X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘এটা বেলাল-ন্যান্‌সির মানসিক দ্বন্দ্ব'

সুধাময় সরকার
১৫ জানুয়ারি ২০১৭, ১৭:৪৯আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০১৭, ১২:৪০

এফ এ সুমন। ছবি: সংগৃহীত ভেতর কান্দে, মন মুনিয়া, দরদিয়া, জাদুরে, ঘুম পাড়ানি বন্ধু, রঙিলারে- এমন অনেক জনপ্রিয় গান শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন এই প্রজন্মের সংগীতশিল্পী এফ এ সুমন। বলা হয়, শেষ পাঁচ বছরে যাদের গান সর্বাধিক হিট হয়েছে, তিনি অন্যতম। মিডিয়ায় সেটি নিয়ে কতটা আলাপ হয়েছে সেটা আপেক্ষিক বিষয়। তবে অডিও-ভিডিও প্রযোজকদের কাছে এখনও এফ এ সুমনের অবস্থান ‘সোনার ডিম পাড়া রাজহাঁসে’র ব্যতিক্রম কিছু নয়! অন্যদিকে সাম্প্রতিক দুটি বিতর্কিত বিষয়ের সঙ্গেও জড়িয়ে গেছে তার নাম!

বাংলা ট্রিবিউন ‘মুখোমুখি’ বিভাগে কথা হলো এর সবটা নিয়েই।

বাংলা ট্রিবিউন: কেমন আছেন?

এফ এ সুমন: এই তো। চলছে।

বাংলা ট্রিবিউন: গেল বছর অক্টোবরে একটি বিব্রতকর মামলা-মকদ্দমার ঘটনা ঘটে আপনার জীবনে। সেটির কী অবস্থা?

এফ এ সুমন: ওটা সমাধান হয়ে গেছে। আদালতে সেটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। না হলে তো আর আমি এভাবে মুক্ত বাতাসে গান গেয়ে ঘুরে বেড়াতে পারতাম না। ওটা সল্ভ হয়েছে তখনই। কারণ, সবই ছিলো সাজানো ষড়যন্ত্র।

বাংলা ট্রিবিউন: কিন্তু পরবর্তী কালে এই বিষয়ে আপনি তো আর কিছু বললেন না কোথাও। এমনকি আত্মপক্ষ সমর্থনে ফেসবুকেও কোনও স্টেটমেন্ট দেননি। বিষয়টি নিয়ে এখনও কিন্তু বিভ্রান্তি রয়ে গেছে। কারণ, স্পষ্ট নয়।

এফ এ সুমন: প্রথমত এটা আদালতের বিষয় ছিলো। সেখানেই যা বলার বলেছি। এবং আমি নির্দোষ প্রমাণ করতে পেরেছি নিজেকে। আদালত প্রাঙ্গণ থেকেই আমি বিষয়টিকে জীবন থেকে মুছে ফেলেছি। এ নিয়ে আর কথা বলতেও ইচ্ছে করে না। আর কথা বলেও লাভ কী? আমাদের দেশের মানুষ হলো খারাপ! যখন এই নিয়ে কিছু লিখবো বা বলবো- তখনই মানুষ সেখান থেকে ‘কিন্তু’ বের করবে। তাই চুপ করে সব কষ্ট নিজের ভেতর চাপা দিয়ে রেখেছি। বাদ দিন ওসব!

এফ এ সুমন। ছবি: সংগৃহীত বাংলা ট্রিবিউন: এবার এই সময়ের কথা বলুন। গানের পরিকল্পনা কী?
এফ এ সুমন: প্রতিদিন গান তৈরি করছি, কণ্ঠ দিচ্ছি। চলছে তো। এরমধ্যে অনেকগুলো মিশ্র অ্যালবামের জন্য গান করলাম। যেগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন সময় প্রকাশ পাবে।
বাংলা ট্রিবিউন: আর একক?
এফ এ সুমন: বছরে একটি করে একক অ্যালবাম উপহার দেওয়ার চেষ্টা করি। এরইমধ্যে এই বছরের কাজটি শুরু করেছি। টার্গেট রোজার ঈদ। আর ভালোবাসা দিবসের জন্য জি-সিরিজ থেকে একটা প্রজেক্ট করছি।
বাংলা ট্রিবিউন: একটা মানে! বছরে তো বিভিন্ন ব্যনার থেকে আপনার অনেকগুলো অ্যালবাম প্রকাশের চিত্র দেখি।
এফ এ সুমন: ওগুলো অ্যালবাম কে বলছে? ওগুলা তো ক্ষুদ্র অ্যালবাম। বিচ্ছিন্ন বিষয়। দুই-তিনটা গান দিয়ে কী অ্যালবাম হয়? আমার একক অ্যালবামে কমপক্ষে নয় থেকে দশটা গান থাকে। এবং আমার সব একক প্রকাশ পেয়েছে জি-সিরিজ থেকে। ৯ নম্বর একক অ্যালবামটিও আসবে একই ব্যনার থেকে।
বাংলা ট্রিবিউন: কিন্তু যতদূর কানে এসেছে জি-সিরিজ থেকে মাঝে আপনি সরে এসেছেন। এখন আবার...
ফ এ সুমন: দেখুন এক ঘরে থাকলে মান-অভিমান হবেই। ওটা বিষয় না। শুরু থেকে আমি জি-সিরিজে ছিলাম, এখনও আছি।
বাংলা ট্রিবিউন:  অনেকেই বলে- এখন তো ইপি (তিন গান) আর ভিডিওর সময়! ইপি’কে তো আপনি গুরুত্বহীন বলছেন। কিন্তু ভিডিও বিষয়টাকে তো হেলাফেলা করা মুশকিল। কী বলেন?
এফ এ সুমন: ভিডিও নিয়েও সত্যি আমার কোনও বিশেষ আগ্রহ নেই। কণ্ঠশিল্পী এবং সংগীত পরিচালক হিসেবে এখনও আমার কাছে মূল বিষয় অডিও গান। আমার মতে, আগে গানটা বানাতে হবে মনের মতো। তারপর সেটাকে ঘিরে অনেক কিছুই হতে পারে। হচ্ছেও। কিন্তু গানের আগেই যদি ভিডিও নিয়ে ডুবে থাকি- তাহলে আমি পারবো না। গানের ক্ষেত্রে ভিডিও আমার কাছে অফিশিয়াল কোনও বিষয় না। গানের প্রচারের জন্য ওটা নিয়ে প্রযোজক ভাববেন।
বাংলা ট্রিবিউন: আপনার কথায় শতভাগ যুক্তি আছে। কিন্তু চলতি পথে ডান-বামেও তো তাকাতে হয়। গানের সঙ্গে ভিডিওটা কিন্তু কম গুরুত্মপূর্ণ নয়। সেক্ষেত্রে আপনি নিজেই যদি নিজের ভিডিওর প্ল্যান করেন- তো পুরো বিষয়টা ভালো হওয়ারই কথা।
এফ এ সুমন: দেখুন আমার আনঅফিশিয়াল এমন অনেক ভিডিও আছে ইউটিউবে যেগুলোর ভিউ ৪০ থেকে ৭০ লাখ পর্যন্ত আছে। ক’জনার ক’টা গানে এমন ভিউ আছে- সেটা আপনারাই ভালো জানেন। অথচ এই ভিডিওগুলোতে আমার কোনও সংশ্লিষ্টতাই ছিলো না। এখন ধরেন ‘বলতে বলতে চলতে চলতে’র মতো আরেকটা হিট ভিডিও কি ইমরান আর দিতে পারবে? পারবে না।
বাংলা ট্রিবিউন: এটা অবশ্য কঠিন কাজ। চেষ্টা করলে আরও হিট ভিডিও-গান ইমরানের হলেও হতে পারে। আপনার ‘ভেতর কান্দে’-ও তো সুপার হিট। সেটি কি অতিক্রম করতে পেরেছেন?
এফ এ সুমন: ‘ভেতর কান্দে’র মতো আমার অনেক সুপারহিট গান আছে। ‘জাদুরে’, ‘ঘুম পাড়ানি বন্ধু’ এসব গান সুপারহিট। সেমি-হিট অসংখ্য গান আছে। কিন্তু এই গানগুলোর খবর মিডিয়ার মানুষ রাখেনি, জানায়নি কাউকে। মিডিয়াতে আমি হাইলাইট না। আবার বেশি হাইলাইট হলেও সমস্যা আছে। আমার কথা হচ্ছে, মানুষ গান শুনছে- নিরিবিলি শুনুক না। এত মিডিয়া ফোকাসের কী দরকার?
এফ এ সুমন। ছবি: সংগৃহীত বাংলা  ট্রিবিউন: প্রচার নিয়ে আপনার মধ্যে দ্বিধা রয়েছে। সেটুকু স্পষ্ট। তবে গান হিট এবং তারকা ইমেজ তৈরির জন্য মিডিয়া ফোকাস বেশ গুরত্বপূর্ণ।
এফ এ সুমন: দেখুন মিডিয়ার গুরুত্বকে আমি খাটো করে দেখছি না। কিন্তু আমি আপনার দফতরে গিয়ে বসে থাকবো, আপনাকে নিয়মিত নক করবো। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বলবো- বাজেট দেন বিশাল একটা ভিডিও করবো! কেন আমাকে তোতা পাখির মতো জনে জনে বলতে হবে- এই বছর আমার এই গানগুলো সুপারহিট, সেমি হিট ইত্যাদি। আমি এই ধারার মানুষ নই। হ্যাঁ, আমার কাছে আসেন- আমি আপনাকে প্রাণ খুলে দিবো। কিন্তু আমি ঢোল কাঁধে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারবো না। তাই মিডিয়ায় আমাকে নিয়ে মাতামাতি কম। আমি এসব কথা বলি বলে অনেকেই আমাকে অপছন্দ করেন।
বাংলা ট্রিবিউন: প্রাসঙ্গিক অন্য প্রসঙ্গে যাই। অনেকেই জানেন না, ‌‌‌‌‘ভেতর কান্দে’ মূলত আপনার সংগীত পরিচিতি না। আপনি এসেছেন রক ঘরানা থেকে। গিটারিস্ট হিসেবে আপনার হাত এখনও অনবদ্য।
এফ এ সুমন: জানেন না একই কারণে। কেউ জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি। আমিও তো অভিমানী। এখন জানতে চেয়েছেন, একটু বলি! আমি আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ড করা মিউজিশিয়ান। এখনও আমি প্রতিটি একক অ্যালবামে তিন-চারটি রক ঘরানার গান করার চেষ্টা করি। কিন্তু মানুষ তো আমাকে গ্রহণ করেছেন অন্য ঘরানার গানে। তাই সেটিও করতে হচ্ছে। তবে, আস্তে আস্তে আমি শ্রোতাদের চাহিদা বদলনোর চেষ্টা করছি।
বাংলা ট্রিবিউন: এবার একেবারে সাম্প্রতিক একটি বিতর্ক নিয়ে কথা বলি। যেটির সঙ্গে আপনার নামটাও জড়িয়ে আছে।
এফ এ সুমন: পাগল তোর জন্য!
এফ এ সুমন। ছবি: সংগৃহীত বাংলা ট্রিবিউন: হুম। পাগল...। জুলফিকার রাসেলের কথায় বেলাল খানের কণ্ঠ-সুরে গানটি দারুণ হিট। এতে বেলালের সহশিল্পী ছিলেন ন্যান্‌সি। কিছু বলবেন? না প্রশ্ন করবো?

এফ এ সুমন: প্রশ্ন অবশ্যই করবেন। আগ বাড়িয়ে বলার মানুষ আমি না। তবে প্রশ্ন করার আগে আমি এটুকু স্পষ্ট করে রাখি, এই গানের সুরকার আমি না।

বাংলা ট্রিবিউন: কিন্তু ন্যান্‌সি বাংলা ট্রিবিউনকে জানালেন, কোনও একদিন আপনি তার কাছে দাবি করেছেন- এটা আপনার সুর! যদিও তিনি তার সর্বশেষ টিভি লাইভে গানটি গাওয়ার আগে বলেছিলেন- এটির কথা-সুর সংগৃহীত! সুরকার হিসেবে আপনার নামটা বললেও পারতেন। কোনও ক্ষোভ প্রকাশ করবেন?

এফ এ সুমন: আমার তো হাসি পাচ্ছে। হাসি মুখে ক্ষোভ প্রকাশ করবো কীভাবে! আমি আসলে গেল দুদিন ধরে চলা এই বিতর্ক লক্ষ করেছি। বিষয়টি দেখে আমার কাছে খুবই বিব্রতকর মনে হয়েছে। কারণ, এই বিতর্কটির কোনও মানে হয় না।

বাংলা ট্রিবিউন: ‘মানে’ হবে না কেন? এমন একটি জনপ্রিয় মৌলিক গানের সুরকার-গীতিকার হুট করে ‘সংগৃহীত’ হয় কেমন করে?

এফ এ সুমন: আমিও তাই বলছি। এটা খুবই আপত্তিকর এবং অর্থহীন বিতর্ক। কারণ এই গানের গীতিকার-সুরকার-শিল্পীর নাম সবারই জানা। শুধু পেছনের গল্পটা অনেকেরই অজানা।

বাংলা ট্রিবিউন: গল্পটা জানতে চাই, যদি সেটি ‘সংগ্রহ’ নাটক থেকে বের হওয়ার রাস্তা দেখায়।

এফ এ সুমন: রাস্তাটা পাওয়া যাবে কিনা, সেটি আমি নিশ্চিত নই। কারণ, গানটির গীতিকার জুলফিকার রাসেল, সুরকার বেলাল খান- এ বিষয়ে আমিসহ কোথাও কারও কোনও দ্বিমতের সুযোগ নেই। এটা আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি। কারণ শুরু থেকে এই গানটির সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম।

এফ এ সুমন। ছবি: সংগৃহীত বাংলা ট্রিবিউন: একটু বিস্তারিত বলবেন? থার্ড আই হিসেবে আপনার মন্তব্যটা খুব জরুরি- এই ‘সংগ্রহ-বিতর্ক’ লাঘবের জন্য।
এফ এ সুমন: সে অনেক লম্বা ইতিহাস। ২০১০-১১ সালের কথা। ছবিটি ছিলো পরিচালক মঈন বিশ্বাসের। বেলাল তাকে নিয়ে আসে আমার কাছে। বলে, মঈন ভাইয়ের নতুন ছবির জন্য আমাদের গান করতে হবে। এরপর আমি কিছু গান সুর করেছি, বেলাল করেছে কিছু। চলছে রেকর্ডিং। এরমধ্যে একদিন ন্যান্‌সির ভয়েসসহ ‘পাগল তোর জন্য’ গানটি বেলাল নিয়ে আসে আমার কাছে। পরিচালক চেয়েছেন এই গানটিতে ছেলের কণ্ঠটা হবে বাপ্পা দা’র। কিন্তু বেলালের ইচ্ছে ছিল- নিজেই সেটিতে কণ্ঠ দেবে।
 বাংলা ট্রিবিউন: এরপর নিজেই দিয়ে দিলো?
এফ এ সুমন: দিয়ে দিলো মানে, ও তো তখন অন্য বেলাল খান ছিলো। মনে পড়ে, মানুষ যখন উঠতি সময় থাকে তখন কতটা বিনয়ী হয়। তার মধ্যে তখন সেই বিনয় এবং গান গাওয়ার আকুতিটা দেখেছি। আমি নিজেও তো তখন স্ট্রাগলার। তো আমি বেলালের মনের কথা বুঝে- মঈন বিশ্বাসকে অনুরোধ করে বললাম- ভাই গানটা ন্যান্‌সির সঙ্গে বেলাল গাইলে সবচেয়ে পারফেক্ট হবে। ওই গাক। গেয়ে বড় হোক। অসুবিধা কী?
বাংলা ট্রিবিউন: বেশ মজার তথ্য দিলেন।
এফ এ সুমন: দেখুন কাজ করতে গেলে, একটু উপরে উঠতে গেলে এমন অনেক গল্পের জন্ম হয়। আবার সেসব গল্পের অপমৃত্যুও হয় হিট হয়ে যাওয়ার পর। যাই হোক, তখন থেকেই আমার সঙ্গে জি-সিরিজের সম্পর্ক। তো গানগুলো শেষ করে অডিও প্রকাশের জন্য খালেদ (প্রযোজক, জি-সিরিজ) ভাইকে দিলাম। তিনি গান শুনে বললেন, ছেলের (বেলাল) কণ্ঠটা বাদ দিতে হবে। যথারীতি আমি অনুরোধ করলাম। বললেন, তাহলে ন্যান্‌সির একটা সলো ভার্সনও রেডি করো। আমি নিজে নতুন করে কথা-সুর ঠিক রেখে গানটির একটি সলো ভার্সন করি। এবং সেটিই ওই অ্যালবামের প্রথম গান থাকে। এটি শুনলেই দেখবেন, দুটির কম্পোজিশন পুরো আলাদা। এবং প্রথম হিট হয় ন্যান্‌সির গানটাই। পরে অবশ্য দ্বৈত গানটিও হিট হয়।
বাংলা ট্রিবিউন: কিন্তু শোনা যাচ্ছে এবং ন্যান্‌সিও হলফ করে বলছেন এই গানটি মূলত আরেক জনের। যেটি বিউটি কর্নার থেকে প্রকাশ পেয়েছে ২০০৯ সালের দিকে। আপনি জানতেন না?
এফ এ সুমন: যখন গানটি নিয়ে কাজ করছিলাম আমরা, তখন এ বিষয়ে জানতাম না। হিট হওয়ার পর কানে আসলো এটি নাকি কিরণ নামের একজনের গান। তখন আমি-বেলাল খান জি-সিরিজে বসে ওই শিল্পীর সঙ্গে সেটির সমাধানও করি।
বাংলা ট্রিবিউন: গানটির কথা-সুর তবে কি কিরণের!
এফ এ সুমন: মোটেই না। গানটি বেলালের সুরে প্রথমে গেয়েছেন কিরণ। তারও তিন বছর পর বেলাল সেই সুর নিয়ে সিনেমার জন্য গান তৈরি করে। যতদূর ধারণা, সুরটা ছিলো অসাধারণ। সেই ভালো সুরটাকে বেলাল সিনেমার মাধ্যমে কাজে লাগতে চেয়েছিল। এবং আগের লিরিক ফেলে দিয়ে জুলফিকার রাসেল ভাইকে দিয়ে নতুন করে লেখালেন। এখানে অপরাধ কিংবা চুরির কিছু নেই তো।
এফ এ সুমন। ছবি: সংগৃহীত বাংলা ট্রিবিউন: কিন্তু ন্যান্‌সি বলছেন, পুরনো গানের কথার সঙ্গেও নাকি নতুন গানটির কথার মিল পাওয়া যায়।
এফ এ সুমন: দেখুন, আমি যা জানি তাই বলার চেষ্টা করছি। এখানে আমার কোনও লাভ কিংবা লস নেই। আগেও বলেছি, বেলাল হয়তো সেই সব দিনের কথা ভুলে গেছে, যখন তার জন্য আমি ফাইট করছিলাম। ফলে আমি যা বলছি সত্যি বলছি। আমি যতদূর জানি এবং বুঝি- আগের গানের কথার সঙ্গে এই গানের প্রথম দুই লাইন ছাড়া আর কোনও মিল নেই! প্রথম দুই লাইনেরও মিল থাকতো না। যদি, বেলাল খান রাসেল ভাইকে না বলতেন- এই দুটি লাইন থাকতেই হবে। কারণ এ দুটি লাইন বেলালের নিজের লেখা। আমি এটাও জেনেছি- কিরণের জন্য প্রথম যখন সুর হয় গানটির, তখনই এই দুটি লাইন বেলালই লিখেছেন। বাকিটা বেলাল ভালো বলতে পারবে। তবে এ একটা কথা, এ সবকিছুই সমাধান হয়ে গেছে ২০১২ সালে। এখন নতুন করে কেন এসব হচ্ছে- সেটাই বড় প্রশ্ন।
বাংলা ট্রিবিউন: এবার অবশ্য অভিযোগটা ন্যান্‌সির পক্ষ থেকে। তিনি এবার বলছেন- গানটির সুরকার হিসেবে তার কাছে আপনি নিজেকে দাবি করেছেন!
এফ এ সুমন: যদি এই গানের সুরকার আমি হতাম- তবে তো এ নিয়ে এত কথা বলারই সুযোগই দিতাম না। মজার তথ্য হলো, ন্যান্‌সির সঙ্গে আমার গেল চার-পাঁচ বছর দেখাই হয়নি। এগুলো বাজে কথা। এটা বেলাল-ন্যান্‌সি’র মানসিক দ্বন্দ্ব কিংবা ন্যান্‌সির হীনমন্যতা ছাড়া আর কিছুই না।
বাংলা ট্রিবিউন: এবার একটু নিজের কথা বলুন। সামনের কথা।
এফ এ সুমন: নিজের কথা কখনওই বলা হয় না আমার। পরিকল্পনা একটাই, শ্রোতাদের পছন্দের গান নিয়ে আরও অনেকটা সময় তাদের সঙ্গে থাকতে চাই। ‘ভেতর কান্দে’ থেকে এবার একটু বেরিয়ে রক ঘরানার কিছু গান করতে চাই। কারণ ওটাই আমার আসল জায়গা। সবার সহযোগিতা না পাই, ভালোবাসাটা চাই। তাতেই চলবে আমার।
এফ এ সুমন। ছবি: সংগৃহীত /এমএম/

সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!