X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

নায়করাজের প্রয়াণে ফেসবুক যেন শোকবই

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২১ আগস্ট ২০১৭, ২২:৩৩আপডেট : ২১ আগস্ট ২০১৭, ২৩:১২

নায়করাজ রাজ্জাক প্রিয় নায়কের মহাপ্রয়াণ। আর সেই ঘোষণাতেই ফেসবুক যেন শোকবইয়ের পাতা। নায়করাজের অভিনীত সব সিনেমার গান আর তার সঙ্গে থাকা স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসেছেন তারা ফেসবুকে দেয়ালে। সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে নায়করাজ মারা গেছেন— এমন ঘোষণার পরই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে নায়করাজের প্রতি এমন শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ফাহমিদুল হক লিখেছেন, ‘আমার বাবার নামও ছিল রাজ্জাক। তিনি গত হয়েছেন ২০০৫ সালে। আজ আবার পিতৃবিয়োগের সমান শোক হচ্ছে।’
রাজেশ পল লিখেছেন ফেসবুকে আইনজীবী রাজেশ পল লিখেছেন, ‘বিদায় নায়করাজ। মহানায়ক উত্তম কুমারের পরে দুই বাংলার বাংলা চলচ্চিত্রের আরেক কিংবদন্তীর জীবনাবসান হলো।’
বিশ্বরঙের স্বত্বাধিকারী বিপ্লব সাহার ফেসবুক স্ট্যাটাস ডিজাইনার ও ফ্যাশন হাউস বিশ্বরঙের স্বত্বাধিকারী বিপ্লব সাহা লিখেছেন, ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর ক্ষুদ্র চেষ্টা। এক রাতে নায়করাজের লক্ষীকুঞ্জে ছুটে গিয়েছিলাম তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা দেখাতে… জেনেছিলাম অজস্র অজানা কথা.. প্রণাম আপনাকে।’
কবি মোহাম্মাদ কামাল ফেসবুকে স্মরণ করেছেন নায়করাজকে কবি মোহম্মদ কামাল তার স্ট্যাটাসে লিখেছে, ‘!!!রাজ্জাক!!! অনেক নায়ক এল গেল, কিন্তু রাজ্জাকেই আমার চিরপক্ষপাত! রাজ যাক.... আমি কভু ভুলিব না।’
কেবল ষাটের দশকের নায়ক ছিলেন না রাজ্জাক। কয়েক দশক ধরে দর্শকের সঙ্গে থাকায় এ প্রজন্মের মধ্যেও তার ভক্তের সংখ্যা কম নয়। তরুণ সাংবাদিক আলী আশিফ শাওন লিখেছেন, ‘হয় যদি বদনাম হোক আরও, আমি তো এখন আর নই কারও! ভালো থাকবেন নায়করাজ রাজ্জাক।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা লিখেছেন, ‘তুমি যে আমার কবিতা... আহা কী রোমান্টিক! নায়কেরা সব প্রস্থান করছেন! একটা মহান অধ্যায়ের সমাপ্তি!!!’
বিপাশা গুহঠাকুরতার স্ট্যাটাস বিপাশা গুহঠাকুরতা লিখেছেন, ‘বিদায় হে নায়করাজ। অমৃতলোকে যাত্রা শুভ হোক।’
তামান্না তানজিনা তৃষা নায়করাজের সঙ্গে তোলা একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘‘নায়ক রাজের ‘শেষ’ জন্মদিন উদযাপনের প্রস্তুতির সময় ছবিটা তুলেছিলাম। ছবিটা তোলার সময় হাতটা কেঁপে উঠেছিলো....আজকে জানলাম, কেন...’
লতিফ হোসেনের ফেসবুক স্ট্যাটাস আলোকচিত্রী লতিফ হোসেন লিখেছেন তার ছেলেবেলার রাজ্জাককে দেখার স্মৃতি। স্ট্যাটাসে ‘ছুটির ঘণ্টা’ চলচ্চিত্রের পোস্টার শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘‘এক দিন ছুটি হবে, অনেক দূরে যাবো। নীল আকাশে সবুজ ঘাসে খুশিতে হারাবো...’ যেহেতু বড়দের ছবি না, শুধু সেজন্যই সেটি দেখার অনুমতি পাওয়া গিয়েছিলো বাড়ি থেকে। তবু হলে গিয়ে। বই কেনার জন্য জমানো পয়সায় টিকিট কাটা। সেই বোধহয় প্রথম তাঁকে বড় পর্দায় দেখা। স্কুলের দপ্তরি আব্বাস ভাই— স্কুলে ছিলাম বলেই অনেকদিন ভুগিয়েছিল ছবিটা। কী সুন্দর মানুষ ছিলেন আব্বাস ভাই! আব্বাস ভাইয়ের ছুটি হলো আজ। ভালো থাকুন আব্বাস ভাই।’’
অসংখ্য গুণগ্রাহী রাজ্জাকের অভিনীত সিনেমা এবং সেসব সিনেমার গানের অংশ লিখে যেমন স্মরণ করছেন তাঁকে, তেমনই বাংলা সিনেমার সেই শূন্যস্থান পূরণ হবে কী করে, সেই কথাটিও বারবার উঠে এসেছে। নায়করাজ রাজ্জাক বাংলাদেশের মানুষের কয়েক প্রজন্মের মানুষের যৌবনের নায়ক। তার প্রস্থানে তাই সবার কণ্ঠেই উঠে এসেছে তারই জয়গান।

আরও পড়ুন-

কিংবদন্তি নায়করাজের প্রস্থান

বাপ্পির জন্য পরিবারের অপেক্ষা

হাসপাতালে অশ্রুসজল তারকারা
রাজ্জাকের বিশেষ লেখা: আসুন আবার ভাবি

নায়করাজের মৃত্যুতে তিন দিনের শুটিং বাতিল

/ইউআই/টিআর/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
জানা-অজানা ১০ তথ্যে সত্যজিৎ রায়
প্রয়াণ দিনে স্মরণজানা-অজানা ১০ তথ্যে সত্যজিৎ রায়
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
‘ওপারে ভালো থেকো বন্ধু’
অভিনেতা রুমির মৃত্যু‘ওপারে ভালো থেকো বন্ধু’
ফ্লপে হ্যাটট্রিক, মুখ খুললেন অভিনেত্রী
ফ্লপে হ্যাটট্রিক, মুখ খুললেন অভিনেত্রী
চলে গেলেন অভিনেতা রুমি
চলে গেলেন অভিনেতা রুমি