X
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪
২৭ বৈশাখ ১৪৩১

আজম খান: চলে যাওয়ার ৬ বছর

বিনোদন রিপোর্ট
০৫ জুন ২০১৭, ১২:০৪আপডেট : ০৫ জুন ২০১৭, ১৭:২৮

 

আজম খান (২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০- ৫ জুন ২০১১) পপগুরু আজম খানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার (৫ জুন)। ২০১১ সালের এই দিনে দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। তার হাত ধরে বাংলাদেশে পপসংগীতের যাত্রা হয় ও জনপ্রিয়তা আসে; তাই এ মানুষটিকে হারানোর শোকে আজও শোকাতুর সংগীতাঙ্গন।
শুধু গানেই নয়, তার অন্যতম প্রধান পরিচয়, তিনি মুক্তিযোদ্ধা। অস্ত্র হাতে তিনি সরাসরি যুদ্ধ করেছেন ১৯৭১ সালে।
আজম খানের জন্ম ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুর কলোনির ১০নং সরকারি কোয়ার্টারে। তার পুরো নাম মাহবুবুল হক খান। বাবা আফতাব উদ্দিন আহমেদ ও মা জোবেদা খাতুন। ১৯৭০ সালে টিএন্ডটি কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি উত্তীর্ণ হন তিনি। ১৯৮১ সালের ১৪ জানুয়ারি সাহেদা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় আজম খানের। সহধর্মিণী মারা যাওয়ার পর থেকে একাকী জীবন কাটান এ পপসম্রাট। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক। বড় মেয়ে ইমা খান, মেজো ছেলে হৃদয় খান ও ছোট মেয়ে অরণী খান।
১৯৭১ সালে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন আজম খান। কুমিল্লার সালদায় প্রথম সরাসরি যুদ্ধ করেন। আজম খান ছিলেন দুই নম্বর সেক্টরের একটি সেকশনের ইনচার্জ। তিনি সেকশন কমান্ডার হিসেবে ঢাকা ও এর আশপাশে বেশ কয়েকটি গেরিলা আক্রমণে অংশ নেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর তার ব্যান্ড ‘উচ্চারণ’ দেশব্যাপী সংগীত জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ১৯৭২ সালে বন্ধু নিলু আর মনসুরকে গিটারে, সাদেককে ড্রামে আর নিজেকে প্রধান ভোকাল করে অনুষ্ঠান শুরু করেন। ওই বছরই তার ‘এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ আর ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি বিটিভিতে প্রচার হয়ে ব্যাপক প্রশংসিত হয়।
পরবর্তীতে বিটিভিতে ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’ গান গেয়ে হইচই ফেলে দেন আজম। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘আমি যারে চাইরে’, ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘একসিডেন্ট’, ‘অনামিকা’, ‘অভিমানী’, ‘আসি আসি বলে’, ‘হাইকোর্টের মাজারে’, ‘পাপড়ি’, ‘বাধা দিও না’, ‘যে মেয়ে চোখে দেখে না’ ইত্যাদি।
গানের বাইরেও দেশের মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি আলোচিত কাজও করেছেন। ১৯৮৬ সালে ‘কালা বাউল’ নামে হিরামনের একটি নাটকে কালা বাউলের চরিত্রে এবং ২০০৩ সালে শাহীন-সুমন পরিচালিত ‘গডফাদার’ চলচ্চিত্রের নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি।
২০০৩ সালে ক্রাউন এনার্জি ড্রিংকসের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রথম মডেল হন। এরপর পরবর্তীতে বেশ কিছু বিজ্ঞাপনে দেখা যায় তাকে। সর্বশেষ ২০১০ সালে কোবরা ড্রিংকসের বিজ্ঞাপন করেন।


/এম/

সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
‘মালা’র জন্য ঢাকার মঞ্চে ‘আবার’ অঞ্জন
‘মালা’র জন্য ঢাকার মঞ্চে ‘আবার’ অঞ্জন
পদ্মর সঙ্গী প্রিয়ম, আনন্দে আটখানা পরী
পদ্মর সঙ্গী প্রিয়ম, আনন্দে আটখানা পরী
ছয় প্রেক্ষাগৃহে ‌‘পটু’
এ সপ্তাহের ছবিছয় প্রেক্ষাগৃহে ‌‘পটু’
প্রথম দিন: বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় রবির গান আর দুই কিংবদন্তিকে স্মরণ
জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসবপ্রথম দিন: বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় রবির গান আর দুই কিংবদন্তিকে স্মরণ
‘তোর ভাতের প্লেটে আমার দেয়া কিছু ঘৃণা থাকুক’
‘তোর ভাতের প্লেটে আমার দেয়া কিছু ঘৃণা থাকুক’