X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ শ্রদ্ধায় কাজী আরিফ, মরণোত্তর সম্মাননার দাবি

ঢাবি প্রতিনিধি
০২ মে ২০১৭, ২০:০৮আপডেট : ০২ মে ২০১৭, ২০:২৩

বৃষ্টিভেজা সকালে সহযোদ্ধা ও অগণিত গুনগ্রাহীর শেষ শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন আবৃত্তিকার কাজী আরিফ। মঙ্গলবার (২ মে) বাদ আসর মায়ের কবরে সমাহিত করা হয় তার মরদেহ। ঝকঝকে সকালের সোনারোদ যখন শহীদ মিনারকে উজ্জ্বল করে তুলেছে ঠিক তখনই (বেলা সাড়ে ১১টা) তার মরদেহ আনা হয়। অগণিত শুভানুধ্যায়ী তার আত্মার শান্তি কামনায় শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে বলেন, জীবিত অবস্থায় এ আবৃত্তিকার তার যোগ্য সম্মাননা পান নি। তাকে মরোণোত্তর জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হবে এই আশাও করেন তারা।

শেষ শ্রদ্ধায় কাজী আরিফ, মরণোত্তর সম্মাননার দাবি জনপ্রিয় এই ব্যত্তিত্বকে শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসতে শুরু করেন তার সহযোদ্ধা, গুনগ্রাহী ও সংবাদকর্মীরা। মরদেহ শহীদ মিনারে পৌঁছানোর পর এই মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানের আয়োজক সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, ‘শহীদ মিনার থেকে তাকে ধানমন্ডিতে বড় মেয়ের বাসায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে বৃদ্ধ পিতা ও আত্মীয়রা তাদের শেষবার দেখবেন। এরপর উত্তরা ৪নম্বর সেক্টরের কবরস্থানে মায়ের কবরেই সমাহিত করা হবে একালের অন্যতম আবৃত্তিকার কাজী আরিফকে।’

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ বলেন, ‘জীবদ্দশায় তাকে কোনও জাতীয় সম্মাননা দেওয়া হয়নি। আশা করি যথাযথ সম্মাননা রাষ্ট্র তাকে দিবেন।’ সংস্কৃতি ব্যাক্তিত্ব নাসিরুদ্দিন ইউসুফ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বলেন, ‘সে আমার চল্লিশ বছরের বন্ধু। কিশোর অবস্থাতেই তিনি মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। কবিতার মধ্য দিয়ে তাকে শ্লোগান দিতে দেখেছি। আশা করি তাকে যোগ্য সম্মান দেওয়া হবে।’

তার কবিতার নানা দিকের কথা উল্লেখ করে ভাস্বর বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘তিনি একাধারে মুক্তিযোদ্ধা ও আবৃত্তিশিল্পী। জীবদ্দশায় প্রাপ্ত সম্মান তাকে দেওয়া হয়নি, মরণোত্তর সম্মাননা তিনি পাবেন এই প্রত্যাশা রইল।’

শেষ শ্রদ্ধায় কাজী আরিফ, মরণোত্তর সম্মাননার দাবি শহীদ মিনারে রাখা মরদেহে পুস্পস্তবক প্রদান করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, গণগ্রন্থাগার, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলা একাডেমি। এরপর তার স্বজন, সর্বস্তরের জনগন তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।

গত ৩০ এপ্রিল ম্যানহাটানের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে কাজী আরিফ মৃত্যুবরণ করেন।

উল্লেখ্য, কাজী আরিফ একাধারে একজন প্রকৌশলী, আবৃত্তিকার এবং মুক্তিযোদ্ধা। ৬৯ এর গণ আন্দোলনের সময়ে রাজনৈতিক সভায় প্রথম কবিতা পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় তার আবৃত্তি জীবন। সেসময় তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

তার প্রথম আবৃত্তির ক্যাসেটের নাম ‘পত্রপুট’, যেটি ১৯৮০ সালে প্রকাশিত হয়। সেটি বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত প্রথম আবৃত্তির ক্যাসেট। তারপরে প্রায় ১৭টার মতো ক্যাসেট বের হয়েছে তার।

শেষ শ্রদ্ধায় কাজী আরিফ, মরণোত্তর সম্মাননার দাবি /ইউআই/এমএম/

সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী