১৪তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হচ্ছে আজ শনিবার (৩ ডিসেম্বর ২০১৬)। বিকাল ৪টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে উৎসব উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। আরও থাকবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন চীনের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও বেইজিং ফিল্ম একাডেমির অধ্যাপক ড. শি ফি, উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন ইউসুফ ও উৎসব পরিচালক সৈয়দ ইমরান হোসেন কিরমানী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জার্মানী ও কানাডার পাঁচটি চলচ্চিত্র দেখানো হবে। নয় দিনের এই উৎসবে ১০৯টি দেশের মোট ৫৫০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। থাকছে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে বাংলাদেশে নির্মিত চলচ্চিত্রও।
১৪তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে উপমহাদেশের প্রথম চলচ্চিত্রকার হীরলাল সেন ও সদ্য প্রয়াত কথাসাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হককে।
এবার উৎসবের চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শন করা হবে জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন (৪–১০ ডিসেম্বর; প্রতিদিন বেলা ১১টা, ৩টা, বিকাল ৫টা ও সন্ধ্যা ৭টা), জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তন (৪–১০ ডিসেম্বর; প্রতিদিন বিকাল ৫টা ও সন্ধ্যা ৭টা) ও সুফিয়া কামাল মিলনায়তন (৪–১০ ডিসেম্বর; প্রতিদিন বেলা ৩টা, বিকাল ৫টা ও সন্ধ্যা ৭টা), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তন (৪–১০ ডিসেম্বর; প্রতিদিন বেলা ৩টা, বিকাল ৫টা ও সন্ধ্যা ৭টা), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মিলনায়তন (৫–১০ ডিসেম্বর; প্রতিদিন সকাল ১০টা, দুপুর ১২টা ও বেলা ২টা) এবং বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে (৪–৯ ডিসেম্বর; প্রতিদিন বেলা ৩টা, বিকাল ৫টা ও সন্ধ্যা ৭টা)।
এবার ঢাকার পাশাপাশি ৩–৬ ডিসেম্বর উৎসবের চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শন করা হবে রাজশাহীর লালন মঞ্চ ও বড়কুঠি মঞ্চে। থাকছে ইন্দোনেশিয়ার চলচ্চিত্রকার গ্যারিন নুগ্রহর পাঁচটি চলচ্চিত্র নিয়ে রেট্রোস্পেক্টিভ।
এবার উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ‘ট্রুথ, জাস্টিস অ্যান্ড জেনোসাইড’ শীর্ষক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সহযোগিতায় এই আয়োজন হবে ৯ ডিসেম্বর, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে।
উৎসবে দুটি মাস্টার ক্লাস আয়োজন করা হয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। ৫ ডিসেম্বর মাস্টার ক্লাস পরিচালনা করবেন ভারতের নীলোৎপল মজুমদার আর ৭ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার গ্যারিন নুগ্রহ। জাতীয় সেমিনার হবে ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার রুমে। বিষয় ‘সরকার ও মুক্ত চলচ্চিত্র’। বক্তা পরিচালক ড. জাকির হোসেন রাজু।
এবার উৎসবে চারটি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হবে। বিভাগগুলো হলো ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন (ফিকশন), ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন (ডকুমেন্টারি), নেটপ্যাক (নেটওয়ার্ক ফর এশিয়ান সিনেমা) ও তারেক শাহরিয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট শর্টস। পুরস্কার হিসেবে থাকছে আর্থিক সম্মাননা, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট। ১০ ডিসেম্বর বিকালে জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে আয়োজিত উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে দেওয়া হবে এই পুরস্কার।
১৯৮৬ সালের আগস্ট মাসে ‘বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম’ গঠন করা হয়। এ বছর সংগঠনটি ৩০ বছরে পদার্পণ করেছে। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম উপমহাদেশে প্রথম আন্তর্জাতিক স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করে।
/এমএম/