রানি পদ্মিনীর ভূমিকায় বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের ছবিসহ ‘পদ্মাবতী’র দুটি পোস্টার বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে উন্মুক্ত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। রাজকীয় সাজগোজে তাকে দারুণ লেগেছে সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে তারকাদেরও। এত প্রশংসা সত্ত্বেও পুরোপুরি খুশি হতে পারছেন না পরিচালক সঞ্জয়লীলা বানসালি।
কারণ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নির্মিত বহুল প্রতীক্ষিত ছবিটির সামনে দেয়াল হয়ে থাকছে শ্রী রাজপুত কার্নি সেনা। রাজপুত সম্প্রদায়ের সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা লোকেন্দ্র সিং কালভি হুমকি দিয়েছেন, “ছিত্তোরের রানি পদ্মিনীর ইতিহাসের ন্যূনতম বিকৃতি ঘটলেও যে কোনও মূল্যে সারাভারতে ‘পদ্মাবতী’র প্রদর্শনী ঠেকানো হবে।”
রাজপুত কার্নি সেনার অভিযোগ— ছবিটিতে ঐতিহাসিক ঘটনা বিকৃতির চেষ্টা চালিয়েছেন নির্মাতা বানসালি। এটা মেনে নেওয়া যায় না মন্তব্য করে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা বার্তা সংস্থা আইএএনএস’কে জানান, ২০ দিন আগে তাদেরকে ছবিটি দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বানসালি। কিন্তু কোনোভাবেই যেন ভুল তথ্য উঠে না আসে সেজন্য ইতিহাসবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের ছবিটি দেখাতে বলেছেন তারা। এরপর অবশ্য নির্মাতার কাছ থেকে আর কিছু জানতে পারেনি সংগঠনটি।
ইতিহাস বিকৃতি হচ্ছে এমন দাবি করে চলতি বছরের শুরুর দিকে রাজপুত কার্নি সেনার কর্মীরা জয়পুরে ছবিটির শুটিংয়ে বাধা দেয়। এমনকি সেট, ক্যামেরা, শুটিংয়ের সরঞ্জামাদি ভাঙাসহ বানসালির গায়ে হাত তোলে তারা। এ কারণে তিনি শুটিং করেছেন মুম্বাইয়ের ফিল্ম সিটির কাছের একটি গন্তব্যে।
কার্নি সেনার দাবি, তাদের কাছে বিশাল লাইব্রেরি রয়েছে। এখানকার কোনও গ্রন্থে উল্লেখ নেই যে, খিলজি রাজবংশের শক্তিশালী শাসক ত্রয়োদশ-চতুর্দশ শতকের দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি প্রেমে পড়েন পদ্মাবতীর।
গত মার্চে ছিত্তোরগড় ফোর্টে পদ্মিনী মহলের আয়না ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এখানে রানি পদ্মাবতী তথা পদ্মিনীকে দেখে তার প্রেমে পাগল হয়েছিলেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। কিনতু রাজপুত কার্নি সেনার দাবি, পদ্মাবতীর মৃত্যুর অনেক পর আয়নাটি এখানে আনা হয়েছিল। সুতরাং এটি পুরোপুরি অসত্য গল্প।
ছবিটিতে আলাউদ্দিন খিলজি চরিত্রে অভিনয় করেছেন রণবীর সিং। এছাড়া পদ্মাবতীর স্বামী রাজা রাওয়াল রতন সিংয়ের ভূমিকায় দেখা যাবে শহিদ কাপুরকে। ‘পদ্মাবতী’ মুক্তি পাবে এ বছরের ১ ডিসেম্বর। ডেইলি নিউজ অ্যানালাইসিস জানাচ্ছে, দুসেরায় ছবিটির প্রথম টিজার মুক্তি পাবে। পোস্টারে দীপিকার গায়ে যেসব দামি পোশাক দেখা যাচ্ছে সেগুলো ডিজাইন করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনার রিম্পল ও হারপ্রীত নারুলা। তারা কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে এসেছেন রাজস্থান থেকে।
