X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

নানি-নাতির অনবদ্য পরিবেশনায় গম্ভীরা উৎসবের সমাপ্তি

উদিসা ইসলাম
০৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৬:৪১আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৮:১৪

গম্ভীরা উৎসব-২০১৬ গম্ভীরা’র মাধ্যমে লোকসংগীতের উজ্জ্বল ধারা গড়ার প্রত্যয় জানিয়ে শেষ হলো প্রথম জাতীয় গম্ভীরা উৎসব-২০১৬।

গম্ভীরা মানেই নানা-নাতির নানান কথার মধ্য দিয়ে সমাজকে তুলে আনার গল্প। কী করা যাবে, কী করা ঠিক হচ্ছে না, সরকারের কোন উদ্যোগ ভাল বা খারাপ- এসব মিলিয়ে নানা-নাতি তা গানে-কথায় দুষ্টুমির ছলে দর্শক-শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরেন।
এবারের উৎসবের শেষ দিন সেই ধারায় যোগ হয়েছে ‘নানি-নাতি’র গম্ভীরা। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে নানা-নাতির গম্ভীরার বদলে নগরবাসী নানী-নাতির ভাষায় উপভোগ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলার বকুলতলায় শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সমাপনী দিনে গম্ভীরা পরিবেশনা করেন পাঁচটি দল। দলগুলো হলো কল্লোল-সুমনের আদি গম্ভীরা দল, শাহ্জামাল-মনিরের রসকস গম্ভীরা দল, শিশ মোহাম্মদ-সিতেশের চাঁপাই নকশী গম্ভীরা দল, ইসমত-সাবিনার প্রভাতী গম্ভীরা দল এবং জাহাঙ্গীর-আজিমের পরিবেশনায় প্রয়াস ফোক থিয়েটার।
শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত  দলগুলোর পরিবেশনায় মুখর ছিল চারুকলার বকুলতলা উন্মুক্ত চত্বর। চাপাইনবাবগঞ্জের ইতিহাস ঐতিহ্যের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ, অন্যায়ের প্রতিবাদ ফুটে ওঠে নানা-নাতির গম্ভীরায়।
সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভাষায় গম্ভীরা নামের যে শিল্পটি আছে তা আমার কাছে ব্যতিক্রম মনে হয়েছে। যারা গম্ভীরা উপস্থাপন করেন তাদের শুধু অভিনয় ও গান গাইলেই হয় না। গম্ভীরা যেমন আনন্দ দেয়, তেমনি প্রতিবাদেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন গণআন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এ শিল্পটি। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এবং উন্নয়নের ধারায় গম্ভীরার অবদান অনস্বীকার্য। সরকার যে সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে তাতে গম্ভীরা একটি সাংস্কৃতিক গণজাগরণ সৃষ্টি করেছে।’
সমাপনী অনুষ্ঠানে আয়োজক সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠন দিয়াড় এর আহ্ববায়ক মুখলেসুর রহমান মুকুল ও সদস্যসচিব আনোয়ার হক বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় পর্যায়ে প্রথমবারের মতো এ উৎসব শুরু হয় শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে। দু'দিনের গম্ভীরা উৎসব উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। ঐদিন আলাদা পাঁচটি গম্ভীরা দল তাদের চমৎকার পরিবেশনায় দর্শকদের মুগ্ধ করে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে লোকসংগীতের অন্যতম আকর্ষণীয় ধারা গম্ভীরা। মূলত এদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও ভারতের মালদা অঞ্চলে গম্ভীরার উৎস এবং প্রসার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলের গম্ভীরার মুখ্য চরিত্রে নানা-নাতি সব এলাকা ও বয়সী মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়।
দিয়াড়-এর সদস্যসচিব আনোয়ার হক জানান, গম্ভীরা উৎসব দিয়ে যে ধারার সূচনা হলো, তা অব্যাহত থাকবে। আগামীতে আলকাপ, কাহানি, বিয়ের গীত, ঝার্নিখেলা, লাঠিখেলার মতো লোকসংস্কৃতি নিয়ে ধারাবাহিক কার্যক্রম চালাবে সংগঠনটি।
/এমএম/

সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
সন্ধ্যা নামিলো শ্যাম: গানে ও চিত্রে মুগ্ধতার সমন্বয়
সন্ধ্যা নামিলো শ্যাম: গানে ও চিত্রে মুগ্ধতার সমন্বয়
রসায়ন পরীক্ষায় ১০ জনের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’!
রসায়ন পরীক্ষায় ১০ জনের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’!
শাকিবের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা অন্যরকম: চঞ্চল
শাকিবের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা অন্যরকম: চঞ্চল