X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

জ্ঞান ফিরেছে আবদুল জব্বারের

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ আগস্ট ২০১৭, ২০:০৮আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০১৭, ২০:০৯

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী আবদুল জব্বারের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তার জ্ঞান ফিরেছে। তিনি কথাও বলতে পারছেন। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ এখনও তাকে আশঙ্কামুক্তও মনে করছে না। এখানেই চিকিৎসাধীন আছেন অসংখ্য কালজয়ী গানের এই সংগীতশিল্পী।

আবদুল জব্বারের সঙ্গে দেখা করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান (মাঝে), ছবি: সংগৃহীত বিএসএমএমইউ পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জে. মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন রবিবার (২৭ আগস্ট) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘দেশবরেণ্য শিল্পী আবদুল জব্বারের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তার জ্ঞান ফিরেছে। আজ বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। তখন তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাকে সাহস দিলাম। গুণী এই শিল্পীও হেসে কথা বললেন আমাদের সঙ্গে।’

তবে বিএসএমএমইউ পরিচালক (হাসপাতাল) উল্লেখ করেছেন, আবদুল জব্বার যেহেতু এখনও আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) আছেন তাই তার শারীরিক অবস্থা পুরোপুরি ভালো বলা যায় না। তিনি বলেন, ‘তিনি সুস্থ থাকলে আইসিইউতে রাখা হতো না। তবে এটুকু বলতে পারি, আগের দিনের চেয়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি।

এদিকে রবিবার বিকালে কেবিন ব্লকের আইসিউতে চিকিৎসাধীন আবদুল জব্বারকে দেখতে যান বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান ও পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রি. জে. মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোঃ আসাদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ প্রমুখ।

আবদুল জব্বার দীর্ঘদিন ধরে কিডনির জটিলতায় ভুগছেন। এ কারণে তিন মাস ধরে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন দরাজ কণ্ঠের এ শিল্পী। শনিবার তার শরীরের মারাত্মক অবনতি ঘটে। রক্তচাপ স্বাভাবিক না থাকায় ডায়ালিসিস করতে পারায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

১৯৩৮ সালে ৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন আবদুল জব্বার। ১৯৫৮ সাল থেকে তৎকালীন পাকিস্তান বেতারে গান গাইতে শুরু করেন তিনি। ১৯৬২ সালে চলচ্চিত্রে প্রথম প্লেব্যাক করার সুযোগ আসে তার কাছে। ১৯৬৪ সাল থেকে তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে নিয়মিত গাইতে শুরু করেন তিনি।
সংগীতশিল্পী আবদুল জব্বার এ পর্যন্ত ছয় হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন। এর মধ্যে কালজয়ী হয়ে আছে ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়’ প্রভৃতি। বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক (১৯৭৩), একুশে পদক (১৯৮০) ও স্বাধীনতা পদকসহ (১৯৯৬) অনেক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন-
আবদুল জব্বারের শারীরিক অবস্থার অবনতি

/জেএ/জেএইচ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!