X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বারী সিদ্দিকী আর নেই

বিনোদন রিপোর্ট
২৪ নভেম্বর ২০১৭, ০৩:২০আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:৪২

বারী সিদ্দিকী (১৯৫৪-২০১৭) জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও নন্দিত বংশীবাদক বারী সিদ্দিকী আর নেই। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহ্স্পতিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে মারা যান তিনি (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। শিল্পীর ছেলে সাব্বির সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

গত ১৭ নভেম্বর রাতে হার্ট অ্যাটাক করলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। বারী সিদ্দিকীর দুটি কিডনিও অকার্যকর ছিল। দুই বছর ধরেই তার ডায়ালাইসিস চলছিল।

সাব্বির সিদ্দিকী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দাফনের জন্য তার বাবার মরদেহ নিজ জেলা নেত্রকোনায় নিয়ে যাওয়া হবে। এর আগে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রথম নামাজে জানাজা হবে। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনের সামনে দ্বিতীয় জানাজা হবে। বাদ আসর নেত্রকোনায় আরেকবার জানানা শেষে মরদেহ দাফন করা হবে।   

বারী সিদ্দিকী (১৯৫৪-২০১৭) বারী সিদ্দিকী একাধারে খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও বংশীবাদক। তিনি মূলত গ্রামীণ লোকসংগীত ও আধ্যাত্মিক ধারার গান করে থাকেন। তার গাওয়া ‘শুয়া চান পাখি’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘সাড়ে তিন হাত কবর’, ‘তুমি থাকো কারাগারে’, ‘রজনী’সহ অারও অনেক গান ব্যাপক জনপ্রিয়।

বারী সিদ্দিকী ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে পরিবারেই গান শেখায় হাতেখড়ি হয় তার। ১২ বছর বয়সেই নেত্রকোনার শিল্পী ওস্তাদ গোপাল দত্তের অধীনে তার আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। তিনি ওস্তাদ আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষসহ অসংখ্য গুণী শিল্পীর সান্নিধ্য লাভ করেন।

ওস্তাদ আমিনুর রহমান একটি কনসার্টের সময় বারী সিদ্দিকীকে দেখে তাকে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেন। পরে ছয় বছর ধরে তিনি ওস্তাদ আমিনুর রহমানের অধীনে প্রশিক্ষণ নেন।

সত্তরের দশকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গে যুক্ত হন বারী সিদ্দিকী। ওস্তাদ গোপাল দত্তের পরামর্শে ক্লাসিক্যাল মিউজিকের ওপর পড়াশোনা শুরু করেন। পরে বাঁশির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন ও বাঁশির ওপর উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে প্রশিক্ষণ নেন। নব্বইয়ের দশকে ভারতের পুনে গিয়ে পণ্ডিত ভিজি কার্নাডের কাছে তালিম নেন। দেশে ফিরে এসে লোকগীতির সঙ্গে ক্লাসিক মিউজিকের সম্মিলনে গান গাওয়া শুরু করেন।

দীর্ঘদিন সংগীতের সঙ্গে জড়িত থাকলেও বারী সিদ্দিকী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পান ১৯৯৯ সালে হ‌ুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর। এই ছবিতে তার গাওয়া ছয়টি গানই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

/এমএম/এএম/এফএস/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল