ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশের টিভি চ্যানেলগুলো ৩ থেকে সর্বোচ্চ ৭ দিনের বিশেষ নাটক-অনুষ্ঠান-সিনেমা প্রচার করে থাকে। তবে এবার ব্যতিক্রম ঘটছে। ঈদের সর্বোচ্চ আয়োজন দেখা যাবে এটিএন বাংলায়। তারা এবারের ঈদ আয়োজন সাজিয়েছে পাক্কা ১০ দিনের!
চ্যানেল কৃর্তপক্ষ জানায়, ঈদের দিন থেকে দশম দিন পর্যন্ত চলবে বিশেষ এই আয়োজন। এতে প্রতিদিনই থাকছে দুটি সিনেমা, একটি সেলিব্রেটি শো, দুইটি বিশেষ নাটক, একটি খণ্ড নাটক, দুটি ধারাবাহিক নাটক, একটি ম্যাগাজিন, একটি সংগীতানুষ্ঠান ও একটি টেলিফিল্ম।
এছাড়াও থাকছে প্রভাতী ম্যাগাজিন, শিশুতোষ অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান ও সকাল বেলার নাটক।
প্রতিদিন সকাল সাড়ে দশটা ও আড়াইটায় প্রচার হবে পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি। সন্ধ্যা ছয়টা ও রাত সাড়ে আটটায় প্রচার হবে নাটক। রাত ১১টা ৩০ মিনিটে প্রচার হবে টেলিফিল্ম। এছাড়া রাত সাড়ে ৭টা ও সাড়ে নয়টায় প্রচার হবে দুটি ধারাবাহিক নাটক ‘বিবাহ সমাচার’ এবং ‘মাই নেম ইজ ব্যাড’, রাত ৮টায় প্রচার হবে ১০ পর্বের খণ্ড নাটক ‘চুটকী ভাণ্ডার’। ফাগুন অডিও ভিশন নির্মিত ‘পাঁচফোড়ন’ ছাড়াও ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ‘ঈদের বাজনা বাজেরে’, ‘ধন্যবাদ’, ‘ডাক্তার বনাম সেলিব্রেটি’ এবং ‘কমেডি আওয়ার’।
এদিকে সংগীতানুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে জিৎ গাঙ্গুলী ও ইভা রহমানের একক অনুষ্ঠান, ফাহমিদা নবী, বাপ্পা, কণা ও ইমরানের ‘মোমেন্টস অব মিউজিক’, ড. মাহফুজুর রহমানের একক সংগীতানুষ্ঠান ‘স্মৃতির আল্পনা আঁকি’, মারিয়া শিমুর ‘ভালোবাসার স্মৃতি’ এবং সামিয়া জাহানের ‘ফিরে ফিরে দেখি’। এছাড়াও রয়েছে ৪ পর্বের ২টি সেলিব্রেটি শো ‘স্টার ক্যানভাস’ এবং ‘রঙের মানুষ’।
ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় এটিএন বাংলায় প্রচারিতব্য নাটক এবং টেলিফিল্মগুলো নির্মাণ করেছেন দেশের অন্যতম নির্মাতারা। এদের মাঝে রয়েছেন হানিফ সংকেত, ফেরদৌস হাসান, সালাউদ্দিন লাভলু, চয়নিকা চৌধুরী, শিহাব শাহীন, গোলাম সোহরাব দোদুল, বদরুল আনাম সৌদ, সকাল আহমেদ, সুমন আনোয়ারসহ অনেকে।
/এম/এমএম/
