দিনাজপুর বিরলের আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোহাম্মদ আলী (৭০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের গুলিতে আরও অন্তত তিন জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনার পথে আহত গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ পুলিশ গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনার তদন্তর জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, বিরল উপজেলার আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সিঙ্গুল হামিদ হামিদা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনায় শেষে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ও জোবাইদুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে পরাজিত প্রার্থী সাইফুল ইসলামের সমর্থকরা হামলা চালায়। তারা ভোট কেন্দ্রের প্রধান দরজা ভেঙে জোর করে প্রবেশ করে ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা করে। এতে পুলিশ সদস্যরা নিজেদের জানমাল ও সরকারি মালামাল রক্ষার্থে প্রথমে ফাঁকা গুলি করে। এরপর হামলাকারীরা হামলা বাড়িয়ে দিলে পুলিশ শটগান থেকে ৬০ থেকে ৭০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এই শট গানের গুলিতে মোহাম্মদ আলী নামক এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা আহত মোহাম্মদ আলীকে উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আনার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ সময় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশ সুপার দাবি করেন।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা খালিদ হাসান মিলু বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের শরীরে গুলি জাতীয় কিছু ভেদ করে বেরিয়ে গেছে। ময়না তদন্ত করলে পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবো।