X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

গীতিকার-সুরকার-প্রযোজকদের উপেক্ষা করেন কণ্ঠশিল্পীরাই!

মাহমুদ মানজুর
১৮ অক্টোবর ২০১৭, ০০:০২আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:৪৩

গীতিকার-সুরকার-প্রযোজকদের উপেক্ষা করেন কণ্ঠশিল্পীরাই! গীতিকার-সুরকারকে উপেক্ষা করেন কণ্ঠশিল্পীরাই! এমন অভিযোগ বহু পুরনো। আর এই অভিযোগের সত্যতাও রয়েছে ভুরি ভুরি। যদিও বেশিরভাগ গীতিকার-সুরকারের প্রত্যাশা ছিল, চলমান কড়া কপিরাইট আইনের দায়ে হলেও কণ্ঠশিল্পীদের এমন ‘একলা চলো’ নীতিতে খানিক পরিবর্তন আসবে। কারণ এখন গান প্রকাশ মানেই হলো গীতিকার-সুরকারদের স্বাক্ষর-অনুমতির স্পষ্ট দালিলিক প্রমাণ। যেমনটার বালাই ছিল না বছর পাঁচেক আগেও।

কিন্তু বর্তমানের এমন নিয়ম-কানুনের মধ্যেও কণ্ঠশিল্পীদের প্রতি এন্তার অভিযোগ উঠছে গীতিকার-সুরকারদের পক্ষ থেকে। একই রকমের অভিযোগ তুলছেন গানের প্রযোজকরাও। অভিযোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- চলতি সময়ের অন্যতম গান প্রকাশনা মাধ্যম ইউটিউবকে ঘিরে। অভিযোগ- দেশের অনেক কণ্ঠশিল্পী গীতিকার-সুরকার ও প্রযোজকদের অনুমতি ছাড়াই বিক্রি হওয়া গান নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করছেন এবং সেখান থেকে নিয়মিত টাকাও উপার্জন করছেন! যার অংশীদার হতে পারছেন না গানটির প্রকাশক কিংবা প্রধান দুই মালিক গীতিকার ও সুরকার।

দেশের বেশ কজন জনপ্রিয় শিল্পীর ইউটিউব চ্যানেল ঘেঁটে তার কিছু নজিরও মিলেছে বাংলা ট্রিবিউন অনুসন্ধানে। প্রশ্ন, যে সময়ে গান প্রকাশের নীতিমালা বেশ স্পষ্ট এবং কঠিন অথবা যে সময়ে প্রায়সই খবর মেলে গান মালিকদের স্বাক্ষর নকল করার দায়ে জেল-জরিমানাও হচ্ছে, সেই সময়ে কণ্ঠশিল্পীরা তারই অংশীদারদের নিয়ে এমন অন্যায় করবেন কেন?

এ প্রসঙ্গে আলাপকালে দেশের অন্যতম সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান বলেন, ‘অনুভব করছি এখন ইউটিউবে অনেকেই সক্রিয়। অনেক শিল্পী নিজেদের চ্যানেলে গান আপ করছেন। তবে কারও অধিকার ক্ষুণ্ন করা উচিত নয়। একটি গানে গীতিকার, সুরকার ও গায়কের অধিকার থাকে। ইউটিউবে এমন আপলোডের ক্ষেত্রে প্রতিকার কী, তার ধারণা আমার নেই। তবে প্রতিকার থাকা উচিত।’

গানের মালিকদের মধ্যে এমন অন্যায় কার্যক্রমের জের ধরে সম্প্রতি একটি নেতিবাচক নজিরও দেখা গেছে অন্তর্জালে। আসিফ, প্রীতম ও শফিক তুহিনের সেই বিব্রতকর বাহাস ব্যথিত করেছে বেশিরভাগ শ্রোতা ও সংগীতসংশ্লিষ্টদের। অথচ এই তিনজনই সংগীতের সফল মুখ এবং তারা তিনজনে এক হয়ে শূন্য দশকে তৈরি করেছেন অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান।

এরমধ্যে গানের অধিকার নিয়ে লম্বা সময় ধরে কাজ করে আসছেন প্রীতম আহমেদ। তিনি এ প্রসঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘এটা খুবই দুঃখজনক ও গায়ক সমাজের জন্য লজ্জার। এসব নিয়ে কয়েক বছর ধরেই নানারকম লেখালেখি ও ভিডিওবার্তায় বলে এসেছি। গীতিকার-সুরকারদের উচিত তাদের অধিকার সম্পর্কে আরও বেশি সচেতন হওয়া। আইন ও তথ্যগুলো সবার কাছে নেই বলে হয়তো এমনটা এখনও হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউটিউবে গান আপলোডের আগে বা পরে কোনোরকম অনুমতি, অর্থ শেয়ার এমনকি অনেক গানে কথা-সুরের জায়গায় আমার নামও ব্যবহার করেননি অনেক শিল্পী। যার প্রমাণ আমার কাছে এখনও আছে। এসব নিয়ে কথা বলায় নানাসময় নানাভাবে অপমান ও জীবন নাশের হুমকি পেয়েছি।’

গানের কপিরাইট নিয়ে প্রীতম আহমেদের টিওটরিয়াল:

একটি গানের অডিও কিংবা ভিডিও কোনও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে প্রকাশের পর সেটি কি আদৌ শিল্পী বা অন্য কেউ তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করতে পারেন? কারণ ইউটিউব কর্তৃপক্ষ তো গানের রাইটস নিয়ে যথেষ্ট সচেতন এবং অনেক সময় খবর পাওয়া যায় অনুমতি ছাড়া গান-নাটক প্রকাশের দায়ে বিভিন্ন চ্যানেল ব্লক হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে অডিও প্রযোজকদের সংগঠন এমআইবি’র সভাপতি ও লেজার ভিশনের প্রধান এ কে এম আরিফুর রহমান বলেন, ‘সাদা চোখে দেখলে তো সেটা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের দেশে সব অসম্ভবই সম্ভব হয়। তাই এটাও হচ্ছে। আমাদের দেশে বরাবরই গীতিকার-সুরকার ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নিগৃহীত হয়। গান ভালো হলে ক্রেডিট যায় শিল্পীর ঘরে। অন্যরা তখন হারিয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধরুন, একটি গান আপনি লিখলেন, উনি সুর করলেন আর একজন কণ্ঠশিল্পীকে ডেকে সেই গানটাতে কণ্ঠ দেওয়ালেন। এরপর একটি প্রতিষ্ঠান টাকা দিয়ে কিনে সেই গানের ভিডিও করে অনেক স্বপ্ন নিয়ে এটি প্রকাশ করলেন। সবাই খুশি। এই খুশির মধ্যে সেই শিল্পী চা খেতে খেতে প্রযোজককে একদিন বললেন, তার ইউটিউব চ্যানেলে অনেক ফলোয়ার। গানটির ভিডিও যদি সেখানে প্রকাশ করা হয় তাহলে খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা পাবে। আরও বলেন, তার চ্যানেল নন মনিটাইজ (যে চ্যানেল থেকে অর্থ পাওয়া সম্ভব নয়)। কোম্পানিও রাজি হয়। দুই-চার মাস পর খবর পাওয়া যায় সেই চ্যানেল ঠিকই মনিটাইজ হয়ে গেছে। সেখান থেকে ওই গান দিয়ে শিল্পী ডলারও কামাচ্ছেন নিয়মিত! যে খবর গানের গীতিকার, সুরকার, প্রযোজক কিন্তু জানেনও না। জানলেও খুব বেশি কিছু বলার থাকে না। কারণ, তিনি জনপ্রিয় শিল্পী।’

কিন্তু এই সময়ে এভাবে কি সম্ভব? কারণ দেশের প্রতিটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানেরই বাণিজ্যিক ইউটিউব চ্যানেল আছে। তাদের প্রতিটি গানই সেখানে প্রকাশ পায়। ফলে একই গান আরেকটি চ্যানেলে প্রকাশ করে একজন শিল্পী কীভাবে আয় করবেন? তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ করলে তো শিল্পীর চ্যানেলই বন্ধ হয়ে যাবে। এমন মন্তব্যের বিপরীতে প্রযোজক নেতা এ কে এম আরফিুর রহমান প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ‘যদি তাই হবে তাহলে কাইনেটিক থেকে দেশের অনেক শিল্পী নিয়মিত টাকা তোলেন কীভাবে? যে শিল্পীরা গান প্রডিউস করেন না। তাছাড়া আপনি বিভিন্ন শিল্পীর ইউটিউব চ্যানেল ঘুরলেই তো দেখবেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নতুন পুরাতন গান-ভিডিও তারা কীভাবে প্রকাশ করে চলেছে।’

 সংখ্যায় কম হলেও এমন বেশ কিছু নজির পাওয়া গেছে। যদিও সংশ্লিষ্ট শিল্পীরা বলছেন, গান মালিকদের সম্মতি আর অনুমতি নিয়েই তারা গানগুলো তাদের চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে সেসব গানের বেশ ক’জন গীতিকার-সুরকার ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, জবাবে কিছু না বলে অসহায়ের হাসি হাসলেন।

এ প্রসঙ্গে দেশের অন্যতম গীতিকবি জুলফিকার রাসেল বলেন, ‘অনেক শিল্পীই আগে পুরো সম্মানি নিয়ে এখন গীতিকার-সুরকার ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে উপেক্ষা করে ডিজিটাল মাধ্যমে গান আপলোড করছেন এবং সেখান থেকে রেভিনিউ পাচ্ছেন। গীতিকার সুরকার ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে একজন শিল্পী কী করে এমন কাজ করতে পারেন তা আমার বোধগম্য নয়। আত্মসম্মান বলেও তো একটা কথা আছে।’

একই সুরে দেশের আরেক জনপ্রিয় গীতিকবি-সুরকার-কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিন বলেন, ‘এটা হচ্ছে। তবে সংখ্যা ক্রমশ কমছে। বিষয়গুলো অনৈতিক। কারণ একটি গানের প্রধান মালিক হচ্ছেন গীতিকার ও সুরকার। সে ক্ষেত্রে তাদের অনুমতি ছাড়া একজন কণ্ঠশিল্পী এই কাজ করতে পারেন না। আইন ও নৈতিকতা এটাকে সাপোর্ট করে না। তবে এখন এটা অনেক কমেছে। এরজন্য আমাদেরকে অনেক যুদ্ধ করতে হয়েছে।’

সংগীতাঙ্গনে অব্যাহত এই অনিয়মের পেছনে দায় সবার- এমন দাবি করে শিল্পী-সংগীত পরিচালক বাপ্পা মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘বিষয়টা ক্রিটিক্যাল। একটা গানের গীতিকার-কম্পোজার প্রথম মালিক। মূল রাইট এ দুজনের। একজন গায়ক সেটি এক্সিকিউট করেন। তার কণ্ঠ এখানে ইন্সট্রুমেন্টের মতোই। আমরা কয়েকজন মিলে একটা গান তৈরি করি অথচ দিন শেষে মানুষ বলে- এটা বাপ্পার গান। অথচ বলা উচিত এটা ‘তাদের’ গান।’’

দিন শেষে কেন হয়ে যায় ‘বাপ্পা’র গান? জবাবে এই সংগীতশিল্পী বলেন, ‘বাইরের দেশে যেটা হয়- সংরাইটার বলে একটা বিষয় থাকে। মানে আমি লিখছি ও সুর করে আমিই কণ্ঠে তুলছি। এটাকে বলা হয় সংরাইটার। যেটা বাংলাদেশে খুব কম। আমি মনে করি, এখান থেকেই গানের মালিকানা নিয়ে জটিলতা শুরু। এর পেছনে আমরা সকলে দায়ী। তবে এখন বিষয়টা ফোকাসে আসছে, সবাই ভাবছে- এটাই বড় কথা।’

বাপ্পা মজুমদারের চ্যানেল থেকে নেওয়া:

অন্য অনেক শিল্পীর মতো বাপ্পা মজুমদারেরও নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল আছে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি গান প্রযোজনাও করছেন। তবে একই চ্যানেলে তার গাওয়া কিছু পুরনো গানও পাওয়া যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কী দাঁড়ালো। এমন মন্তব্যের বিপরীতে বাপ্পা জানান, তার প্রযোজনা করা ও বাইরের যে গানগুলো আছে সবই সুরকার-সংগীতপরিচালক তিনি। ফলে সে গান থেকে যে রেভিনিউ আসে সেটি তিনি তার গীতিকারের সঙ্গে শেয়ার করেন। সংশ্লিষ্ট গানের প্রযোজকরাও বিষয়টি অবহিত।

দেশের সংগীতাঙ্গন এখন ইউটিউবকেন্দ্রিক। ফলে প্রতিটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের একাধিক বাণিজ্যিক ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। সঙ্গে সিংহভাগ সংগীতশিল্পীর বাণিজ্যিক চ্যানেলও রয়েছে। এর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। আর এসব দেখভাল করার জন্য বাংলাদেশে ইউটিউবের একমাত্র অথোরাইজড প্রতিষ্ঠান কাইনেটিক মিউজিক। কণ্ঠশিল্পীদের প্রতি গীতিকার-সুরকার ও প্রযোজকদের চলমান অভিযোগ প্রসঙ্গে নিশ্চয়ই তারা অবগত।

প্রতিষ্ঠানটির এ অ্যান্ড আর ম্যানেজার ও কণ্ঠশিল্পী জুয়েল মোর্শেদ এ প্রসঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা মূলত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাপোর্ট দিয়ে থাকি। আপনি যে অভিযোগের কথা বলছেন সেটি এখন প্রায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কারণ, কাগজে কলমে আমরা যা দেখছি, তাতে করে দেশের ৯৯ ভাগ অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এখনও ইনভেস্টমেন্ট পর্যায়ে আছে। তারা বিনোয়োগের বিপরীতে এখনও লাভের মুখ দেখতে পারেনি। ফলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল টপকে একজন শিল্পী নিজের চ্যানেলে গান প্রকাশ করে লাভবান হওয়ার সুযোগ খুব কম। এটা আগে কিছুটা সম্ভব ছিল। তাছাড়া ইউটিউব কর্তৃপক্ষ এখন যে কোনও কনটেন্ট অনেক যাচাই বাছাই করে। কোনও অভিযোগ পেলে চ্যানেল ব্লক করে দেওয়ার ঘটনা প্রতিনিয়ত হচ্ছে।’

কাইনেটিকের এই কর্তার কাছে পাল্টা প্রশ্ন ছিল, আপনারা বলছেন মূলত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাপোর্ট দেন। আবার প্রযোজকরাই অভিযোগ করছেন দেশের অনেক জনপ্রিয় শিল্পী তাদের ইউটিউব চ্যানেলের বিপরীতে কাইনেটিক থেকে নিয়মিত টাকা তুলছেন। এটা কীভাবে সম্ভব?

জবাবে জুয়েল বলেন, ‘এটা ঠিক, মাত্র কয়েকজন জনপ্রিয় শিল্পী ছোট ছোট কিছু এমাউন্ট পেয়ে থাকেন। এবং সেটি তাদের নিজস্ব গান থেকেই। অনেকেই আছেন নিজের জনপ্রিয় গানটির স্টুডিও ভার্সন কিংবা কনসার্ট ভার্সন নিজের চ্যানেলের প্রকাশ করেন এবং প্রচুর হিট হয় সেসব। সেখান থেকে তিনি টাকা উপার্জন করেন। কারণ, কপিরাইট আইনে এটা লিগ্যাল। কিন্তু এটার সংখ্যা খুবই কম।’

ইমরানের চ্যানেল থেকে নেওয়া:

এখানেও প্রশ্ন থেকে যায় উক্ত শিল্পী যে গানটির স্টুডিও ভার্সন কিংবা কনসার্টের অংশ নিজের চ্যানেলে তুলে দেন সেটার অনুমোদন কি তিনি সংশ্লিষ্ট গীতিকার, সুরকার কিংবা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে অবগত করেন? অথবা রেভিনিউ শেয়ার করেন?

জবাবে সময়ের অন্যতম হিটমেকার তথা ইউটিউবে এখন সর্বাধিক ভিউ পাওয়া সংগীতশিল্পী ইমরান বলেন, ‘‘আমার চ্যানেলে গানের সংখ্যা খুব কম। কারণ আমি প্রডিউসার নই। তবে নিজের একটি গান বিক্রির আগে তিন মাসের জন্য অনটেস্ট চালিয়েছি। ‘বলতে বলতে চলতে চলতে’ শিরোনামের এই গানটি ব্যাপক হিট হয়। আয়ের পরিমাণও বেশ ছিল। যা আমি গীতিকার শফিক তুহিন ভাইয়ের সঙ্গে ভাগ করে নিই। তিন মাসের মাথায় ইউটিউব রাইটসসহ সেই গানটি সংগীতা একেবারে কিনে নেয়। এভাবে সংগীতার আরও তিনটি কনটেন্ট আমার চ্যানেলে যুক্ত হয়েছে। এসব বলার কারণ, শিল্পীর সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের লেনদেন কীভাবে হয়েছে সেটার ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু। অনেক সময় কোম্পানি থেকেই শিল্পীদের চ্যানেলে গানটি প্রকাশের অনুরোধ করেন। কারণ, এখন এমন সচেতন আমরা, আপনার গান চাইলেও আমি বিক্রি করতে পারবো না। বিক্রি করলেও তার লভ্যাংশ আপনাকে না দিয়ে হজম করতে পারবো না। ফলে যদি অনুমতি ছাড়া কেউ এমন কিছু করে সেটা না জেনেই ভুলটা করছে বলে আমি মনে করি।’

/এমএম/
সম্পর্কিত
ট্রেলারে ‘কাজলরেখা’: সংস্কৃতি ও রহস্যের মেলবন্ধন
ট্রেলারে ‘কাজলরেখা’: সংস্কৃতি ও রহস্যের মেলবন্ধন
কপি’যুদ্ধ সেরে বুবলীর রাজ’কীয় চমক!
কপি’যুদ্ধ সেরে বুবলীর রাজ’কীয় চমক!
পাভেলের লিভিং রুম সেশানে জাহিদের কণ্ঠে ‘হে নামাজি’
পাভেলের লিভিং রুম সেশানে জাহিদের কণ্ঠে ‘হে নামাজি’
নোরা এবার র‌্যাপার! (ভিডিও)
নোরা এবার র‌্যাপার! (ভিডিও)
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
জেফারকে সিনেমায় নিয়েছে ফারুকীকন্যা ইলহাম!
জেফারকে সিনেমায় নিয়েছে ফারুকীকন্যা ইলহাম!
ঈদে আরিয়ানের একমাত্র নির্মাণ ‘তখন যখন’
ঈদে আরিয়ানের একমাত্র নির্মাণ ‘তখন যখন’
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
নায়কের জন্মদিনে নায়িকারা...
নায়কের জন্মদিনে নায়িকারা...
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!