X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

আনন্দমুখর পরিবেশে পাবনায় সুচিত্রা সেনের জন্মবার্ষিকী পালন

পাবনা প্রতিনিধি
০৬ এপ্রিল ২০১৮, ২০:১১আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০১৮, ১৩:৪৮

পাবনা জেলা শহরে র‌্যালি। ছবি: বাংলা ট্রিবিউন আনন্দমুখর পরিবেশে পালন করা হয়েছে বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি মহানায়িকা পাবনার মেয়ে সুচিত্রা সেনের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে পাবনা জেলা প্রশাসন।
এ উপলক্ষে আজ (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে নয়টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিউর রহমান, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি শিবজিত নাগ, সম্পাদক আঁখিনূর ইসলাম রেমন, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতিন খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীমা আক্তার, সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ পাবনার সহ-সভাপতি ডা. রামদুলাল ভৌমিক।
পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন জেলার বিশিষ্ট শিল্পীরা। এছাড়াও পৈত্রিক বাড়িতে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালায় সকাল দশটা থেকে দিনব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।  
অনিন্দ্যসুন্দর মুখ, মূর্তিমতি লাবণ্য, সৌন্দর্য, আকর্ষণীয় শারীরিক গড়ন, ভুবন ভোলানো হাসি, দারুণ চাহনি ও অতুলনীয় অভিনয়ের সুবাদে কোটি কোটি দর্শকের মন কেড়েছিলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন। দুই বাংলার চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষের কাছে তিনি হয়ে উঠেছিলেন মহানায়িকা। আজ (৬ এপ্রিল) তার ৮৭তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল বাংলাদেশের বৃহত্তর পাবনার সিরাজগঞ্জ মহকুমার ভাঙাবাড়ি গ্রামে নানাবাড়িতে তার জন্ম। পর্দা-নাম সুচিত্রা সেন হলেও বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত আর মা ইন্দিরা দেবী মেয়ের নাম রেখেছিলেন রমা দাশগুপ্ত। পাবনার হেমসাগর লেনের বাড়িতে কেটেছে তার শৈশব-কৈশোর। এ বাড়ির প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে রয়েছে তার স্মৃতি।
আলোচনা সভা। ছবি: বাংলা ট্রিবিউন ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই উচ্চ আদালতের নির্দেশে দখলমুক্ত করা হয় সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়িটি। তারপর থেকে অনেকটা অবহেলা ও অযত্নে পড়ে আছে বাড়িটি। গত বছর তার জন্মবার্ষিকীতে কিছু ছবি দিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা করা হলেও তাতে সন্তুষ্ট নন দর্শনার্থীরা। বাড়িটিতে পূর্ণাঙ্গ ‘সুচিত্রা সেন স্মৃতি আর্কাইভ’ গড়ে তোলার সরকারি উদ্যোগে দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতি নেই— এমন অভিযোগ তুলে হতাশ স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
বাংলা ছবির এই মহানায়িকার জীবন স্বপ্নকাতর বাঙালির কাছে ছিল রূপকথা। তার চুল, চোখ, সাজগোজ ছিল বাঙালি মেয়েদের কাছে ফ্যাশনের সমার্থক। পাবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগে পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় চলে যেতে হয় তাকে। পরের বছর কলকাতার শিল্পপতি আদিনাথ সেন তনয় দিবানাথ সেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাদের ঘর আলো করেন একমাত্র মেয়ে মুনমুন সেন। সুচিত্রার দুই নাতনি রাইমা সেন ও রিয়া সেন।
১৯৫২ সালে ‘সুচিত্রা সেন’ নামে চলচ্চিত্রাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন রমা সেন। বাংলা চলচ্চিত্র সম্ভারে তার অভিনীত ছবির সংখ্যা ৫৩। আর হিন্দিতে ৭। সব মিলিয়ে ৬০। তার অভিনীত প্রথম ছবি ‘শেষ কোথায়’ মুক্তি পায়নি। মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি ‘সাত নম্বর কয়েদি’। তার জয়যাত্রা শুরু হয় ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ (১৯৫৪) মুক্তির পর থেকে।
দর্শকের কাছে সুচিত্রা সেন ছিলেন অধরা স্বপ্নের রানী। এখনও তা-ই আছেন। এভাবেই অমর থেকে যাবেন চিরকাল। প্রায় ৩৬ বছর তিনি ছিলেন লোকচক্ষুর আড়ালে। কলকাতায় একাকী থাকতেন বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে। স্বেচ্ছা নির্বাসনে গিয়ে রহস্যময়ী ছিলেন আমৃত্যু। অনেকদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ৮২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে যান সবার মনের মহানায়িকা। সুচিত্রা সেন ও তার স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি (ফাইল ছবি)

/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
পুরনো লাইনআপে ফিরছে ‘ব্ল্যাক’!
পুরনো লাইনআপে ফিরছে ‘ব্ল্যাক’!
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…