খুলনায় মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় দেয়ালচাপা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নগরীর তুতপাড়া এলাকায় রাত সোয়া ৮টার দিকে তিনি দেয়ালচাপা পড়েন। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আবদুর রহিম (৩০) একটি মুড়ি কারখানায় কাজ করতেন।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে আবদুর রহিমের লাশ নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার পদ্মপুকুরে রওনা হয়েছেন তার স্বজনরা। তার বাবার নাম সুরত মোল্লা।
এদিকে ঝড়ের পর থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত খুলনার অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে। শহরের বেশিরভাগ রাস্তা গাছের ভাঙা ডালপালা আর ঝরে পড়া পাতায় স্তুপ হয়ে আছে। গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শহরে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া না গেলেও টিনের ও গোলপাতায় ছাওয়া ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বহুতল অনেক ভবনের দরজা-জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে।
এদিকে রাত পৌনে ৮টার দিকে আঘাত হানা ওই ঝড়ের কারণে খুলনার চলমান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১২৫টি দোকানের বেশিরভাগই কোনও না কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্টলের ছাউনি উড়ে গেছে।
বাণিজ্য মেলায় হোম টেক্সটাইলের প্রতিনিতি নাইম মাহফুজ বলেন, ঝড়ের কারণে তাদের ৩৩ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মাল ভিজে গেছে।
মেলার কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি মাকসুদুর রহমান টিপু বলেন, মেলার ক্ষতিগ্রস্ত স্টলগুলো মেরামত করতে তাদের ৩০ লাখ টাকার মতো অতিরিক্ত লাগবে। এর জন্য দুইতিন দিন সময় লাগবে।
ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ও ব্যবসায়ীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মেলার সময় ১০ দিন বাড়ানোর আবেদন করেছেন আয়োজকরা।
খুলনার আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার আর স্থায়িত্ব ছিল প্রায় পনের মিনিট। এসময় দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। ঝড়ে ১৫.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
/এফএস/