তথ্য প্রযুক্তি আইনের আওতায় অভিনেত্রী নওশীনের দায়ের করা মামলায় বুধবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) গ্রেফতার হন মঞ্চকর্মী চন্দনা রানী শর্মা।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলা দায়ের (যার নম্বর ০৬) করেন নওশীন। জানা গেছে এই মামলার সূত্র ধরে এরই মধ্যে চন্দনাকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম।
এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নওশীনের স্বামী অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লোল বলেন, ‘গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে চন্দনা নামের একজন নওশীন ও আমার বিরুদ্ধে আজে-বাজে কথা লিখে যাচ্ছেন ফেসবুকে। আমরা নাকি তাকে হুমকি দিয়েছি। সে নাকি আমাদের ক্রাইমের শিকার। এসব কথা লেখার ফলে আমরা দুজনই থানায় বিষয়টি জানিয়েছি। তাকে বেশ কয়েকজন সিনিয়র অভিনেতাও এমন লেখালেখি থেকে বিরত থাকতেও বলেছেন। কিন্তু সেটা চন্দনা শোনেননি। বরং ফেসবুকে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন ক্রমাগত। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই নওশীন গুলশান থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছে।’
ঠিক কী কারণে আপনার ও আপনার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চন্দনা ফেসবুকে লিখতেন? এমন প্রশ্নে উত্তরে হিল্লোল বলেন, ‘‘এর কারণ আমরা ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি এখনও। চন্দনা ‘মুখোশ মানুষ’ চলচ্চিত্রের পরিচালক ইয়াসির আরাফাত জুয়েলের স্ত্রী- এটুকুই জানি। শুনেছি জুয়েল নাকি তাকে নির্যাতন করতেন। আমাদের (নওশীন ও আমার) সঙ্গে জুয়েলের সম্পর্কটা শুধুই সহকর্মীর। কিন্তু তাদের সাংসারিক জটিলতার সঙ্গে আমাদের কেন টানছেন- সেটাই স্পষ্ট করছেন না তিনি। আরও শুনেছি সে নাকি নাট্যদল প্রাচ্যনাটে কাজ করেন। তবে দলের সিনিয়র সদস্যদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে সেখানেও নিয়মিত নন। অথচ তিনি নাকি আমাদের ‘ক্রাইমে’র শিকার!’’
এদিকে এই বিষয়ে চন্দনা শর্মার নাট্যদল প্রাচ্যনাট কিংবা তার পরিবারের কোনও সদস্যের মন্তব্য পাওয়া যায়নি এখনও।
/এমএম/