X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

হাওরে ঘুরে দাঁড়ানো মানুষই এবার ‘আনসাং স্টারস’

উদিসা ইসলাম
২৪ জুন ২০১৭, ১৭:৩৪আপডেট : ২৫ জুন ২০১৭, ১৩:৩৯

হাওরে ঘুরে দাঁড়ানো মানুষই এবার ‘আনসাং স্টারস’ এবারের বর্ষার আগে হঠাৎ বিপর্যয়ে পড়ে বাংলার হাওর অঞ্চল। সেই হাওরের কান্না থামতে না থামতে সেখানে লড়াকু মানুষের গান ও কথা দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের ‘আনসাং স্টারস’। মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় হাওরের মানুষ নিয়ে সেখানেই তৈরি হওয়া এই রিয়েলিটি শো কোনও গানের অনুষ্ঠান নয়। বরং এটি হাওরের একেকটি গল্প, একেকটি ইতিহাস। এমনটাই জানালেন এর পরিকল্পক ও নির্দেশক এটিএন নিউজের প্রধান মুন্নী সাহা।

এই ঈদে হাওরের মানুষ ও তাদের লড়াইয়ের ইতিহাস নিয়ে ঈদের দিন থেকে তিনদিন এই অনুষ্ঠান চলবে।

এর আগে প্রতি বছরই ঈদ উপলক্ষে প্রচারিত হয়েছে ‘আনসাং স্টারস’। এতে গান করেছেন সেইসব প্রতিভা, টেলিভিশনে গান করা যাদের কাছে স্বপ্নের মতো।
কীভাবে শুরু হলো এমন প্রশ্নে মুন্নী সাহা বলেন, ‘‘নিউজের কাজে নানা জায়গায় যাওয়া লাগে। হয়তো রাস্তায় কেউ গান গাইছে। তার পাশে বসলাম। কথা বলার পর একসময় হয়তো বলেন, আমাদের গান টিভিতে দেখান। আমিতো এই সেকশনের লোকই না। তারপরও একসময় এসব কথা ফেলতে পারি না। আমার কাছে একেবারেই এগুলো কেবল গান না, একেকটি গল্প মনে হয়। সেই যে শুরু হলো। এখন ঈদের আগে থেকেই খবর পেতে থাকি, কোথায় এমন ‘আনসাং স্টারস’ আছে। সেগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করি এই অনুষ্ঠানে।’’

এবারের শ্যুটিং হয়েছে সুনামগঞ্জের টাঙুয়ার চরসহ চারটি হাওরে।

হাওরে ঘুরে দাঁড়ানো মানুষই এবার ‘আনসাং স্টারস’

মুন্নী সাহা বলেন, ‘হাওরের পরিস্থিতি যখন দেখতে গেলাম তখন সেখানকার নারীরা মজা করেই বলল, একটা রাইত থাকবা না? না থাকলে বুঝবা ক্যমনে? আমিও মজা করেই জানতে চাই, কই রাখবা? বলে কিনা বুকের ওপর! এই মানুষগুলোই সারাদিন না খেয়ে আছে কিন্তু মুখে পান আছে,  হাসিও আছে।’

মুন্নী আরও বলেন, ‘আমি যখন উনাদের কণ্ঠে গান শুনে জানতে চেয়েছিলাম, কষ্টের মধ্যে গান কি করে করেন? সাবলীলভাবেই বললেন, এর মধ্যেই গান আসে। কথা হয় রিয়াজউদ্দিন চাচার সঙ্গে। শক্তিশালী এই মানুষটি বলেন, আমি অন্ধ তবে ফেলনা না। ১২ জনের পরিবার, দুইজন এতিম পালি। তার উদ্যমী কথা শুনে জিজ্ঞেস করি, এ আনন্দের খোঁজ কই? তিনি বলেন, কারও কাছে হাত পাতি না।’

হাওরে ঘুরে দাঁড়ানো মানুষই এবার ‘আনসাং স্টারস’ হাওরের এই দুঃসময়ে সেখানে গিয়ে হাসি ঠাট্টা বা গানের অনুষ্ঠান করা নিয়ে এখনই সমালোচনা শুরু হয়েছে। সে বিষয়ে মুন্নী সাহা বলেন, ‘সমালোচনা হবে জানি, হাওর বোঝে না যারা, যারা সেখানে যায়নি, তাদের এ ধরনের সমালোচনা হাওরের মানুষেদের অশ্রদ্ধা করার মতোই হয় কিনা ভেবে দেখার আছে।’

এবারের আউটডোরে এতবড় শ্যুটিং নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত মুন্নী সাহা।  ক্যামেরার পেছনে বেশ সময় দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জানান, রিপোর্টিং প্রডিউসের কাজ তাদের রোজই করতে হয়। স্ক্রিনে থাকার কারণে পেছনের যে কাজ, পরিকল্পনা এসব একেবারেই মূল্যায়ন হয় না। এবারের কাজটি ভিন্ন অভিজ্ঞতা তৈরি করেছেন তিনি।

 শুটিং অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বললেন, ‘সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শুটিং করেছি। প্রায় না খেয়ে বলা যায়। শেষ গানের সময় ঢুলি বলে খিদা লাগসে বিস্কুট দেন। সেই বিস্কুট আনতে আনতে গায়ক গানের টান দিলো অমনি ঢোলে পড়ল বাড়ি, বিস্কুট খাওয়া হলো না। আমি ভাবি, ঢোলে কী শক্তি, গানের যে ক্ষমতা, হাওরের যে টান।’

/ইউআই/এফএএন/এমএম/

 

সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
কান উৎসব ২০২৪জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
কান উৎসব ২০২৪১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
এই জন্মদিনে আরেক সিনেমার ঘোষণা
এই জন্মদিনে আরেক সিনেমার ঘোষণা
ভোট দিতে এসে কেউ উৎফুল্ল, অনেকেই ক্ষুব্ধ!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনভোট দিতে এসে কেউ উৎফুল্ল, অনেকেই ক্ষুব্ধ!
দেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
সিনেমা সমালোচনাদেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা