দেশের অন্যতম খল অভিনেতা রাতিন আর নেই। তিনি মঙ্গলবার দিবাগত (১৯ জুলাই) রাত আড়াইটায় রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি... রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর।
খবরটি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন প্রয়াত অভিনেতার ছোট ভাই সাংবাদিক অনজন রহমান। তিনি জানান, কয়েকদিন আগে চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত হলে রাজধানীর ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এই অভিনেতাকে। এরপর কিডনি ও লিভারে নানা সমস্যা দেখা দেয়। শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। এ অবস্থায় গত ৬ জুলাই স্ট্রোক হয়।
পরে গত ৯ জুলাই তাকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। সব শেষে গেল দু'দিন আগে নিয়ে যাওয়া হয় ল্যাবএইড হাসপাতালে। কিন্তু শেষ রক্ষা করা গেল না।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বরেণ্য অভিনেতা আব্দুর রাতিনের প্রথম জানাজা নারিন্দার বিনোদ বিবি মসজিদে বুধবার (১৯ জুলাই) বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হবে। পরে বিকাল সাড়ে ৩টায় বিএফডিসিতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে স্বামীবাগে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
আব্দুর রাতিনের ভাই অনজন রহমান সবার কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, ‘মূলত চিকনুগুনিয়া থেকেই ভাইয়ার অবস্থা খারাপের দিকে যায়। কারণ, ৫০ এর বেশি বয়স হলে এই জ্বর মারাত্মক প্রভাব ফেলে শরীরে। ভাইয়ার বেলায় সেটাই হয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও তাকে আর বাঁচাতে পারলাম না।’
প্রসঙ্গত, মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেতা আবদুর রাতিন ১৯৭০ সালে মোস্তফা মাহমুদ পরিচালিত ‘নতুন প্রভাত’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেন। তিনি খল অভিনেতা হিসেবেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
রাতিন অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘দেবদাস’, ‘শুকতারা’, ‘জবাব চাই’, ‘স্নেহের প্রতিদান’, ‘চোরের বউ’, ‘মহান বন্ধু’, ‘লালু সর্দার’, ‘স্বার্থপর’, ‘হারানো সুর’ প্রভৃতি। তার অভিনীত মঞ্চ নাটকের সংখ্যাও প্রায় শতাধিক।
টিভি নাটকে তিনি ১৯৭২ সাল থেকে শুরু করে এখনও নিয়মিত অভিনয় করছিলেন। ২০০ এর বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘মহুয়ার মন’, ‘অভিনেতা’, ‘বোবাকাহিনী’, ‘গৃহবাসী’, ‘রত্নদ্বীপ’ প্রভৃতি।
রাতিন অভিনীত প্রচার চলতি ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘রূপালী প্রান্তর’। কায়সার আহমেদ পরিচালিত নাটকটি প্রচার হচ্ছে এটিএন বাংলায়।
/এমএম/
