ করেছে অনেকেই। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে নির্মাণ করা প্রায় ২০টি ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। আর আগে সৈকত পাড়া এলাকায় সরকারি পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণ করায় ১০টি ঘর উচ্ছেদ করা হয়।
পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক শরিফুল ইসলাম জানান, উচ্ছেদকৃত ঘরের টিন ও বাঁশের খুঁটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। জব্দ করা হয়েছে বৈদ্যুতিক তারও। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এমনকি চার অভিযোগে শতাধিক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা তদন্ত রয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
এদিকে কলাতলী ছাড়াও, শহরের ঘোনার পাড়া, বৈদ্যঘোনা, পাহাড়তলী, লাইট হাউজ, হালিমা পাড়া, বাস টার্মিনালস্থ লারপাড়া, ডিককুল, সদর উপজেলা পরিষদের পেছনে, বিজিবি ক্যাম্পের পশ্চিম পাশে ও সাহিত্যিকা পল্লী এলাকায় চলছে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ। এসব স্থানে প্রশাসন বেশ কয়েকবার উচ্ছেদ অভিযান করলও থেমে নেই পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ।
/এআর/