X
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ওটিটিতে উঠলো মস্কোজয়ী ‘আদিম’

বিনোদন রিপোর্ট
০২ মে ২০২৪, ১৬:২৯আপডেট : ০২ মে ২০২৪, ১৬:৪৯

স্বাধীনভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বপ্ন দেখেন অনেক তরুণ। কারও সেই স্বপ্ন পূরণ হয়, অধরা থাকে অনেকের। নিজের স্বপ্নকে ছুঁতে পারা তুখোড় তরুণ যুবরাজ শামীম। যিনি ‘আদিম’ নামের একটি সিনেমা বানিয়ে দেশে-বিদেশে হয়েছেন আলোচিত ও পরিচিত।

দুই বছর আগে রাশিয়ার মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দুটি পুরস্কার পায় ‘আদিম’। যা ছিলো চমকে দেয়ার মতো ঘটনা। তাই নয়, রাশিয়ার দর্শক সমালোচক ও আয়োজকদের কাছে সিনেমার পরিচালক পেয়েছিলেন বাহবা। এই অর্জনে পরবর্তী সময়ে সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে তৈরি হয় আগ্রহ। মুক্তি পেয়েছিলো প্রেক্ষাগৃহেও। সেই সিনেমাটি আজ (২ মে) থেকে দেখা যাচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে।
 
‘আদিম’-এর আরেকটি দৃশ্য নির্মাতা যুবরাজ শামীম তার অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, ‘একজন স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা কষ্ট সহ্য করে হয়তো একটি সিনেমা নির্মাণ করে ফেলতে পারেন কিন্তু তার জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় প্রদর্শন ব্যবস্থা। সেই জায়গায় একজন স্বাধীন চলচ্চিত্রকর্মী হিসেবে চরকিকে আমার কাছে বেশ ভালো একটি প্ল্যাটফর্ম মনে হয়। সেই সাথে সিনেমাটা বেশি সংখ্যক দর্শকের কাছে পৌঁছানোর পাশাপাশি নির্মাণ ব্যয়টাও তুলে আনা সম্ভব।’

‘আদিম’ সিনেমায় যারা অভিনয় করেছেন তারা সকলেই প্রায় বস্তির বাসিন্দা। সিনেমার প্রধান চরিত্র ল্যাংড়ার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বাদশা। ৩৫ জনের মধ্য থেকে তাকে বাছাই করা হয়। সিনেমার বাকি চরিত্রের মধ্যে সোহাগী খাতুন, দুলাল মিয়া, সাদেককেও বস্তিতেই খুঁজে পেয়েছেন নির্মাতা।

কাস্টিং নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘ছবির প্রয়োজনেই বস্তির বাসিন্দাদের দিয়ে অভিনয় করিয়েছি। তাদের জীবনের গল্প তারাই ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন। পরে সেটাই হয়েছে। সিনেমাটি যারা দেখেছেন, তারা সবাই অপেশাদার এই অভিনয়শিল্পীদের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন।’
 সিনেমার গল্প এগিয়েছে ল্যাংড়ার ভাসমান জীবন নিয়ে। একটি অপরাধের দায় এড়াতে সে এক রেলওয়ে স্টেশন থেকে অন্য রেলওয়ে স্টেশনে ঘুরে বেড়ায়। যেখানেই যায় সেখানেই কারও না কারও সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক সময় তার সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে কালা নামের এক মাদক ব্যবসায়ীর। কালার বউ সোহাগীকে ল্যাংড়ার মনে ধরে। ল্যাংড়া-সোহাগীর প্রণয় জমে ওঠে। এরপর ঘটতে থাকে আরেক ঘটনা, গল্প চলতে থাকে নিজ স্রোতে।

সিনেমার গল্প, চিত্রনাট্য ও সম্পাদনা করেছেন পরিচালক নিজেই। সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন আমির হামযা। কালার গ্রেডিং, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর, সাউন্ড ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেছেন সুজন মাহমুদ। দৈর্ঘ্য মাত্র ৮৪ মিনিট। যুবরাজ শামীম

/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
মনামী: সবচেয়ে সহজ মানুষ চঞ্চলদা
মনামী: সবচেয়ে সহজ মানুষ চঞ্চলদা
এবারের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র
এবারের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র
আমি চাচ্ছিলাম না, দৃশ্যটা শেষ হোক: মেরিল স্ট্রিপ
আমি চাচ্ছিলাম না, দৃশ্যটা শেষ হোক: মেরিল স্ট্রিপ
ফুল দিয়ে বরণ, রিট দিয়ে শুরু কোন্দল!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিফুল দিয়ে বরণ, রিট দিয়ে শুরু কোন্দল!
ছয় মিনিটের অভিবাদন, নিয়ম ভাঙলেন এই নায়ক
কান উৎসব ২০২৪ছয় মিনিটের অভিবাদন, নিয়ম ভাঙলেন এই নায়ক