X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

চ্যানেল বন্ধ নয়, ভারতেই দেশীয় চ্যানেল চালুর দাবি

বিনোদন রিপোর্ট
০৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৪:৪৭আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৮:০৪

আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি সাজ্জাদ হোসেন ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও) চলমান আন্দোলনের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হলো আরও ৮ দফা দাবি। তবে দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় বাংলা চ্যানেল বন্ধের যে দাবি সামাজিক মাধ্যমে উঠছিল সে দাবিটি এতে যুক্ত হয়নি। বরং ভারতেই বাংলাদেশি চ্যানেল চালুর পক্ষে দাবি সংযুক্ত হয়েছে। নতুন দাবিগুলো হলো-

বিজ্ঞাপন প্রচারে গ্রহণযোগ্য সময়সীমা নির্ধারণ।
নাটকের বাজেট যৌক্তিক হারে বৃদ্ধি করতে হবে।
কপিরাইট প্রথা বহাল করতে হবে।
যোগ্য ব্যাক্তিদের নিয়ে প্রিভিউ কমিটি থাকতে হবে।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে, নির্ভূল, যথাযথ টিআরপি ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
ভারতে বাংলাদেশের চ্যানেল চালু করতে হবে এবং তাদের চ্যানেল ডাউনলিংক ফি'র সঙ্গে আমাদের চ্যানেল ডাউনলিংকের যে অসম ফি আছে তা অপসারণ করতে হবে।
এফটিপিওকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং
কোনও নাটক বা অনুষ্ঠান নির্মাণে অবশ্যই শিল্পী কলাকুশলীদেরকে এফটিপিও সংশ্লিষ্ট সংগঠনের তালিকাভুক্ত সদস্য হতে হবে।

রবিবার বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এফটিপিও'র নেতারা তাদের নতুন এই দাবিগুলো তুলে ধরেন। সংগঠনটির আহ্বায়ক নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, ‌‘গেল ৩০ নভেম্বর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সফল সমাবেশ পর্যালোচনা করে আমরা দেখেছি যে, আরও কিছু প্রাণের দাবি আছে যা খুবই সঙ্গতিপূর্ণ। তথ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহপরিচালককে প্রধান করে এফটিপিও'র সদস্যদের নিয়ে একটি কমিটি করার ঘোষণা দিয়েছেন। সেই কমিটিতে আমরা আমাদের নতুন এই দাবিগুলো উত্থাপন করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য দর্শকদের মানসম্মত অনুষ্ঠান উপহার দেওয়া এবং লাগামহীনভাবে বিজ্ঞাপন অত্যাচার থেকে সম্মানিত দর্শকদের রক্ষা করা।’

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব গাজী রাকায়েত, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক
এস এ হক অলীক, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার পাঠান, নাট্যকার সংঘের সভাপতি মাসুম রেজা, অভিনেত্রী-নির্মাতা রোকেয়া প্রাচী, প্রযোজক আলী বশির, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীসহ আরও অনেকেই।

সংবাদ সম্মেলনে এফটিপিও’র সদস্য সচিব গাজী রাকায়েত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সরকার এরমধ্যেই আমাদের আগের দেওয়া পাঁচটি দাবির একটি বাস্তবায়ন করেছে। এর জন্য আমরা আনন্দিত। আমরা আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই সেইসব টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে, যারা আমাদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে ডাবিং সিরিয়াল প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। আশা করছি, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতিটি চ্যানেল আমাদের এই দাবিটি বাস্তবায়ন করবে।’

প্রসঙ্গত, ‘শিল্পে বাঁচি, শিল্প বাঁচাই’ এই স্লোগান নিয়ে গেল ৩০ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়েছিল টেলিভিশনসংশ্লিষ্ট ১৩টি সংগঠন। শিল্পী-নির্মাতা ও কলাকুশলীদের স্মরণকালের সবচেয়ে বড় এই সমাবেশের সমন্বয় করছে সংগঠনগুলো নিয়ে গঠিত এফটিপিও।

সংগঠনগুলোর মধ্যে আছে শিল্পী সংঘ, ডিরেক্টরস গিল্ড, প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন, নাট্যকার সংঘসহ আরও বেশ ক’টি সংগঠন। সমাবেশে উপস্থিত শিল্পীদের একাংশ

প্রথম সমাবেশে পেশ করা পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো-
দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বাংলায় ডাবকৃত বিদেশি সিরিয়াল/অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধ করতে হবে।
টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ ক্রয় ও প্রচারের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট/এজন্সির হস্তক্ষেপ ব্যতিত চ্যানেলের অনুষ্ঠানসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে হবে।
টেলিভিশন শিল্পের সর্বক্ষেত্রে এ.আই.টির নূন্যতম ও যৌক্তিক হার পুনঃনির্ধারণ করতে হবে।
দেশের টেলিভিশন শিল্পে বিদেশি শিল্পী ও কলাকুশলীদের অবৈধভাবে কাজ করা বন্ধ করতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে কাজ করতে হলে, সরকারের অনুমতি এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠনসমূহে নিবন্ধিত হতে হবে।
ডাউন্ডলিংক চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে হবে। (যা এরমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাস্তবায়িত হয়েছে)

/এমএম/এম/

সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
অবশেষে মুক্তির বার্তা
অবশেষে মুক্তির বার্তা
হলিউডের প্রস্তাব ফেরালেন ক্যাটরিনা!
হলিউডের প্রস্তাব ফেরালেন ক্যাটরিনা!
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!