বছরের সবচেয়ে আলোচিত ছবি এসেছেন তার হাত ধরে। ছবির পুলিশ কর্মকর্তা আবিদ বা শুভর ছবি ‘ঢাকা অ্যাটাক’ আক্রান্ত ছিল ঢাকাসহ সারাদেশ। এর পরপরই ছবি পাড়ায় দামও বেড়েছে তার। ‘প্রেমী ও প্রেমী’, ‘ধ্যাততেরিকি’, ‘ভালো থেকো’- ছবিতেও ছিলেন আলোচিত। কণ্ঠ দিয়েছেন অ্যানিমেশন ছবি ‘ডিটেকটিভ’-এ।
আর ২০১৭ সালের ‘মৃত্যুপুরী’, ‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবির কাজ শেষ করে রেখেছেন নতুন বছরের জন্য। ২০১৮ সালের যেকোনও সময় এটি পর্দায় তুলে দেবেন। গত বছরের ‘বেসিক আলী’ বা কলকাতার অরিন্দম শীলের ছবিতে কাজ করার বিষয়েও খবর হয়েছেন তিনি। যদিও ‘বেসিক আলী’ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছেন, অরিন্দমের কাজের বিষয়ে এখনও ‘হ্যাঁ’ করেননি ঢাকাই ছবির অন্যতম এ নায়ক।
২০১৭: এ বছরটা নানা কাজেই কেটেছে। নায়ক হিসেবে কর্মমুখর বর্ষ বলা যায়। দর্শকের প্রচণ্ড ভালোবাসা পেয়েছি। বিশেষ করে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির জন্য। চেষ্টা করেছিলাম হলে হলে গিয়ে দর্শকদের সঙ্গে কথা বলার। তাদের উচ্ছ্বাস ছিল আমার জন্য বিশেষ কিছু। এধরনের স্মৃতিই মনে দাগ কেটে আছে। একবার তো একটি প্রেক্ষাগৃহের সামনের রাস্তা পুরো জ্যাম বেঁধে গিয়েছিল। দর্শকদের এ ভালোবাসা আমি ফিরিয়ে দিতে চাই। ২০১৭ সাল খুব ভালো কেটেছে। আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী আমার পাশে থেকেছেন। ধন্যবাদ তাদের। সমালোচকদেরও আরও বেশি ধন্যবাদ। তাদের কারণেই নিজেকে আরও দক্ষ করে তুলতে পারি।
২০১৮: চাই শুধু একটা জিনিস। এটা চাওয়া বা পরিকল্পনাও বলা যায়। ২০১৮ সালে আমার পরিকল্পনা ভালো থাকা ও আমার আশপাশের মানুষদের ভালো রাখা। বেশি ছবি করাটাকে আমি কখনও প্রাধান্য দিইনি। নতুন বছরেও তাই থাকবে। ২০১৭ সালে অনেক ছবিতেই আমি কাজই করিনি। কারণটা হলো আমি নিজেকে রাজি করাতে পারিনি। নিজের মনকে রাজি করাতে পারিনি। এবারও সেটাই করতে চাই। আর আমার আশেপাশের মানুষদের ভালো রাখতে চাই।