X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১
ফিরে দেখা- ২০১৬

‘আয়নাবাজি’র কাছে ম্লান সবই

রুপক জামান
৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:১৬আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:১৬

আগের বছরগুলোর সাথে এ বছর আমাদের চলচ্চিত্রের গ্রাফটা কিছুটা ব্যালেন্সিং পথে হেঁটেছে। ‘বাণিজ্যিক ঘরানা’ শব্দযুগলে আটকে থাকা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র এবার মুক্তির পথ খুঁজেছে ‘আয়নাবাজি’ দিয়ে। যৌথ প্রযোজনার ছবি থেকেও সফলতার হার এগিয়েছে এ বছর। তবে বিফলতার পাল্লা ভারি হলেও সংখ্যা, বানিজ্য ও রাজনীতির বিচারে ঢাকাই চলচ্চিত্র বেরোতে পারেনি শাকিব খানের একচ্ছত্র অধিপত্ত থেকে।

বছরজুড়ে প্রভাব ছিলো প্রযোজনা-পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ারও। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির হিসাব মতে বছরের শেষ সপ্তাহে ‘মুখোশ মানুষ’ ও ‘অভিমান’সহ এ বছর ছবি মুক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬টি।

গেল ১২ মাসে ছবি মুক্তির তালিকা ধরে সফলতা-ব্যর্থতার খতিয়ান তুলে ধরা হলো-

আয়নাকে নিয়ে অমিতাভ-নাবিলার ‘বাজি’ জানুয়ারি

এ মাসে ছবি মুক্তি পায় পাঁচটি। মাসের প্রথমদিনে মুক্তি পাওয়া ‘মাটির পরী’ ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ। প্রয়াত গুণী নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের শেষ ছবি হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে দর্শক টানতে পারেনি ‘ভুল যদি হয়’। ইমন ও আলিশার ছবিটি মুক্তি পায় ৮ জানুয়ারি। বিগত দশ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করবে এমন স্লোগান দিয়ে জাজ মুক্তি দেয় ‘অঙ্গার’। নতুন নায়িকা জলির অভিনয় দর্শকদের কাছ থেকে পাশ মার্ক পেলেও প্রযোজকের পকেট ফাঁকাই থাকলো। বিভিন্ন উৎসবে এবং মিডিয়া রিভিউতে প্রশংসিত রুবাইয়াত হোসেনের ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ অনেকটা নিরবেই মুক্তি পায়। মাসের শেষ সপ্তাহের সাইমন-পরীমনির ছবি ‘পুড়ে যায় মন’-এরও ব্যবসায়িক ফলাফল ভাল ছিল না। সম্পর্কিত

বাপ্পি ও মিমের ‘সইটহার্ট’ ফেব্রুয়ারি

প্রথম মাসটি আশানুরুপ না যাওয়ায় সবাই ভেবেছিলেন এ মাসটি ভাল যাবে। কিছুটা গিয়েছিল। তবে ৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়া ‘রাজা ৪২০’ শাকিব খানের নামে কয়েকদিন হলে দর্শক টানলেও প্রদর্শকরা এটির ব্যবসায় খুশি নন। ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে ১২ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায় ‘সুইট হার্ট’। বাপ্পি-মিম জুটির ছবিটি দর্শকদের মধ্যে বেশ আগ্রহের সৃষ্টি করে। কমন প্যার্টানের বাইরে গিয়ে আলাদা বাপ্পিকে পাওয়া শহুরে দর্শকরা ছবিটি গ্রহণ করলেও ‘নিয়মিত বাংলা ছবির দর্শক’রা নাকি পছন্দ করেননি নতুন বাপ্পিকে। আর তাই প্রযোজকের মন ভরেনি ছবির ব্যবসায়। ২০ ফেব্রুয়ারি মৌসুমি-ওমর সানির ‘ভালোবাসবোই তো’ নামমাত্র দু-একটি হলে মুক্তি পায়।

কৃষ্ণপক্ষ’র গানে মাহি ও রিয়াজ। পরের সপ্তাহে জাজের বড় ছবি ‘হিরো ৪২০’ মুক্তি পায়। যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগে ছবিটিকে সতর্ক করেছিল তথ্য মন্ত্রনালয়। তবে এ মাসের ‘মোটামুটি হিট’ ছবি এটি। আমদানিকৃত ভারতীয় ছবি নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন চললেও মাসের শেষ শুক্রবার মুক্তি পায় ভারতীয় বাংলা ‘বেপরোয়া’ ও ‘বেলাশেষে’। এ দুটি ছবির বিপরীতে দর্শকদের মূল আকর্ষণ ছিল ‘কৃষ্ণপক্ষ’ নিয়ে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প, মেহের আফরোজ শাওনের পরিচালনায় মাহির প্রথম সাহিত্যনির্ভর ছবি দর্শক বেশ ভালভাবেই নিয়েছিল। মুক্তির প্রথম সপ্তাহে হল নিয়ে ‘ফিল্ম পলিটিক্স’-এর শিকার হয় ছবিটি। এরপরও দর্শকের আগ্রহের কারণে ছবিটি আস্তে আস্তে প্রায় শতাধিক হলে চলে। সম্পর্কিত

‘ভোলা তো যায় না তারে‘ ছবিতে নিরব-তানহা জুটি মার্চ

সাতটি ছবি মুক্তি পায় এ মাসে— ‘ছিন্নমূল’, ‘গুণ্ডামি’, ‘বুলেট বাবু’, ‘মিয়া বিবি রাজি’, ‘ভোলা তো যায় না তারে’, ‘ছোট কাকু’ ও ‘উতলা মন’। কাজী হায়াত তার নামের কদর ধরে রাখতে পারেননি ‘ছিন্নমূল’ দিয়ে। তার নামের কারণে দর্শক হলে গেলেও প্রযোজকের অভিযোগ ছিল ‘ফিল্মি পলিটিক্স’-এ ছবিটি আশারনুরূপ হল পায়নি। এ মাসে সবেধন নীলমণি ‘ভোলা তো যায় না তারে’ ও ‘ছোট কাকু’। মৌলিক ও সুন্দর গল্পের কারণে পরিচালক রফিক শিকদার প্রশংসিত হন ‘ভোলা তো যায় না তারে’। তবে ব্যবসায়িক সফলতা বলার মত ছিল না এটির। আর চ্যানেল আইয়ের ছবি ‘ছোট কাকু’ মাত্র একটি হলে মুক্তি পায়।

এপ্রিল

মার্চ পর্যন্ত বলার মতো তেমন কোনও ছবি না থাকলেও এ মাসে বেশকিছু ভাল ছবি মুক্তি পায়। প্রথম সপ্তাহে মুক্তি পায় ‘মন জানে না মনের ঠিকানা’। মুশফিকুর রহমান গুলজারের পরিচালনায় ছবিটিতে পরীমনি ও শিরিন শীলার অভিনয় প্রশংসিত হয়। তবে প্রযোজনা সংস্থা ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ‘হল বিমুখ’ নীতির কারণে দর্শকরা খুব একটা ছবিটির খবর জানতে পারেনি। প্রথম সিরিজের ধারাবাহিকতায় ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনি-টু’ও খানিক সফলতা পায়। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছবিতে ক্রিকেটার শাকিব খানের হাস্যকর উপস্থিতি নিয়ে বছরজুড়ে হাসাহাসি হয়। শাকিব-জয়া আহসান জুটির এই ছবিটি মুক্তি পায় ৮ এপ্রিল। ‘পিডিপিকে-টু’তে শাকিব ও জয়া

একই সপ্তাহে মুক্তি প্রাপ্ত জাকির হোসেন রাজুর ‘অনেক দামে কেনা’ ছবিটিও ‘মাহি-বাপ্পি’ জুটির সুনামের কারণে ভাল করে। বেশকিছু বিতর্ক সৃষ্টি করলেও মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে ভালই সাড়া পেলো ‘শঙ্খচিল’। গৌতম ঘোষ পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পায় ১৫ এপ্রিল। ২২ এপ্রিল মুক্তি পায় আশিকুর রহমানের ‘মুসাফির’। বাংলাদেশের ছবিতে অ্যাকশনে নতুনত্ব আনায় আরিফিন শুভ-জেনিফার জুটির ছবিটি দর্শক গ্রহণ করে। প্রযোজক ‘হিট’ বলছেন একে। মাসের শেষ শুক্রবার মুক্তি পায় ‘বাজে ছেলে’ ও ‘আইসক্রিম’। রোদওয়ান রনির দ্বিতীয় ছবি ‘আইসক্রিম’-এর গল্প তরুণ প্রজন্ম লুফে নেয়। হল সংকটের কারণে পরিচালক বাধ্য হন বিকল্প প্রদর্শনীর আয়োজনে। অন্যদিকে ‘বাজে ছেলে’ প্রথম দু-একদিন ব্যবসা করলেও নামের মত ব্যবসা করে। বাপ্পি বেশ সমালোচিত হন এ ছবিতে অভিনয় করে। সম্পর্কিত

‘অস্তিত্ব’তে শুভ ও তিশা মে

‘অস্তিত্ব’, ‘অজান্তে ভালোবাসা’, ‘রুদ্র’ ও ‘দিওয়ানা মন’- এ চারটি ছবি মুক্তি পায় এ মাসে। এর মধ্য আলোচনা ও ব্যবসায় এগিয়ে ছিল অনন্য মামুনের ‘অস্তিত্ব’। আরিফিন শুভ ও তিশার অভিনয় প্রশংসিত হয়। এটি মুক্তি পায় ৬ মে। ‘রুদ্র’ মুক্তির আগের ট্রেইলারে ঝড় তুললেও সিনেমা হলে তুলতে পারেনি।

 জুন

পবিত্র রমজানের কারণে এ মাসে কোনও ছবি মুক্তি পায়নি।

‘শিকারী’তে শাকিব খান ও শ্রাবন্তী। জুলাই

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পাঁচটি ছবি মুক্তি পায়— ‘শিকারী’, ‘বাদশা দ্য ডন’, ‘সম্রাট’, ‘রানা পাগলা’ ও ‘দর্পন বিসর্জন’। ‘দর্পন বিসর্জন’ ছাড়া বাকি চারটি ছবি আলোচনায় ছিল। যৌথ প্রযোজনার ‘শিকারী’ ঈদে রেকর্ড ব্যবসা করে। মূলত শাকিবের নতুন লুক সকল শ্রেণীর দর্শকদের হলে টেনে নিয়ে যায়। এটিকে বছরের এক নম্বর ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে বিবেচনা করাই যায়।

এর আগে জিতের আমদানিকৃত কোনও ছবি বাংলাদেশে ভাল চলেনি। কিন্তু ‘বাদশা দ্য ডন’ ব্যাপক ব্যবসা করে প্রমাণ করে দেয় একই সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ তার নতুন ছবি মুক্তি দিলে ভালোই জমবে। ‘রানা পাগলা’ ছবিতে তিশা, পড়শি, আঁচল ও শাকিব খান- এমন মাল্টি কাস্টিংয়ের কারণে আগে থেকেই আলোচিত ছিল। গল্পে বেশকিছু অসামঞ্জস্যতা থাকলেও এটিও ব্যবসায়িক সফলতা পায়। ‘সম্রাট’ ছবিতে শাকিবের লুকে নতুনত্ব ও ভাল গানের কারণে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করেছিল। এতে শাকিব খানের চেয়ে অপু বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীলের অভিনয় প্রশংসা পায়। মাস শেষে আমদানিকৃত ভারতীয় বাংলা ‘কেলোরকীর্তি’ মুক্তি পেলেও ব্যবসায়িক সফলতা পায়নি। সম্পর্কিত

  অজ্ঞাতনামা’র একটি দৃশ্যে সেলিম ও বাবু। আগস্ট

এ মাসের প্রাপ্তি বলতে ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘নিয়তি’ ও ‘এক জবানের জমিদার হেরে গেলেন’। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উৎসবে পুরস্কৃত তৌকির আহমেদের ‘অজ্ঞাতনামা’ অজ্ঞাত কারণে দর্শকরা খুব বেশিদিন হলে দেখতে পায়নি। এরজন্য প্রযোজনা সংস্থা ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রচারবিমুখতাকে দায়ী করা হয়। যার প্রমাণ ছবিটি ইউটিউবে ছাড়ার পর দর্শকদের হুমড়ি খেয়ে পড়া। এটি হলে মুক্তি পেয়েছিল ১৯ আগস্ট। যৌথ প্রযোজনার ‘নিয়তি’ মোটামুটি ভাল ব্যবসা করে। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ছবিটিতে ছিলেন আরিফিন শুভ ও জলি। মুক্তি পায় ১২ আগস্ট। হুমায়ূন ফরিদীর শেষ ছবি হিসেবে ‘এক জবানের জমিদার হেরে গেলেন’ মুক্তি পায় ২৬ আগস্ট। প্রচারণার অভাবে ‘ফ্লপ’ হয়। এছাড়া এ মাসে ‘আড়াল’, ‘মাস্তানি’ মুক্তি পেলেও আলোচনা বা ব্যবসা কোনওদিক দিয়েই কিছু করতে পারেনি।

 সেপ্টেম্বর

ঈদুল আজহার মাত্র দু’সপ্তাহ আগে মুক্তি পায় নারগিস আক্তারের ‘পৌষ মাসের পিরিতি’। দীর্ঘ সাত বছরের প্রচেষ্টায় মুক্তি পাওয়া ছবিটি ওইভাবে হলে আলোড়ন না তুললেও ভাল গল্প ও অভিনয়ের জন্য প্রশংসা পায়। আগের ঈদের সফলতায় সবাই ভেবেছিলেন ঈদুল আজহায়ও একই রকম ব্যবসা করবে ছবিগুলো। তবে খুব বেশি খারাপ করেনি ‘রক্ত’, ‘শুটার’ ও ‘বসগিরি’। শাকিবের নতুন আবিষ্কার নায়িকা বুবলির কারণে দর্শক হলে যায় ‘বসগিরি’ দেখতে। গল্প নিয়ে দর্শক বিরক্ত হলেও ব্যবসায়িক সফলতায় ঈদে এক নম্বরে ছিল এটি। এরপর পরই ছিল ‘রক্ত’। পরীমনির ‘ডানা কাটা পরী’ গানের কারণে এটিও প্রচুর দর্শক টানে। কিন্তু ‘শুটার’ হলে ওইভাবে দর্শক টানতে না পারলেও প্রযোজকের দাবি তিনি ‘ত্রিশ লাখ’ টাকা লাভ করেছেন!

রক্ত’তে পরীমনি। এ মাসের শেষ সপ্তাহে মুক্তি পায় ‘আয়নাবাজি’ ও ‘এক রাস্তা’। মাত্র ২১টি হলে মুক্তি পাওয়া অমিতাভ রেজার প্রথম ছবিটি তৃতীয় সপ্তাহে গিয়ে চলে প্রায় আশিটি হলে। চঞ্চল চৌধুরী ছয়টি চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করে দর্শকদের একাধিকবার হলে টেনে নিয়ে যায়। সর্বশেষ প্রযোজকের ভুলে পাইরেসির শিকার না হলে এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বাধিক ব্যবসাসফল ছবির একটি হতে  পারত। একই সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া বাপ্পি-ববি’র ‘এক রাস্তা' প্রথম সপ্তাহে ভাল করলেও পরে ‘আয়নাবাজি'র ঝড়ে টিকতে পারেনি। সম্পর্কিত

অক্টোবর

আগের মাসে ‘আয়নাবাজি'র সফলতার কারণে এ মাসে বেশকিছু ছবি মুক্তির মিছিল থেকে সরে গেলেও মাত্র দুটি ছবি মুক্তি পায়— ‘প্রেম কি বুঝিনি' ও ‘চোখের দেখা'। যৌথ প্রযোজনার ‘প্রেম কি বুঝিনি' কিংবা সাইমন-অহনার ‘চোখের দেখা' দর্শক টানতে পারেনি হলে।

 নভেম্বর

এ মাসে মুক্তি পায় দুটি ছবি— ‘ভালোবাসাপুর’ ও ‘যদি তুমি জানতে'। বিপিএল ও ‘আয়নাবাজি’ রেখে দর্শকদের এগুলো দেখার মোটেই সময় ছিল না।

ডিসেম্বর

আগের বছরগুলোতে ডিসেম্বর মাসে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ছবি মুক্তির প্রবণতা লক্ষ করা গেলেও এ বছর ‘লাল সবুজের সুর' ছবিটি মুক্তি পায় শুধু। ওমর সানি অভিনীত ছবিটি টিভি প্রিমিয়ারেই সীমাবদ্ধ ছিল। শাকিবের কারণে হল মালিকরা নেন ‘ধুমকেতু'। ৯ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া ছবিটির পরিচালক শফিক হাসানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেন নায়িকা তানহা তাসনিয়া। যাই হোক ছবিটি ‘ফ্লপ'। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া অনন্য মামুনের ‘আমি তোমার হতে চাই'ও হলে ভাল পরিমাণে দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে হলে দর্শক যেমনই থাকুক এস এ হক অলিকের ‘এক পৃথিবী প্রেম' ভালই প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ‘বৃদ্ধাশ্রম’ নিয়ে বানানো ছবিটিতে আসিফ নূর, আইরিন, এটিএম শামসুজ্জামান, আবুল হায়াত, হাসান ইমাম ও আমিরুল ইসলাম চৌধুরীর মতো অভিনেতারা কাজ করেছেন।

বছরের শেষ ছবি হিসেবে গতকাল (৩০ ডিসেম্বর) মুক্তি পেয়েছে ইয়াসির আরাফাত জুয়েল পরিচালিত ‘মুখোশ মানুষ' ও আমদানিকৃত ভারতীয় বাংলা ছবি ‘অভিমান'। সাইবার ক্রাইম নিয়ে নির্মিত ‘মুখোশ মানুষ' বেশ আগে থেকেই বিতর্কিত হয়েছে ট্রেলারের কারণে। রয়েছে প্রযোজনাকেন্দ্রীক জটিলতাও। অন্যদিকে জিতের ‘অভিমান'র বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আন্দোলন শুরু হয়েছে। দেখার বিষয় সকল সমালোচনা ও বিতর্ক কাটিয়ে বছরের শেষ ছবি দুটি কেমন ব্যবসা করে। সম্পর্কিত

/জেডএ/এমএম/

সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!