‘আমার অভিনয় ক্যারিয়ার যদি ২০ বছরের হয়, তো প্রথম ১০ বছর আড়ালেই ছিলাম।’ না, কোনও ক্ষোভ কিংবা অভিযোগ নিয়ে কথাটি বলেননি চঞ্চল চৌধুরী। বরং যখন এই শব্দগুলো এক এক করে উচ্চারণ করছিলেন তখন তার চোখে-মুখে খেলা করছিলো অন্য আলো।
সফল অভিনেতা হতে কী লাগে? সঞ্চালক-অভিনেত্রী বন্যা মির্জার এমন প্রশ্নের জবাবে চঞ্চল চৌধুরী দর্শকদের উদ্দেশ্যে কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, ‘‘এমন প্রশ্ন এবং ‘ভাই আমি অভিনয় করতে চাই’ আবদার প্রতি মুহূর্তে শুনতে হয় আমাকে। কিন্তু এর উত্তরটা সবসময় সবাইকে বুঝিয়ে বলতে পারি না। কারণ, উত্তরটা খুব কঠিন। আমার ২০ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে ১০ বছরই ছিলাম আড়ালে। এই দশটা বছর মঞ্চের সামনে-পেছনে কাজ করেছি নিভৃতে। এখনও ভালো অভিনয়ের জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি। আমি মনে করি অভিনয়ের জন্য মঞ্চের কোনও বিকল্প নেই। তার আগে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাটাও জরুরি।’’
তিনি মজা করে আরও বলেন, ‘অভিনয়ের অনেককেই দেখি দশ বছর ধরে একই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন! শেষ আর হচ্ছে না। অথচ আমি বা বন্যা মির্জার মতো মানুষগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে মঞ্চে একযুগ কাটিয়ে তার পর টিভি-সিনেমায় আসার চেষ্টা করেছি। অভিনেতা হওয়ার চেষ্টা করছি এখনও। ফলে পাবনার ভাষায় কথা বলতে জানলেই আপনি অভিনেতা হয়ে যাবেন- সেটা ভাবার অবকাশ নেই।’
আজ, রবিবার বিকাল ঠিক চারটায় বাংলা ট্রিবিউন দফতরে আয়োজিত ফেসবুক লাইভে এমন কথার ঝাঁপি খুলে বসেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ‘মনপুরা’, ‘আয়নাবাজি’খ্যাত এই অভিনেতার সঙ্গে আড্ডার সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন অভিনেত্রী বন্যা মির্জা।
সাপ্তাহিক লাইভ শো ‘বাংলা ট্রিবিউন সেলেব্রিটি লাইভ উইথ বন্যা মির্জা’ শিরোনামের এই বিশেষ শো-তে চঞ্চল চৌধুরী কথা বলেছেন তার অভিনয় এবং ব্যক্তিজীবনের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে। জবাব দিয়েছেন তার ভক্ত এবং বাংলা ট্রিবিউন পাঠকদের নানা প্রশ্নের। প্রাসঙ্গিকভাবে আলাপে উঠে এসেছে চঞ্চলের মেগাহিট ছবি ‘মনপুরা’ আর ‘আয়নাবাজি’র গল্প। বলেছেন, নাটক ও চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির কিছু অনিয়ম আর আক্ষেপের কথা। ভক্তদের অনুরোধে শুনিয়েছেন গানও।
‘বাংলা ট্রিবিউন সেলেব্রিটি লাইভ উইথ বন্যা মির্জা’ শো’র পুরোটা দেখুন নিচের লিংকে:
/এমএম/
