১৯৯৭ সালে কোয়েন ভ্রাতৃদ্বয়ের ‘ফার্গো’ ছবির জন্য অস্কারে সেরা অভিনেত্রী হয়েছিলেন ফ্রান্সেস ম্যাকডোর্ম্যান্ড। ২১ বছর পর আবারও এই স্বাদ পেলেন তিনি।
অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের ৯০তম আসরে ‘থ্রি বিলবোর্ডস আউটসাইড এবিং, মিসৌরি’ ছবিতে রাগী ও শোকাহত মায়ের চরিত্রে দারুণ অভিনয়ের জন্য পুরস্কারটি গেলো তার ঘরে। ধর্ষিতা মেয়ের হত্যাকারীদের খুঁজতে পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য রাস্তার ধারে তিনটি বিলবোর্ড বসান এই মা।
সোমবার (৫ মার্চ) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে হলিউড অ্যান্ড হাইল্যান্ড সেন্টারের ডলবি থিয়েটারে অস্কারের জাঁকালো মঞ্চে সেরা অভিনেত্রীর নাম ঘোষণা করেন দুই প্রজন্মের দুই অভিনেত্রী জোডি ফস্টার ও জেনিফার লরেন্স। তারাই ফ্রান্সেসের হাতে তুলে দেন অস্কারের সোনালি মূর্তি।
অস্কারের সেরা অভিনেত্রী বিভাগে এবার তেমন কোনও সাসপেন্স ছিল না। ফ্রান্সেস ম্যাকডোর্ম্যান্ডের হাতেই পুরস্কারটি ওঠাটা স্বাভাবিক ভেবেছিলেন বোদ্ধারা। এর আগে একই ছবির জন্য গোল্ডেন গ্লোব, বাফটা ও স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন ৬০ বছর বয়সী এই মার্কিন অভিনেত্রী।
সেরা অভিনেত্রী বিভাগে মনোনীত অন্যরা হলেন তিনবারের অস্কারজয়ী মেরিল স্ট্রিপ (দ্য পোস্ট), সারশা রোনান (লেডি বার্ড), মার্গট রবি (আই, টনিয়া) ও স্যালি হকিন্স (দ্য শেপ অব ওয়াটার)। কিন্তু সবাইকে হতাশ হতে হয়েছে ফ্রান্সেসের অনবদ্য অভিনয়ের কারণে।
গত বছরের মতো এবারও উপস্থাপনা করছেন জিমি কিমেল। ৫০ বছর বয়সী এই মার্কিন তারকার হাস্যরসধর্মী উপস্থাপনা উপভোগ করেন ডলবি থিয়েটারে উপস্থিত ৩ হাজার ৩০০ জন অতিথি।
বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শুরুর আগের এক ঘণ্টা ৫০০ ফুট দীর্ঘ লালগালিচায় পা মাড়িয়েছেন দুনিয়া কাঁপানো হেভিওয়েট তারকারা। বিখ্যাত ডিজাইনারদের বাহারি সব পোশাক পরে এসেছেন নামি-দামি তারকারা। সব মিলিয়ে জায়গাটি হয়ে উঠেছিল যেন নক্ষত্র মেলা!
