X
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রয়াণ দিনে স্মরণ

মহানায়িকা সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন কি

বিনোদন ডেস্ক
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:২৬আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:২৬

মহানায়িকা শব্দটি উচ্চারিত হলেই বাঙালির চোখে যার চেহারা ভেসে ওঠে, তিনি সুচিত্রা সেন। বাংলা সিনেমায় সৌন্দর্য, হাসি, অভিনয় সব কিছুর নিরিখে অভিনেত্রী হিসেবে তিনিই এখনও মাপকাঠি। পর্দার বাইরে তার রহস্যময় জীবনও মানুষকে কৌতূহলী করেছিল। সেই কৌতূহলের রেশ কাটেনি এখনও। তাই এখনও ক্যালেন্ডার ঘুরে তার জন্ম কিংবা মৃত্যু দিন এলে চর্চা-আলোচনায় মুখর হন সিনেপ্রেমীরা।

আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সুচিত্রা সেনের প্রয়াণ দিবস। ২০১৪ সালের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। মহানায়িকার চলে যাওয়ার দিনে তার সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য রইলো এখানে… 

বাংলা সিনেমার আইকনিক জুটি উত্তম-সুচিত্রা। এই জুটির প্রথম ছবি ‘সাড়ে চুয়াত্তর’; মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫৩ সালে। জীবদ্দশায় তারা একসঙ্গে ৩১টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। 

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরস্কার পাওয়া প্রথম বাঙালি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন। ১৯৬৩ সালে ‘মস্কো চলচ্চিত্র উৎসব’-এ তিনি পুরস্কার পেয়েছিলেন ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবির জন্য। 

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি ‘দেবদাস’। এই উপন্যাস অবলম্বনে বলিউডে বেশ কয়েকটি ছবি হয়েছে। তবে প্রথমবার হিন্দি সিনেমায় ‘দেবদাস’র পার্বতী বা পারু হয়েছিলেন সুচিত্রা সেন। এটি তার অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবিও বটে।

উত্তম-সুচিত্রা সুচিত্রা সেনের নামের পাশে বিতর্কও আছে। তার অভিনীত ‘আঁধি’ ছবি মুক্তির পর গুজরাটে প্রায় সাড়ে মাস নিষিদ্ধ ছিল। এই ছবিতে সুচিত্রার সাজসজ্জা ইন্দিরা গান্ধীর মতো ছিল। ছবির কয়েকটি দৃশ্য নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। 

১৯৭৮ সালে স্বেচ্ছায় অন্তরালে চলে যান সুচিত্রা সেন। এরপর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মাত্র দুইবার জনসমক্ষে এসেছিলেন তিনি। প্রথমবার ১৯৮০ সালে উত্তম কুমারের মৃত্যুর পর, আর দ্বিতীয়বার ১৯৮৯ সালে তার আধ্যাত্মিক গুরু ভারত মহারাজের মৃত্যুর পর। 

ক্যারিয়ারে মাত্র একটি সিনেমায় দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেন। সেটার নাম ‘উত্তর ফাল্গুনী’। এতে যৌনকর্মী পান্নাবাই ও তার কন্যা আইনজীবী সুপর্ণার ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাকে। 

২০০৫ সালে তাকে ভারতের সিনেমায় সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’-এ ভূষিত করা হয়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী দিল্লিতে গিয়ে জনসমক্ষে পুরস্কারটি নিতে হবে বিধায় তিনি এটি প্রত্যাখ্যান করেন। 

সুচিত্রা সেন এক নজরে সুচিত্রা সেনের ক্যারিয়ার

১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল বাংলাদেশের পাবনায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন সুচিত্রা সেন। তার আসল নাম রমা দাশগুপ্ত। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। এরপর ২১ বছর বয়সে নাম লেখান সিনেমায়। তার প্রথম ছবির নাম ‘শেষ কোথায়’। তবে এটি মুক্তি পায়নি। ১৯৫৩ সালে প্রথমবার পর্দায় দেখা যায় সুচিত্রা সেনকে। ছবির নাম ‘সাত নম্বর কয়েদি’। একই বছর তার অভিনীত ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিটি মুক্তি পায়। যেখানে নায়ক হন উত্তম কুমার।

সুচিত্রা সেন অভিনীত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমা হলো- ‘সপ্তপদী’, ‘দেবদাস’, ‘হারানো সুর’, ‘সাত পাকে বাঁধা’, ‘অগ্নি পরীক্ষা’, ‘সাগরিকা’, ‘পথে হলো দেরি’, ‘চাওয়া পাওয়া’, ‘দ্বীপ জ্বেলে যাই’, ‘বিপাশা’ ইত্যাদি। ১৯৬৩ সালে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন সুচিত্রা সেন। ১৯৭২ সালে ভারত সরকার তাকে ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত করে। 

সুচিত্রা সেনের কন্যা মুনমুন সেনও অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়েছেন। এছাড়া মুনমুনের দুই কন্যা রাইমা সেন ও রিয়া সেনও বর্তমান সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী। 

তথ্যসূত্র: আজতাক বাংলা

/কেআই/এমএম/
সম্পর্কিত
সুচিত্রা সেনের যে প্রতিভা একবারই এসেছিল প্রকাশ্যে
জন্মদিনে স্মরণসুচিত্রা সেনের যে প্রতিভা একবারই এসেছিল প্রকাশ্যে
সুচিত্রা সেনের পাবনার বাড়িটি সংস্কারের উদ্যোগ
সুচিত্রা সেনের পাবনার বাড়িটি সংস্কারের উদ্যোগ
উত্তম-সুচিত্রা-সৌমিত্রকে চেনা যায়!
উত্তম-সুচিত্রা-সৌমিত্রকে চেনা যায়!
সুচিত্রা সেনের কিছু দুর্লভ ছবি ও গল্প
সুচিত্রা সেনের কিছু দুর্লভ ছবি ও গল্প
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
কানাডাজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ‘আর্টসেল’
কানাডাজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ‘আর্টসেল’
ফের ভাঙছে জেনিফার লোপেজ ও বেন অ্যাফ্লেকের সম্পর্ক!
ফের ভাঙছে জেনিফার লোপেজ ও বেন অ্যাফ্লেকের সম্পর্ক!
হীরামান্ডি: নিন্দার মুখে শারমিন, পাশে দাঁড়ালেন রিচা
হীরামান্ডি: নিন্দার মুখে শারমিন, পাশে দাঁড়ালেন রিচা
‘গডফাদার’ স্রষ্টাকে শুরুতে ৪, শেষে ৭ মিনিটের করতালি
কান উৎসব ২০২৪‘গডফাদার’ স্রষ্টাকে শুরুতে ৪, শেষে ৭ মিনিটের করতালি
আসিফ-অনুরাধার সেই গানটি এলো অন্তর্জালে
আসিফ-অনুরাধার সেই গানটি এলো অন্তর্জালে