X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

উচ্চাঙ্গ উৎসব নিয়ে আর কোনও শঙ্কা নেই: আবুল খায়ের

ওয়ালিউল মুক্তা
১৪ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:০৮আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৫:৪৫

২০১৬ সালের নভেম্বরে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে টানা পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে শাস্ত্রীয় সুরের প্রশংসিত আয়োজন বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব। তবে এ বছর ষষ্ঠবারের আয়োজনে এসে জটিলতার সম্মুখীন হয় আয়োজক প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ফাউন্ডেশন।

অনেক চেষ্টার পর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গত ২২ অক্টোবর বিষণ্ন মনে গণমাধ্যমেকে ডেকে বলেছেন, ‘এবারের আয়োজন বাতিল’। এমন ঘোষণা দেওয়ার সময় তিনি ছিলেন অশ্রুসজল। । তবে শাস্ত্রীয়সংগীত প্রেমীদের জন্য সুখবর এসেছে আজ, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ। শেষ পর্যন্ত উৎসবটি হচ্ছে। এদিন বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় খবরটি নিশ্চিত করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের।

বললেন, বিশ্বের শাস্ত্রীয়সংগীতের মহারথীদের পদচারণায় এবার মুখরিত হবে ধানমন্ডির আবাহনী মাঠ। সময়টা ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর। এ প্রসঙ্গে তার সঙ্গে বিস্তারিত কথোপকথনের প্রাসঙ্গিক অংশ তুলে ধরা হলো-

আবুল খায়ের বাংলা ট্রিবিউন: ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসব ২০১৭’ বন্ধ ঘোষণার পরও সুখবর এলো! কীভাবে?
আবুল খায়ের: আসলে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে সাড়া না পেয়ে মাঠ বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আমরা সব জায়গায় চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কেউ সুসংবাদ দিতে পারেনি। তবে আশার কথা আবাহনী থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা বরাদ্দ পেয়েছি। আগামী ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বরাদ্দ। এখানে সরকারের অনুমতির জন্য চিঠি পাঠাব। যেহেতু আপনারা সবাই চান, মানুষ চায়, তাই এই চেষ্টা। আমরা তো ক্যানসেল করেই দিয়েছিলাম। শুধু মানুষের ভালোবাসা ও চাওয়ার জন্য এ উদ্যোগ আবারও নিয়েছি।
বাংলা ট্রিবিউন: অর্থাৎ সরকারের অনুমতি এখনও মেলেনি?
আবুল খায়ের: বিষয়টি অনুমতির নয়, মাঠ বরাদ্দ পাচ্ছিলাম না। আমরা অনেক জায়গায় বরাদ্দের জন্য দরখাস্ত করেছিলাম। কেউ দিতে পারেনি। আবাহনী বরাদ্দ করেছে। তাদের থেকে এ বিষয়ে চিঠিটি আজকে (১৪ নভেম্বর) সকালে পেয়েছি।
বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসবের অনুমতি আমরা আগেই পেয়েছি। কিন্তু সেটা ছিল অন্য জায়গার (আর্মি স্টেডিয়াম)। এখন যে স্থান পরিবর্তন হলো এ জন্য অনুমতি লাগবে। এটা জটিল কিছু নয়, আনুষ্ঠানিকতা বলতে পারেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের আগেই অনুমতি দিয়েছে। মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর সাহেব বিষয়টি জানেন। আমার মনে হয় না আর সমস্যা হবে।
বাংলা ট্রিবিউন: গত সংবাদ সম্মেলনে আপনি বিষণ্ন ছিলেন, কেঁদেছেন। এখন মাঠ বরাদ্দ পাওয়ার পর নিশ্চয়ই খুব ভালো লাগছে?
আবুল খায়ের: অবশ্যই, এটা তো শুধু আমাদের অনুষ্ঠান না। আবার শুধু বাংলাদেশের অনুষ্ঠানও নয়। এটি আন্তর্জাতিক মানের একটি আয়োজন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে অন্যভাবে জানে। তারা জানে, আমরা শাস্ত্রীয় সংগীতের জন্য এমন একটি আয়োজন করতে পারি। সেখানে যুব সমাজ ১১ ঘণ্টা ধরে গান শোনে! এটা যে কত বড় একটা বিষয় তা বলে বোঝানোর মতো নয়।
বাংলা ট্রিবিউন: এবারের আয়োজনকে ঘিরে আর কোনও চ্যালেঞ্জ কিংবা শঙ্কা আছে বলে মনে করেন কি?
আবুল খায়ের: না, আর কোনও চ্যালেঞ্জ, শঙ্কাও নেই।
বাংলা ট্রিবিউন: আবাহনী মাঠ তো আবাসিক এলাকায়। গভীর রাতে শব্দ অন্যদের সমস্যার কারণ হবে না?
আবুল খায়ের: না। আমরা সে ব্যবস্থাও করছি। আমরা শব্দ নিয়ন্ত্রণ করবো। শব্দ মাঠের বাইরে যাবে না।
বাংলা ট্রিবিউন: নিরাপত্তার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
আবুল খায়ের: আমাদের তরফ থেকে শতভাগ চেষ্টা থাকবে। আমরা চাই গতবারের চেয়েও এটি আরও সমৃদ্ধ হোক। নিরাপত্তায় কোনও ঝামেলা হবে না বলে আশা করি। আমরা প্রস্তুতি নিয়ে কাজে নামব। এ বিষয়ে সরকার অবগত। প্রত্যেক বছর যেভাবে তারা নিরাপত্তা দেন, সেভাবেই তারা সহায়তা করবে। আর এটা তো শুধু আমাদের উৎসব নয়, এটা প্রেস্টিজ অব বাংলাদেশ।
বাংলা ট্রিবিউন: এবারের আয়োজনে শিল্পীদের লাইনআপ কেমন থাকছে? মানে মাঝে আয়োজন বাতিল করার পর পুরনো তালিকায় রদবদল হচ্ছে কী?
আবুল খায়ের: আমরা চেষ্টা করছি, ওটাই রাখার। তবে সেটা পুরোপুরি সম্ভব হবে না। প্রথম তালিকার ৭০ শতাংশ থাকবে। আসলে বিদেশের শিল্পীরাও এ উৎসবকে নিয়ে গর্ব করেন। তারাও চান, এখানে আসতে। সময় দিতে। আমরা সত্যিই সম্মানিত বোধ করি।
আবুল খায়ের। ছবি- উইকিমিডিয়া কমন্স বাংলা ট্রিবিউন: আমাদের মাঝে গিরীজা দেবী ও কিশোরী রমনকারের মতো মহারথী আর নেই। তাদের নিয়ে কোনও পরিকল্পনা আছে? এবার কি আয়োজনটি তাদের উৎসর্গ করা যায়।
আবুল খায়ের: তাঁরা চলতি বছরই আমাদের ছেড়ে গেছেন। তাদের মতো শিল্পীরা এখানে এসেছেন এটা পরম গর্বের। এবারের আয়োজনটি তাঁদের উৎসর্গ করার কথাটিও পরিকল্পনায় আছে আমাদের।
বাংলা ট্রিবিউন: আজ (১৪ নভেম্বর) তো বই নিয়ে বেঙ্গলের একটি বিশেষ আয়োজনের উদ্বোধন হলো। এটি নিয়ে কিছু বলুন-
আবুল খায়ের: ‘বেঙ্গল বই’ নামের একটি আড্ডা আয়োজন চালু হয়েছে। ধানমন্ডি ২৭-এর মীনা বাজারের পাশের গলিতে লালমাটিয়ার দিকে ঢোকার মুখে পড়বে এটি। তিনতলা দুটি ভবনের মাঝে সংযোগ স্থাপন করে তৈরি করা হয়েছে বেঙ্গল বই।
প্রথম তলায় থাকছে তরুণদের জন্য আড্ডা দেওয়ার ব্যবস্থা। এখানে বসে পড়া যাবে পুরনো বই। পছন্দ হলে কোনও বই নিয়েও যাওয়া যাবে, সেটি ফেরতও দিতে হবে না। তবে নিজের সংগ্রহ থেকে দুটি বই এখানে দিয়ে যেতে হবে।

/এম/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!
ঢাকার পর্দায় আবার গডজিলা-কিং কং
ঢাকার পর্দায় আবার গডজিলা-কিং কং
পুষ্পা: আসবে তৃতীয় কিস্তি!
পুষ্পা: আসবে তৃতীয় কিস্তি!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
যুক্তরাষ্ট্রে নোমান রবিনের ‘ছাই থেকে ফুল’
যুক্তরাষ্ট্রে নোমান রবিনের ‘ছাই থেকে ফুল’