জমকালো আয়োজনে বাংলাদেশের প্রবীণ ও নবীন সংগীতশিল্পীদের সম্মাননা জানালো ‘১২তম চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড-২০১৬’। চ্যানেল আই। ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে বসেছিল এ আয়োজন।
অনুষ্ঠানে দেশ বরেণ্য সংগীতশিল্পী মোঃ খুরশীদ আলমকে প্রদান করা হয়ে আজীবন সম্মাননা। এছাড়াও সংগীতে ১৩টি শাখায় সমালোচক ও ৫টি শাখায় দর্শক সেরা পুরস্কার দেওয়া হয়। এরমধ্যে ব্যান্ড অবসকিওর টানা দ্বিতীয়বারের মতো শ্রোতা সেরা শাখায় পুরস্কার পেয়েছে। অপরদিকে ইমরান এর আগে বহু পুরস্কার পেলেও এবারই প্রথম সিনেমার গানের জন্য চ্যানেল আই মিউজিক পুরস্কার পেলেন।
এদিকে খুরশীদ আলমের হাতে আজীবন সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমান। সম্মাননাপত্র তুলে দেন কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী। এর আগে উত্তরীয় পরিয়ে শিল্পীকে বরণ করে নেন ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর ও পরিচালক মুকিত মজুমদার বাবু। অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয় কণ্ঠশিল্পী শাম্মী আখতারকে। অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি আসতে পারেননি।
অনুষ্ঠানে দেশের চার গুণী সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী, শেখ সাদী খান, আলম খান ও আলী হোসেনকেও সম্মাননা দেওয়া হয়। বর্ষীয়ান এ চার সংগীত পরিচালক গান গেয়ে সবাইকে মুগ্ধও করেন।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় সানী জুবায়ের সংগীপরিচালনায় বর্ষাবিষয়ক কয়েকটি রাগের ওপর নির্মিত নৃত্যশিল্পী তুষার ও তার দলের কোরিওগ্রাফির মধ্য দিয়ে। একঝাঁক সহশিল্পী নিয়ে সংগীত পরিবেশন করেন শফি মণ্ডল, মমতাজ ও রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। একক সংগীত পরিবেশন করেন নগরবাউল জেমস। ছিল চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা ও কণ্ঠশিল্পী ইমরানের দ্বৈত পরিবেশনা। ৩০ জন সহশিল্পীকে নিয়ে ছিল চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের বিশেষ পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ফারজানা ব্রাউনিয়া। পরিচালনায় ছিলেন ইজাজ খান স্বপন। এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি আগামী ৬ অক্টোবর চ্যানেল আইতে প্রচার করা হবে।
পুরস্কার যারা পেলেন-
সমালোচক বিভাগ:
রবীন্দ্রসংগীত- অণিমা রায়, (অ্যালবাম- মাতৃভূমি)
নজরুলসংগীত- নাশিদ কামাল (অ্যালবাম- গানে গানে নজরুলের জীবনী)
লোক সংগীত- শফি মণ্ডল (অ্যলবাম- অধরা)
শ্রেষ্ঠ গীতিকার- আসিফ ইকবাল (অ্যালবাম- মুন এর গান- তুই আমার মন ভালোরে)
সংগীতপরিচালক- শফিক তুহিন (অ্যালবাম- চুপকথা রূপকথা, গান- নীল সামিয়ানা)
মিউজিক ভিডিও- তানীম রহমান অংশুক (অ্যালবাম ও গান- ঝুম)
কাভার ডিজাইন- নাহিদ (নকশীকাঁথার গান)
সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার- পাভেল আরীন (খেয়াল পোকা)
উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত কণ্ঠ)- পিয়াংকা গোপ (ঠুমরী)
আধুনিক গান- ফাহমিদা নবী (অ্যালবাম- সাদা কালো, গান- অন্ধকার)
সেরা ব্যান্ড- পার্থিব (অ্যালবাম- (স্বাগত বাংলাদেশ)
নবাগত শিল্পী- মেহেদী হাসান (অ্যালবাম- আয়না ফিরে, গান- ইচ্ছেগুলো রাজি) এবং ছায়াছবির গান- জেমস (গান- বিধাতা, ছায়াছবি- সুইটহার্ট)
শ্রোতা সেরা বিভাগ:
আধুনিক গান- কুমার বিশ্বজিৎ (অ্যালবাম- স্বপ্ন সমুদ্দুর, গান- কখনও তো বলিনি)
নবাগত শিল্পী- শাহিন খান (আনকোরা)
সেরা ব্যান্ড- অবসকিওর (ক্র্যাক প্লাটুন)
ছায়াছবির গান- ইমরান, (মুসাফির, গান- আলতো ছোঁয়াতে)
মিউজিক ভিডিও- রোম্য খান (অ্যালবাম- মেঘেরা, গান- মেঘেরা ঢাক ঢোল বাজিয়ে)