X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

চলে গেলেন ঠুমরির রানি গিরিজা দেবী

বিনোদন ডেস্ক
২৫ অক্টোবর ২০১৭, ০২:১৪আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০১৭, ০৩:২৮

গিরিজা দেবী (ছবি: সংগৃহীত) ঢাকায় বেঙ্গল শাস্ত্রীয়সংগীত উৎসবে শ্রোতাদের সুরের নদীতে ভিজিয়েছিলেন বিদুষী গিরিজা দেবী। বিশেষ করে তার ঠুমরি পরিবেশনা ভোলার নয়। তবে আর কখনও সংগীত পিপাসুদের মন ভরাবেন না তিনি। ঠুমরির সংসারে শেষ প্রদীপটা যেন নিভে গেলো।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী আর নেই। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৯টায় কলকাতার বিএম বিড়লা হার্ট রিসার্চ সেন্টারে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গিরিজা দেবী। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। হাসপাতালের একজন মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়াই গিরিজা দেবীর মৃত্যুর কারণ। অনেকদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বুকে ব্যথার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় গিরিজা দেবীকে। এরপর তিনি স্থানান্তরিত হন সিসিইউতে। তাকে কৃত্রিম শ্বাস দিয়ে রাখা হয়েছিল। 
এদিকে গিরিজা দেবীর মৃত্যুতে উপমহাদেশের সংগীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পৃথক দুটি বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘গিরিজা দেবীজির মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। ভারতীয় শাস্ত্রীয়সংগীত সবচেয়ে মধুর কণ্ঠের একজনকে হারালো। তার সুুর-সংগীত কয়েক প্রজন্মকে আলোড়িত করেছে। ভারতীয় শাস্ত্রীয়সংগীতের প্রসারে তার অনন্য অবদান চিরকালের স্মরণীয়।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লিখেছেন, ‘গিরিজা দেবীর মৃত্যু সংগীত জগতের বড় ক্ষতি।’

ওস্তাদ আমজাদ আলি খান মনে করেন, গিরিজা দেবীর মৃত্যুতে একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো। শোক জানিয়েছেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, ওস্তাদ রশিদ খানসহ আরও অনেকে। বাংলাদেশের সংগীতশিল্পীরাও শোক প্রকাশ করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

গীতিকার জাভেদ আখতারের মতে, ‘শুধু কিংবদন্তি শাস্ত্রীয়সংগীত শিল্পীই নয়, গিরিজা দেবী ছিলেন জাতীয় রত্ন। তাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে গেলো সাংস্কৃতিক অঙ্গন।’


১৯২৯ সালের ৮ মে ভারতের বারাণসীতে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন গিরিজা দেবী। তিনি ছিলেন বেনারস ঘরানার শিল্পী। ধ্রুপদী ও শাস্ত্রীয় সংগীতের পাশাপাশি ঠুমরিকে জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে তার অবদান অপরিসীম। তাকে শ্রোতারা স্নেহ করে ডাকতো ‘আপ্পাজি’।

বারাণসী থেকে একসময় কলকাতায় চলে আসেন গিরিজা দেবী। সংগীতে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ভারত সরকারের কাছ থেকে তিনি পেয়েছেন পদ্মশ্রী (১৯৭২), পদ্মভূষণ (১৯৮৯) ও পদ্মবিভূষণ (২০১৬) সম্মান। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১২ সালে সংগীত মহাসম্মান ও ২০১৫ সালে বঙ্গবিভূষণ সম্মাননা প্রদান করে তাকে।

/জেএইচ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
১৬ বছর পর জেনস সুমনের ফেরা (ভিডিও)
১৬ বছর পর জেনস সুমনের ফেরা (ভিডিও)
মা হারালেন বেবী নাজনীন
মা হারালেন বেবী নাজনীন
ওমর: ‘নায়িকাবিহীন’ এক থ্রিলার
সিনেমা সমালোচনাওমর: ‘নায়িকাবিহীন’ এক থ্রিলার