১৩ নভেম্বর চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘হুমায়ূন মেলা’। এদিন বাংলা সাহিত্যের নন্দিত এই লেখকের ৭০তম জন্মদিন।
জন্মদিন উপলক্ষে ওইদিন বিকাল ৩টা ৫ মিনিটে তেজগাঁওস্থ চ্যানেল আই চত্বরে ‘হুমায়ূন মেলা’র উদ্বোধন পর্বে উপস্থিত থাকবেন- নাট্যব্যক্তিত্ব, কবি-সাহিত্যিকসহ দেশের বিভিন্ন অঙ্গণের বিশিষ্টজনরা, চ্যানেল আই পরিচালকবৃন্দ, জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক ও হুমায়ূন আহমেদ পরিবারের সদস্যরা। মেলায় থাকবে হুমায়ূন আহমেদের বই, চলচ্চিত্র, নাটকসহ তার কর্মজীবনের নানা সামগ্রীর স্টল। মেলা চলবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
মেলা প্রাঙ্গণ মঞ্চে পরিবেশিত হবে হুমায়ূন আহমেদের লেখা গান, নাচ, আবৃত্তি, স্মৃতিচারণ পর্ব ইত্যাদি। মেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে চ্যানেল আই ও রেডিও ভূমি।
এ উপলক্ষে ১১ নভেম্বর চ্যানেল আই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, মেলার পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান এসিআই সল্ট লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আলমগীর ও সংগীতশিল্পী সেলিম চৌধুরী।
মেলা সম্পর্কে ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ নানাভাবে চ্যানেল আই-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শুধু চ্যানেল আই-ই নয়, তিনি ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি. থেকে আমাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক নাটক ও সিনেমা তৈরি করেছেন এবং নানা পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। লিখেছেন চ্যানেল আই-এর জন্য অনেক নাটক। তাকে নিয়ে এ ধরনের একটি মেলার আয়োজন করে আমরা গর্বিত। অন্যবারের মতো এবারও আমরা নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উদযাপন করবো।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাট্যজন কেরামত মওলা, আনন্দ আলো সম্পাদক রেজানুর রহমান ও অভিনেতা মাজনুন মিজান। তারা হুমায়ূন আহমেদ-এর বিভিন্ন স্মৃতিকর্ম নিয়ে কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, হুমায়ূন আহমেদের জন্ম নেত্রকোনার কুতুবপুরে, ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। মায়ের নাম আয়েশা ফয়েজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। একপর্যায়ে অধ্যাপনা ছেড়ে পেশা হিসেবে লেখালেখিকে বেছে নেন। পরে নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাণেও যুক্ত হয়েছিলেন। হুমায়ূন আহমেদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।
কোলন ক্যানসারে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।