X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রয়াণ দিনে স্মরণ

এটিএম শামসুজ্জামান: পাতাঝরা দিনে ঝরে যাওয়া নক্ষত্র

বিনোদন ডেস্ক
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০৬আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৬

কেবল এক পরিচয়ে তাকে ব্যাখ্যা করা যাবে না। তিনি শিল্পের নানা অঙ্গনে সুবিস্তৃত। লেখা, অভিনয়, নির্মাণ সবেতেই রেখেছেন নিজস্বতার ছাপ। তবে একটি ক্ষেত্রে তিনি নক্ষত্রসম। একাধিক প্রজন্মের আদর্শ, অনুপ্রেরণার উদাহরণ। সেটা অভিনয়। কখনও হাসিয়েছেন, কখনও আবেগাপ্লুত করেছেন, আবার কখনও ভয় ধরিয়েছেন দর্শকের মনে; অভিনয়ের দক্ষতায়।

দীর্ঘ নামের সেই তারকার নাম আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান। সংক্ষেপে যিনি সবার কাছে এটিএম শামসুজ্জামান নামে পরিচিত, প্রিয়। দেশের শিল্প-সংস্কৃতিতে অসামান্য ভূমিকা রেখে এমন বসন্তের পাতাঝরে দিনেই তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ২০২১ সালের আজকের (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনে মারা গেছেন তিনি।

এটিএম স্মরণে তেমন কোনও আয়োজনের খবর পাওয়া যায়নি। তবে দর্শকের মনে তিনি যে ছাপ রেখে গেছেন, তা অমলিন থাকবে চিরকাল। অভিনয়ের দ্যুতিতে তিনি উজ্জ্বল থাকবেন ভক্তদের মনেই।

পর্দায় এটিএম শামসুজ্জামান এটিএম শামসুজ্জামানের জন্ম ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীতে। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন জগন্নাথ কলেজে। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে রূপালি জগতে কাজ শুরু করেন তিনি। অভিনয়ের শুরুটা হয় ‘নয়া জিন্দেগানি’ নামের একটি ছবির মাধ্যমে। তবে সেটি মুক্তি পায়নি।

এটিএমকে প্রথম পর্দায় দেখা যায় ১৯৬৮ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘এতটুকু আশা’ সিনেমায়। এক খবরের কাগজ বিক্রেতার ভূমিকায় হাজির হন তিনি। সেই ছোট্ট চরিত্র থেকে নাটক-সিনেমার অন্যতম দাপুটে অভিনেতায় প্রতিষ্ঠিত হন গুণী এই শিল্পী।

এটিএম শামসুজ্জামান অভিনীত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমা হলো- ‘ওরা ১১ জন’, ‘লাঠিয়াল’, ‘নয়নমণি’, ‘অশিক্ষিত’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘দোলনা’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘চুড়িওয়ালা’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’, ‘গেরিলা’, ‘চোরাবালি’ ইত্যাদি।

টিভি নাটকেও অনন্য এটিএম। বহু ধারাবাহিক ও একক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এর মধ্যে কালজয়ী কয়েকটি নাটক হলো- ‘রঙের মানুষ’, ‘ভবের হাট’, ‘ঘর কুটুম’, ‘নোয়াশাল’, ‘শীল বাড়ি’ ইত্যাদি।

এটিএম শামসুজ্জামান এর বাইরে শতাধিক সিনেমার কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান। লিখেছেন নিজের আত্মজীবনীও। যেটার নাম ‘শিল্প সংস্কৃতি ও আমার শিল্পী জীবন’।

শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন এটিএম শামসুজ্জামান। এছাড়া বর্ণাঢ্য সিনে জীবনে ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। একই আয়োজনে পেয়েছেন আজীবন সম্মাননাও।

/কেআই/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
‘দেওরা’ সফলতার পর ‘মা লো মা’ চমক
‘দেওরা’ সফলতার পর ‘মা লো মা’ চমক
জন্ম আর মৃত্যুর সুরেলা মেলবন্ধনের প্রতিধ্বনি
৩৫তম জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসবজন্ম আর মৃত্যুর সুরেলা মেলবন্ধনের প্রতিধ্বনি
যে গল্পের জন্ম ওষুধের দোকান থেকে!
যে গল্পের জন্ম ওষুধের দোকান থেকে!
উদ্বোধক মেরিল স্ট্রিপ, পাচ্ছেন স্বর্ণপাম
কান উৎসব ২০২৪উদ্বোধক মেরিল স্ট্রিপ, পাচ্ছেন স্বর্ণপাম
ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র
ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র