X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১
ঈদ হলিউড

নাটালি পোর্টম্যানের সঙ্গে কথোপকথন

সাদিয়া খালিদ
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০০:০০আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০১৭, ১৪:৩৭


নাটালি পোর্টম্যান। (2) ১৯ অগাস্ট মুক্তি পেল নাটালি পোর্টম্যানের সিনেমা ‘আ টেল অব লাভ অ্যান্ড ডার্কনেস’। ইসরায়েলি লেখক আমস অযয়ের আত্মজীবনী অবলম্বনে নির্মিত ছবিটিতে প্রথমবারের মতো নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন পোর্টম্যান। সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলসের ল্যান্ডমার্ক থিয়েটারে দর্শকদের সঙ্গে প্রশ্নউত্তর পর্বে পোর্টম্যান তুলে ধরেন তার অভিজ্ঞতা। সেখানে উপস্থিত থেকে তার সে অভিজ্ঞতার কথা শোনার সুযোগ হয় প্রবাসী সাংবাদিক সাদিয়া খালিদের। সেটাই তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে।  
৫৮৭ পাতার বইয়ের একটি ছোট অংশ নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘আ টেল অব লাভ অ্যান্ড ডার্কনেস’। যার বিষয়বস্তু ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের প্রেক্ষাপট। আর নির্দিষ্ট করলে, দেশটিতে একজন অসুস্থ মা ও তার ছেলের সম্পর্ক উঠে আসে এতে। চলচ্চিত্র সমালোচকরা ইতোমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন, ছবিটির ইসরায়েলঘেঁষা আবেগকে। ইতিহাস না জেনে এই ছবিটি দেখলে দর্শকদের মনে মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস নিয়ে ভুল ধারণা হওয়াটাই স্বাভাবিক- এমন শঙ্কাও করেছেন।
কাহিনির শুরুতে ফানিয়া (পোর্টম্যান), তার ৮ বছরের ছেলে এবং তার পুস্তক সমালোচক স্বামীসহ ইউক্রেনের ইহুদি নিধন ক্যাম্প থেকে পালিয়ে চলে আসে তাদের স্বপ্নের নবগঠিত ইসরায়েলে। কিন্তু বাস্তবে এই নতুন দেশ তাদের স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হয় এবং ফানিয়া মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে, যা তার ছেলে, এই বইয়ের লেখক কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেন।
মিলনায়তন পূর্ণ অতিথি ও সাংবাদিকদের সামনে পোর্টম্যান শুরুর সূচনা করলেন এভাবে- ‘আমি প্রথমে শুধু পরিচালনাই করতে চেয়েছিলাম। আযের কাছ থেকে বইটিকে সিনেমায় রূপ দেওয়ার রাইট্স কেনার পর চিত্রনাট্য লেখার জন্য চিত্রনাট্যকার খুঁজছিলাম। এরপর অন্যদের উৎসাহে নিজেই এর রফা করতে হয়েছে।’ ‘আ ট্যাল অব লাভ অ্যান্ড ডার্কনেস’ ছবির দৃশ্যে নাটালি
গল্পের প্রধান চরিত্রে নিজেকে নির্বাচন করার ব্যাপারে পোর্টম্যানের ভাষ্য, ‘আমি একজন ইসরাইলি অভিনেত্রীকে ফানিয়ার চরিত্রের জন্য চেয়েছিলাম। যখন এই সিনেমার কাজ শুরু করি, তখন আমার বয়স ২৭, যা একটি ১২ বছরের ছেলের মা হিসেবে বেশ কম হয়ে যেত। অতঃপর তাহবিল জোগাড় করতে যে সময় লাগলো তাতে আমার বয়স ফানিয়ার চরিত্রের উপযুক্ত হয়ে গেল এবং সেটাও আমার ফান্ড জোগাড়েও সহায়ক ভূমিকা পালন করল।’  
প্রশ্ন ছিল, চলচ্চিত্রটি হিব্রু ভাষায় লেখা নিয়ে। সেখানে পোর্টম্যান বলেন, ‘ইংরেজিতে গল্পটি বললে এর মৌলিকতা অনেকটাই নষ্ট হয়ে যেত। ইংরেজিতে নির্মাণ করলে দর্শকের সংখ্যা বাড়ত ঠিকই, কিন্তু এখানে হিব্রু ভাষা গল্পের একটি চরিত্রের মতো, যা ব্যাতিত গল্পটি অসমাপ্ত থেকে যেত।’

প্রথমবারের মতো পরিচালনা করতে গিয়ে কিছু ক্ষেত্রে হোঁচট খাওয়ার কথা খোলামেলাভাবেই বলেন পোর্টম্যান। সিনেমার ডি পি লোকেসানে পৌঁছানোর আগেই তুমুল বৃষ্টি শুরু হলো, যার শট নেওয়া জরুরি ছিল। পোর্টম্যান তার ক্যামেরা আর ক্রু নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সেই বৃষ্টির ফুটেজ সংগ্রহ করতে। সারাদিন দৃশ্যধারণ করার পর ফুটেজ দেখে সবাই লক্ষ করেন বৃষ্টি স্ক্রিনে দেখাই যাচ্ছে না। বুঝতে পারেন, বৃষ্টির চিত্রধারণ করতে বাড়তি আলোর প্রয়োজন ছিল। নাটালি পোর্টম্যান।

পোর্টম্যান জানান, ছোটবেলা থেকে তাকে অতিমাত্রায় বিনয়ী হতে শেখানো হয়েছে। শুটিংয়ের শুরুতে ক্যামেরা ও লাইটের ক্রুকে কোনও আদেশ দেওয়ার বেলায় তিনি অস্বস্তি বোধ করতেন ও সংকোচ হত। পরে তিনি বুঝতে পারেন, পরিচালনা করতে গেলে অনেক শক্ত হতে হয়। পরিচালক যা চাইছেন, তা প্রকাশ করতে দ্বিধার কিছু নেই।

ইউক্রেনের চিত্রনাট্যকার অক্সানা অলিনিকরের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম এই চলচ্চিত্রের একটি ঐতিহাসিক ভুল তথ্য আছে। এখানে ইউক্রেনকে একটি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু ইউক্রেন তখনও সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ।  ‘আ ট্যাল অব লাভ অ্যান্ড ডার্কনেস’ নিয়ে আয়োজিত সে অনুষ্ঠানে নাটালি পোর্টম্যান।

তবে সবমিলিয়ে অস্কারজয়ী নায়িকা হয়তো তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে পারেন।  ইসরাইলকে অন্যভাবে দেখানোটা খুব একটা ভালো চোখে দেখেছে না সমালোচক শিবির। বলা হয়- সিনেমার জগতে কখনওই পক্ষপাতমূলক গল্প গ্রহণযোগ্য নয়।

 ছবিটির ট্রেলার দেখতে ক্লিক করুন: 

লেখক: প্রবাসী সাংবাদিক

/এম/

সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
অবশেষে মুক্তির বার্তা
অবশেষে মুক্তির বার্তা
হলিউডের প্রস্তাব ফেরালেন ক্যাটরিনা!
হলিউডের প্রস্তাব ফেরালেন ক্যাটরিনা!
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি জয়া
নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি জয়া