ব্যান্ড ‘পার্থিব’। প্রেম এবং দেশাত্মবোধের গান নিয়ে গেল প্রায় ১৪ বছরের পথচলা দলটির। যে নামটির সঙ্গে সর্বাধিক জড়িয়ে আছেন এর প্রধান কণ্ঠশিল্পী-গীতিকার-লিড গিটারিস্ট আশফাকুল বারী রুমন। দলগতভাবে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আজই (১৪ মার্চ) তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, এবার একটু ‘পার্থিব’র বাইরে একা পথচলার! বিষয়টি একটু বিস্ময়কর। তবুও বাস্তবতা গড়িয়েছে সেদিকেই।
তবে একা পথচলা মানে, ব্যান্ডটাকে একেবারে ছেড়ে দিয়ে নয়। রুমন জানান, ‘পার্থিব’ আগের মতোই থাকছেই। তবে এবার তার পাশাপাশি নিজের অ্যালবাম ও একক শিল্পী হিসেবে নিয়মিত স্টেজ শো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
রুমন বলেন, ‘‘অনেক পথ পাড়ি দিয়ে মিউজিশিয়ান হিসেবে পার্থিব’ই আমার একমাত্র পরিচয়। আমার আনন্দ হয় যখন মানুষ আমাকে ‘পার্থিব ভাই’ নামে ডাকেন! এর অর্থ আমি আমার লক্ষ্যে অনেকাংশ অর্জন করতে পেরেছি। নিজের নামের চেয়ে ব্যান্ডের নাম বেশি পরিচিত করতে পেরেছি। তবুও আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ব্যান্ডের পাশাপাশি একক ক্যারিয়ার শুরু করার। সেটা শো এবং রেকর্ডিং- দুই ক্ষেত্রেই।’’
প্রশ্ন আসতে পারে, তবে কি ব্যান্ডের মধ্যে কোনও অস্থিরতা কাজ করছে? একটি ব্যান্ড থেকে যখন প্রধান ভোকাল একক ক্যারিয়ারে ঢুকে পড়েন তখন তো ব্যান্ডের অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যায়। এমন নজির দেশে-বিদেশে অসংখ্য।
জবাবে রুমন বলেন, ‘না, এমন কিছু মোটেই ঘটবে না। ব্যান্ডের জন্য আমার চেয়ে বেশি কষ্ট করা মানুষ এই দেশে খুব বেশি আছে বলে মনে হয় না। পার্থিব তার আগের গতিতেই থাকছে। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো, আমার এই সিদ্ধান্তে বেশি সাহস জুগিয়েছে আমার ব্যান্ড মেটরাই।’
রুমন জানান, তার একক ক্যারিয়ারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা হচ্ছে কাল ১৫ মার্চ ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল ক্লাবে একটি স্টেজ শোর মাধ্যমে। এরমধ্যে শুরু করবেন তার প্রথম একক অ্যালবামের রেকর্ডিংও।
২০০২ সালে বেনসন অ্যান্ড হেজেস স্টার সার্চ প্রতিযোগিতা থেকে সেরা সলো এবং সেরা লিরিসিস্ট-এর জোড়া পুরস্কার জয় করেন রুমন। ২০০৩ সালে তিনি গড়ে তোলেন পার্থিব। এরপর গেল ১৩ বছরে চারটি অ্যালবাম প্রকাশ করে তারা। যার প্রত্যেকটিই প্রশংসা কুড়িয়েছে, পেয়েছি জনপ্রিয়তা। তাদের সর্বশেষ অ্যালবাম ‘স্বাগত বাংলাদেশে’ প্রকাশ পায় গেল ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে। অ্যালবামটি বাংলাদেশের প্রথম কোনও অ্যালবাম যার সব গান দেশাত্মবোধক।
পার্থিব’র প্রকাশিত অ্যালবামগুলো হলো- বাউন্ডুলে (২০০৫), উৎসর্গ নিজেকে (২০১১) এবং পার্থিব দ্য ডেফিনিটিভ অ্যালবাম (২০১৪) এবং সর্বশেষ ‘স্বাগত বাংলাদেশে’ (২০১৬)।
/এমএম/