শিমুল-নওশাবা এখন ডি'সুজা দম্পতি!

শিমুল খান। ‘খল’ বলাটা ভুল হবে, কারণ চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতাদের সারিতে এরইমধ্যে পা ফেলেছেন তিনি। মুক্তিপ্রাপ্ত ১৪টি আর প্রতিক্ষীত ও শুটিং চলতি ২২টি ছবিতে তার চরিত্র প্রমাণ করে তাই।
নওশাবা আহমেদ। ছোট এবং বড় পর্দায় তিনিও বেশ ভার্সেটাইল। নাটক করেছেন অনেক, বিজ্ঞাপনও। বৈচিত্রময় চরিত্রে ছবিও করেছেন প্রায় হাফ ডজন। ‘উধাও’, ‘চন্দ্রাবতীর কথা’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘ভুবন মাঝি’, ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ ইত্যাদি।
অভিনয় বৈচিত্রে বেশ মিল রয়েছে শিমুল-নওশাবার মিডিয়া বায়োগ্রাফিতে। সেই অংক মেলাতেই হয়তো তরুণ পরিচালক তানিম রহমান অংশু এখন ব্যস্ত ‘স্বপ্নবাড়ি’র শুটিং সেটে। যেখানে গেল ২ অক্টোবর থেকে আলো-আঁধারি খেলা করছে, জন্ম দিচ্ছে ভৌতিক রোমাঞ্চ।
এবারই প্রথম ভিন্ন মাত্রার এই ছবিতে জুটি বেঁধে কাজ করছেন শিমুল-নওশাবা। চরিত্রের নামটাও অদ্ভুত, মিস্টার অ্যান্ড মিসেস ডি’সুজা! স্বাভাবিক, ছবির গল্পটাও ভৌতিক।
চরিত্রটি সম্পর্কে একটু খুলে বলুন। মানে ছবিতে আপনাদের সংসার সম্পর্কে জানতে চাইছি। আলো-আঁধারিতে একটি পুস্তক হাতে নিমগ্ন বসে থাকা মিস্টার ডি’সুজাকে এমন প্রশ্ন করতেই বললেন, ‘আমাদের সংসার! আসলে গল্পের এই সংসারটা আসলেই অন্যরকম। গা ছমছমে। এমনিতে আমরা দুজনে বেশ আছি। ভালোই কাটছে আমাদের সংসার।’
স্পষ্ট, আসলে ছবিটি মুক্তির আগেই গল্পের অতোটা ভেতরে প্রবেশ করতে চাইছেন না শিমুল খান ওরফে মিস্টার ডি’সুজা। শুধু এটুকু বললেন, ‘আমরা দুজনে (ডি’সুজা দম্পতি) নিজ ঘরে অন্ধকারেই থাকি। সারাক্ষণ ভূত-প্রেত চর্চা করি। মানে তাদের সঙ্গে আমাদের পরিবারের আলাদা একটা সখ্যতা রয়েছে! এর বেশি বলা যাবে না। ভূত ভাই-ব্রাদার মাইন্ড করবেন।’
এই অভিনেতা আরও জানান, গেল ২ অক্টোবর থেকে বাংলামোটর মোড়ে অবস্থিত একটি বহুতল ভবনের উপর সেট নির্মাণ করে চলছে ‘স্বপ্নবাড়ি’র শুটিং। এতে প্রধান নায়ক-নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করছেন আনিসুর রহমান মিলন এবং জাকিয়া বারী মম।   
পরিচালক জানান, মিলন-মম দম্পতি একটি বাড়ি ভাড়া নেন। এরপর সেই বাড়িতে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। এর পেছনে লুকিয়ে থাকে শিমুল-নওশাবা দম্পতির রহস্য। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এই দম্পতির কাছ থেকে বেরিয়ে আসে কিছু সত্য ঘটনা।
/এস/এমএম/