মালয়েশিয়ায় মানব পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হলেন অনন্য মামুন। আজ (৩০ ডিসেম্বর) বার্ষিক সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সভা চলছে। সভা শেষে বিষয়টি সমিতির প্রতিটি সদস্যদের আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে জানানো হবে। মামুনের নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন দেশের জ্যেষ্ঠ পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর।
তিনি বলেন, ‘মামুন মালয়েশিয়ার পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করেছে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় যা নিয়মিত আসছে। এছাড়াও আমরা মালয়েশিয়ান অ্যাম্বাসিতে যোগাযোগ করেছি। সব মিলিয়ে আমরা নিশ্চিত হই, তিনি এ অপরাধে জড়িত। তাই তাকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
মামুনের শেষ ছবি হচ্ছে ‘বন্ধন’। যা তিনি মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে শুটিং করেছেন। তবে শেষ ছবিটির মুক্তি প্রক্রিয়া নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি সমিতি।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আড়ালে ৫৭ জন আদম পাচারের অভিযোগে তরুণ নির্মাতা অনন্য মামুনকে গ্রেফতার করে মালয়েশিয়ান পুলিশ। গত ২৪ ডিসেম্বর দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের এলপি নামের একটি ভবন থেকে তাকেসহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
মালয়েশিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক একটি কঠোর আইনে গ্রেফতার হওয়া নির্মাতার দোষ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে তার।
এদিকে ২০১৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর পরিচালক সমিতির এক জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে প্রথম সদস্যপদ বাতিল করা হয় অনন্য মামুনের। তখন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল- যৌথ-প্রযোজনার নামে প্রতারণা এবং জাল সার্টিফিকেট দিয়ে পরিচালক সমিতির সদস্যপদ নেওয়া। এরপর অঙ্গীকারনামা দিয়ে সেই সদস্যপদ ফিরে পান মামুন।