X
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
৫ চৈত্র ১৪৩০

মাছ বিক্রি করেও এই দেশে সিআইপি হয়, চলচ্চিত্র নির্মাণ করে নয়: সোহেল রানা

বিনোদন রিপোর্ট
২৫ মে ২০১৭, ১৩:৩২আপডেট : ২৫ মে ২০১৭, ১৯:১৬

সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন প্রযোজক সোহেল রানা ‘মাছ বিক্রি করেও এই দেশে সিআইপি হয় অনেকে কিন্তু চলচ্চিত্র নির্মাণ করে কেউ সেটা হয় না। দেশ মুক্তির পর আমাদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি- অথচ আমরা ঠিকই যুদ্ধ করেছি, জীবন বাজি রেখে তখন সিনেমা বানিয়েছি।’

কথাগুলো বেশ আক্ষেপ নিয়ে বলছিলেন দেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ এর প্রযোজক মাসুদ পারভেজ তথা নায়ক সোহেল রানা। ক্রেস্ট নিচ্ছেন নূতন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বিএফডিসিতে শুরু হয় ‘ওরা ১১ জন’ সিনেমার কলাকুশলীদের সম্মাননা জানানোর প্রথম কোনও আনুষ্ঠানিকতা। যেখানে সিনেমাটির প্রযোজক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাসুদ পারভেজ।
ওরা ১১ জন-এর পোস্টার বক্তব্যে তিনি ‘ওরা ১১ জন’ নির্মাণের সময়ে কষ্টের কথা তুলে এনে বলেন, ‘যারা এই ছবিতে কাজ করেছেন তারমধ্যে ৯৮ ভাগ লোক বিনা টাকায় কাজ করেছেন। আজকের এই মঞ্চে সে সময়কার এমন দুই একজন উপস্থিতও আছেন। এমনও দিন ছিল, তখন প্রযোজক হিসেবে আমি তাদের ভাত পর্যন্ত খাওয়াতে পারিনি। অথচ আমরা সেই যুদ্ধের স্বীকৃতিটটুকুও পাইনি।’
সোহেল রানার এমন বক্তব্যের সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ‘ওরা ১১ জন’ সিনেমার সদস্য হাসান ইমাম, নূতন এবং ছবিটির প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের স্ত্রী জোসনা কাজী, গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ার, পরিচালক সমিতির সভাপতি গুলজার, মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু, এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কুমার ঘোষসহ আরও অনেকে।
এদিকে আজকের (বৃহস্পতিবার) এই বিশেষ আয়োজনের মূল চমক হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল ‘ওরা ১১ জন’ এর প্রধান দুই মুখ নায়করাজ রাজ্জাক এবং শাবানার। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের আসন ফাঁকা ছিল। সমিতির প্রধান গুলজার জানান, নায়করাজ অসুস্থ থাকার কারণে আসতে পারছেন না। তবে শাবানার বিষয়ে তারা কিছুই স্পষ্ট করেননি।
প্রসঙ্গত, ‘ওরা ১১ জন’ ১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। ১৯৭১ এ সংগঠিত মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত, স্বাধীনতাউত্তর প্রথম চলচ্চিত্র। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বাধীনতার ডাক দেন, এই ছবির গল্পে সেই ঐতিহাসিক ভাষণের কিছু অংশ দেখানো হয়েছে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন চাষী নজরুল ইসলাম। ছবির পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামের সম্মাননা গ্রহণ করছেন স্ত্রী জোসনা কাজী
এতে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা অভিনয় করেছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন খসরু, মুরাদ, হেলাল ও নান্টু। এছাড়াও ছবির প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক, শাবানা, নূতন, হাসান ইমাম, আলতাফ, মুরাদ, নান্টু, বেবী, আবু, খলিলউল্লাহ খানসহ আরও অনেকে। ছবির প্রয়াত শিল্পীদের স্মরণ ও সম্মানে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন অতিথিরা
ছবি: নাসিরুল ইসলাম/ বাংলা ট্রিবিউন
/এম/এমএম/

সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
‘সরলতার প্রতিমা’ খ্যাত গায়ক খালিদ আর নেই
‘সরলতার প্রতিমা’ খ্যাত গায়ক খালিদ আর নেই
দেশের প্রেক্ষাগৃহে আসছে নোলানের কালজয়ী দুই ছবি
দেশের প্রেক্ষাগৃহে আসছে নোলানের কালজয়ী দুই ছবি
পরীর টলিউড অধ্যায় শুরু
পরীর টলিউড অধ্যায় শুরু
নিজের যে স্বভাব লুকিয়ে রাখেন সারা
নিজের যে স্বভাব লুকিয়ে রাখেন সারা
চাঁদরাতে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে নাটক
চাঁদরাতে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে নাটক