রাত প্রায় শেষের পথে, তিনটা পেরিয়ে। এমন ঘুম ঘুম সময়ে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে একটি ‘হুমকি’ বার্তা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলেন সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ তানজিন তিশা। যিনি মূলত গেল একটা বছর নানামাত্রিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে নিজেকে অতিক্রম করাচ্ছেন। তারই শেষ প্রতিক্রিয়া বলা যায় এই পোস্ট।
পোস্টে তিনি স্পষ্ট করেছেন, তার এই বার্তা ভেতরে জমে থাকা ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ। যা তিনি প্রকাশ্যে টিগার করেছেন তারই কোনও সহকর্মীর প্রতি। হতে পারে তারও একটু বেশি, প্রেমিক সহকর্মী।
তিশা তার সোশ্যাল ফলোয়ারদের লক্ষ্য করে লিখেছেন, ‘আমি চাইলে শেয়ার করতে পারি আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন অপরাধীর গল্প। আমার সেই সাহস এবং প্রমাণ আছে।’
এরপরই তিশার অভিযোগের নল সরাসরি তাক করলেন সেই অভিযুক্ত প্রেমিকের প্রতি। ‘তুমি’ সম্বোধন করে লিখলেন, ‘মনে রেখো আমি তোমার খারাপ কাজের জন্য তোমাকে সবার সামনে রক্ষা করেছি। বিখ্যাত অভিনেতা হওয়ার আগে একজন ভালো ও বিশ্বস্ত মানুষ হওয়া খুব প্রয়োজন।’
ইংরেজিতে লেখা এই পোস্ট কিংবা হুমকি আসলে কাকে নিয়ে? গত ভোররাত থেকে এমন প্রশ্নে তুলকালাম মিডিয়া। উত্তরও অনেকের কাছে স্পষ্ট। কারণ, ফিসফাসফিস চলছে অনেকদিন ধরেই, অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে রয়েছে তার প্রেমময় অসহিষ্ণু একটা সম্পর্ক। যার জেরে কয়েকদফা জেরবার হতে দেখা গেছে তানজিন তিশাকে। মিটেও গেছে সেটি।
যেমনটা মিটলো এবারও। রাতের আঁধার কাটার আগেই অভিনেত্রী মুছে নিলেন পোস্ট। বলে যাননি, অভিনয় ইন্ডাস্ট্রির একজন অপরাধীর গল্প। দেখালেন না সাহস।
বুধবার (১ মে) দুপুর নাগাদ এসব বিষয়ে কোনও জবাব মেলেনি তিশার তরফে, নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও।
তানজিন তিশা আপাতত দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে টের পাওয়া গেছে তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলের দৌলতে। গত সপ্তাহেই চেক-ইন মিলেছে দুবাই হয়ে কুয়ালালামপুরে। ফটোগ্রাফারের সন্ধান না মিললেও ছবিগুলো প্রমাণ করতে চাইছে, তিনি একাই উড়ছেন বিদেশের নয়নাভিরাম দৃশ্যে।
বলা দরকার, মাঝে এই প্রেমজনিত কারণেই ঢাকা মেডিকেলেও ভর্তি হতে হয়েছিল মধ্যরাতে। জানা গেছে, সেই যাত্রায় তিনি আত্মহননের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তখনও উঠে আসে সহশিল্পী মুশফিক আর ফারহানের নাম।
তারা সর্বশেষ ১৩ দিন আগে প্রকাশ হয়েছে এই জুটির ‘হাজবেন্ড অব দ্য ইয়ার’ নামের একটি নাটকে।