কুড়িগ্রাম লিগ্যাল এইড অফিস থেকে ২০২৩ সালে ২২০ জন আইনি সহায়তা পেয়েছেন। যার অধিকাংশই নারী। একই বছর আপস-মীমাংসাসহ ৬৮৩টির মধ্যে ৪৭৫টি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে লিগ্যাল এইড মেলা ও জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আলমগীর কবীর কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। দিবসটি উপলক্ষে র্যালি, জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও দিনব্যাপী লিগ্যাল এইড মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আলমগীর কবীরে সভাপতিত্বে র্যালিতে অংশ নেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস এম নুরুল ইসলাম, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর কবির শিপন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, সিভিল সার্জন ডা. মনজুর এ মোর্শেদ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুস সালাম ও কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম প্রমুখ।
জজ আদালত প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভার স্বাগত বক্তব্যে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ শারমিন আক্তার জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। সেইসঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলায় সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রমের অগ্রগতি ও ধারাবাহিকতা সম্পর্কে জানান।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার জানান, ২০২৩ সালে কুড়িগ্রামে আইনগত সহায়তা কার্যক্রমে মামলার আবেদন সংখ্যা ছিল ৬৮৩টি। যার মধ্যে ৪৭৫ নিষ্পত্তি হয়েছে। একই বছর আইনগত সহায়তা প্রাপকের সংখ্যা ছিল ২২০ জন। যার মধ্যে নারী ১১৭ এবং পুরুষ ৯৩ জন। আইনগত পরামর্শ গ্রহণ করেছেন ২৮৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ বেশি, ১৪৮ জন। এ ছাড়া একই বছর জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ৪৭ লাখ এক হাজার ৪৫১ টাকা আদায় করা হয়েছে।
কারা কীভাবে এবং কোথায় বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ ও মামলা পরিচালনায় বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা পেতে পারেন আলোচনা সভায় বক্তারা সে সম্পর্কে বক্তব্য দেন। এ ছাড়া লিগ্যাল এইড উপকারভোগী বিচারপ্রার্থী নাগেশ্বরী উপজেলার শিরিনা আক্তার ও সদরের নুসরাত জান্নাতি তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।