২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হলো ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব’। অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে বরাবরই থাকে দর্শক চাপ। বিনামূল্যে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হয় নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে। এরপরেও বেশিরভাগ শ্রোতার আক্ষেপ থেকে যায়, নিবন্ধন করতে না পেরে।
এবারও এই উৎসবের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৮ ডিসেম্বর থেকে সীমিত সময়ের জন্য। তবে গতকাল উৎসবের প্রথম রাতে শ্রোতা-দর্শক উপস্থিতি খানিক কম পরিলক্ষিত হয়েছে। অন্যদিকে অনেক আগ্রহী দর্শক নিবন্ধনের তারিখের বিষয়টি না জানারও অভিযোগ করেছেন। এসব দিক বিবেচনা করে আয়োজক কর্তৃপক্ষ আজ (২৭ ডিসেম্বর) থেকে আবারও নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করেছে তাদের উৎসবের ওয়েবসাইটে।
আজ থেকে আবারও আয়োজক বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট https://registration.bengalclassicalmusicfest.com/ -এ গিয়ে নিবন্ধন করা যাবে।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ৬ষ্ঠ বারের মতো অনুষ্ঠিত ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব’। সংগীত জাগায় প্রাণ- এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ২৬ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে শুরু হয় পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসব। উৎসবের উদ্বোধনী পর্বেই ড. এল সুব্রামানিয়াম বেহালায় আভোগী রাগ পরিবেশন করেন। তার সঙ্গে মৃদঙ্গমে সঙ্গত করেন শ্রী রামামূর্তি ধুলিপালা, তবলায় ছিলেন পণ্ডিত তন্ময় বোস এবং মোরসিং-এ ছিলেন সত্য সাই ঘণ্টশালা।
এরপরেই অর্কেস্ট্রা পরিবেশন করতে মঞ্চে আসে উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ আস্তানা সিম্ফনি ফিলহারমোনিক। দলটি প্রথমে সিলেস কাজগালিব রচিত সিম্ফোনির কিছু অংশ এবং পি আই চাইকভস্কির বিখ্যাত রচনা ‘সোয়ান লেক’-এর কিয়দংশ পরিবেশন করে। অর্কেস্ট্রা পরিচালনা করেন আস্তানা সিম্ফনি ফিলহারমোনিক-এর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর বেরিক বাত্যরখান।
রাত ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব ২০১৭’- এর। এসময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। মঞ্চে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, আবাহনী লিমিটেডের সভাপতি সালমান এফ রহমান এবং বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব আবুল খায়ের।
উৎসবের প্রথম রাতে আরও পরিবেশন করেন রাজরূপা চৌধুরী (সরোদ), বিদূষী পদ্মা তালওয়ালকর (খেয়াল), ফিরোজ খান (সেতার), সুপ্রিয়া দাস (খেয়াল), রাকেশ চৌরাসিয়া (বাঁশি) ও পূর্বায়ণ চ্যাটার্জি (সেতার)।
এ বছর উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে গবেষক, চিন্তাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে। উৎসব চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত।
ছবি: বাংলা ট্রিবিউন ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশন