X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

মিরচি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস-এ সেরা হলো জুলফিকার রাসেলের গান

বিনোদন রিপোর্ট
০৮ মার্চ ২০১৮, ১৯:২৫আপডেট : ০৯ মার্চ ২০১৮, ১৩:৪৮

জুলফিকার রাসেল দুই বাংলার অন্যতম গীতিকবি জুলফিকার রাসেল। গেল বছর তার একক কথায় প্রকাশ হয় কলকাতার নন্দিত সংগীতশিল্পী নচিকেতার অ্যালবাম ‘বেঁচে থাকার মানে’। আশা অডিও থেকে প্রকাশিত এই অ্যালবামটি এবারের মিরচি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস (বাংলা)-এর বেশ কয়েকটি বিভাগের মনোনয়ন পায়।
৭ মার্চ সন্ধ্যায় কলকাতার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত জমকালো এই অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে সবাইকে ছাপিয়ে ২০১৭ সালের সেরা আধুনিক বাংলা গানের পুরস্কার জিতে নিয়েছে জুলফিকার রাসেলের কথায় নচিকেতার গাওয়া ‘সবুজ ছিল’ শিরোনামের গানটি, যা স্থান পেয়েছিল ‘বেঁচে থাকার মানে’ অ্যালবামটিতে।
জানা গেছে, এই আসরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম কোনও গীতিকবি মিরচি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস জিতে নিলেন। মিরচি কর্তৃপক্ষ ই-মেইলের মাধ্যমে বাংলা ট্রিবিউনকে জানায়, ‘সবুজ ছিল’ গানটি বছরের সেরা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় সেটির গীতিকবি জুলফিকার রাসেল, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা, সংগীতায়োজক টুনাই দেবাশীষ গাঙ্গুলী ও প্রযোজনা সংস্থা আশা অডিওকে পুরস্কারটি প্রদান করা হয়। 

মিরচি অ্যাওয়ার্ড বাংলা-২০১৭
এদিকে এমন প্রাপ্তি প্রসঙ্গে জুলফিকার রাসেল বলেন, ‘আমি অনেকদিন ধরেই দুই দেশের জন্য গান লিখছি। দেশে এ পর্যন্ত অনেক স্বীকৃতি পেয়েছি। তবে ভারত থেকে এটাই প্রথম কোনও বড় প্রাপ্তি। এটা নিঃসন্দেহে আমার জন্য আনন্দের। সবচেয়ে বড় কথা, একজন সৃষ্টিশীল মানুষ হিসেবে এই প্রাপ্তি আমাকে আগামীর পথে এগিয়ে যেতে উৎসাহ জোগাবে। সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
‘বেঁচে থাকার মানে’ অ্যালবামটির সবক’টি গানের সংগীতায়োজন করেছেন ভারতের টুনাই দেবাশীষ গাঙ্গুলী। পুরো অ্যালবামটি শোনা যাবে আশা অডিওর ইউটিউব চ্যানেলেও।

এদিকে মিরচি রেডিওর এই আসরে আধুনিক বাংলা গান বিভাগে সেরা পুরুষ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পুরস্কার পান শোভন (ছুঁয়ে যাই ভেজা আঙুল), সেরা নারী কণ্ঠশিল্পী শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় (আমি তো বুঝিনি ঠিক), সেরা কম্পোজার পূরবশীল আচার্য (কোনও চিঠি আসবে না) এবং সেরা লিরিসিস্ট হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন রুপম ইসলাম (ডানিকেন)।
‘সবুজ ছিল’ গানটির ইউটিউব লিংক:

মিরচি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস- ২০১৭ (বাংলা) আসরে আরও যে যে বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হলো তার মধ্যে রয়েছে-
ফিল্ম সং অব দ্য ইয়ার: ‘ছায়া যুদ্ধ’ (ছবি: ‘যক্ষের ধন’, কণ্ঠশিল্পী: রুপম ইসলাম ও সঞ্চারী চৌধুরী, কম্পোজার: মিমো, কথা: প্রান্তিক চক্রবর্তী ও পিয়া চক্রবর্তী, পরিচালক: সায়ান্তন ঘোষাল, প্রযোজক: চ্যাম্পিয়নস মুভি)।
ফিল্ম অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার: ‘প্রজাপতি বিস্কুট’ (শিল্পী: অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, অনুপম রায়, চন্দ্রানী বন্দোপাধ্যায়, দীপতরকা বোস, লগ্নজিৎ চক্রবর্তী, প্রসেন ও শিল্পা রাও। সংগীত পরিচালক: অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, অনুপম রায়, প্রসেন ও শান্তনু মৈত্র। কথা: অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, অনুপম রায় ও রিতম সেন। পরিচালক: অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। প্রযোজক: উইন্ডোজ অ্যান্ড গণপতি প্রোডাকশনস।)   
ফিল্ম মেল ভোকালিস্ট অব দ্য ইয়ার: সত্যকি ব্যানার্জি (ছবি: চিলেকোঠা, গান: খাঁচার ভেতর অচিন পাখি)
ফিল্ম ফিমেল ভোকালিস্ট অব দ্য ইয়ার: সোমলতা (ছবি: বিবাহ ডায়েরিস, গান: নাছোড়বান্দা মন)
ফিল্ম মিউজিক কম্পোজার অব দ্য ইয়ার: জিৎ গাঙ্গুলি (ছবি: দ্যাখ কেমন লাগে, গান: বাজে বীণা)
ফিল্ম লিরিসিস্ট অব দ্য ইয়ার: অনুপম রায় (ছবি: পোস্ত, গান: কেন এরকম)
ফিল্ম আপকামিং মেল ভোকালিস্ট অব দ্য ইয়ার: দুর্নিবার সাহা (ছবি: ময়ূরাক্ষী, গান: ঠিকানা)
ফিল্ম আপকামিং ফিমেল ভোকালিস্ট অব দ্য ইয়ার: রাশমীত কর (ছবি: ব্যোমকেশ ও অগ্নিবান, গান: বেদারদি বালমা)
ফিল্ম আপকামিং মিউজিক কম্পোজার অব দ্য ইয়ার: শুভ প্রামাণিক (ছবি: সব ভুতুড়ে, গান: নেই আলো)
ফিল্ম আপকামিং লিরিসিস্ট অব দ্য ইয়ার: সুমন মিকি চট্টোপাধ্যায় (ছবি: প্রয়াস, গান: একলা আকাশ)
রবীন্দ্রসংগীত অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার: তুমি আমারই (শিল্পী: দুর্নিবার সাহা, অ্যারেন্জমেন্ট: অমিত ব্যানার্জি, প্রযোজনা: আশা অডিও)
বাংলা ব্যান্ড সং অব দ্য ইয়ার: জানালা (অ্যালবাম: ফসিলস ৫, ব্যান্ড: ফসিলস, প্রযোজক: ওয়ার্কিং প্লাস জিরো)
লিসেনার্স চয়েস সং অব দ্য ইয়ার: উড়ছে মন (ছবি: বস ২, কণ্ঠশিল্পী: অরিজিৎ সিং, কম্পোজার: জিৎ গাঙ্গুলি, কথা: প্রাঞ্জল, পরিচালক: বাবা যাদব, প্রযোজক: গ্রাসরুট এন্টারটেইনমেন্ট)
লিসেনার্স চয়েস অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার: মাছের ঝোল (শিল্পী: অনুপম রায়, নিকিতা, সাহেব চট্টোপাধ্যায়। গীতিকার ও সুরকার: অনুপম রায়। পরিচালক: প্রতীম ডি. গুপ্ত। প্রযোজক: সনি পিকচার্স ও মজো প্রোডাকশন)
সং ইঞ্জিনিয়ার অব দ্য ইয়ার: শ্রীরুপ চট্টোপাধ্যায় ও রাজা নারায়ণ দেব (গান: ম্যাজিক ডয়েরি, ছবি: বিলের ডায়েরি)
সং প্রডিউসার অব দ্য ইয়ার: শোভন মুখার্জি ও নীল দত্ত (গান: বেদারদি বালমা। ছবি: ব্যোমকেশ ও অগ্নিবান)

স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ডস বিভাগে আউটস্ট্যান্ডিং কনট্রিবিউশন টু বাংলা মিউজিক হিসেবে এই সম্মাননা পেয়েছেন বুদ্ধদেব গাঙ্গুলি। অন্যদিকে একসিলেন্স ইন ইনোভেশন বিভাগে সম্মাননা পেয়েছেন ‘নিউমেরাস স্ট্রিংস’ অ্যালবামের জন্য দেবাশীষ রায় চৌধুরী ও রুহিনী রায় চৌধুরী।

/এমএম/চেক-এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
পুরনো লাইনআপে ফিরছে ‘ব্ল্যাক’!
পুরনো লাইনআপে ফিরছে ‘ব্ল্যাক’!
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…