বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের পাঁচ বছরের সাজায় মনোক্ষুণ্ন ভক্তরা। তাদের মধ্যে খবরের শিরোনামে এলেন ভারতের পাটনায় বসবাসরত জোড়া বোন ফারাহ ও সাবা। নিজেদেরকে সল্লুর রাখী বোন মনে করেন তারা। তাই জোড়া বোনও ভাইয়ের সঙ্গে জেল খাটতে চায়।
ফারাহ ও সাবার বয়স এখন ২৩ বছর। তাদের চোখে সালমান নির্দোষ। ক্ষুব্ধ হয়ে ফারাহ বলেছেন, ‘ভাইজানকে বন্দি রাখা খুবই দুঃখজনক। আমাদেরকেও একই কারাগারে বন্দি করুন।’
জন্ম থেকেই ফারাহ ও সাবার মাথা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। পাটনার সামানপুরা এলাকায় তাদের বসবাস। নিয়মিত চিকিৎসার পরও জোড়া বোনের মাথা আলাদা করা সম্ভব হয়নি। তাদের কিডনি আর রক্তনালীও একই। দু’জনই নিজেদের সালমানের ভক্ত হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন।
আট বছর আগে সালমানের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাদের আকুল চাওয়ার কথা জানাজানি হয়। এরপর জোড়া বোনের জন্য উড়োজাহাজের টিকিট পাঠিয়ে দেন ও মুম্বাইয়ে থাকার ব্যবস্থা করেন ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ তারকা। এর সুবাদে স্বপ্নের শহরে আসার সুযোগ পায় ওই দুই মেয়ে।
রাখীবন্ধনের দিনে ফারাহ ও সাবার সঙ্গে দেখা করেন সালমান। সেদিন তার হাতে রাখী পরিয়ে দেন জোড়া বোন।
সাবা বলেছেন, ‘আমরা গত আট দিন ধরে তার জন্য প্রার্থনা করছি। আদালতের রায়ে আমরা হতবাক হয়েছি, কারণ ভাইজান অপরাধী নন।’
বোনের সঙ্গে একমত পোষণ করে ক্ষুব্ধ ফারাহ বললেন, ‘ভাইজান কখনও এই ধরনের অপরাধ করতে পারেন না। তিনি পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। এ কারণে তাকে জেলে যেতে হলো। আমরাও তার সঙ্গে কারাগারে থাকতে চাই। দয়া করে আমাদেরকেও জেলে বন্দি করুন।’
সালমান জামিন না পাওয়া অবধি দানাপানিও ছুঁয়ে দেখবেন না বলে জেদ ধরেছেন সাবা। ২০১৫ সালের মে মাসে মুম্বাই হাইকোর্টে বলিউডের এই অভিনেতার বিরুদ্ধে গাড়িচাপা দিয়ে পথচারী হত্যা মামলার শুনানির সময়ও উপবাস করেছিলেন জোড়া বোন।
বিপন্ন হরিণ শিকারের মামলায় সালমান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দেওয়ায় থমকে গেছে বলিউড। গত ৫ এপ্রিল বিকালে রাজস্থানের যোধপুর আদালত তাকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছেন। এরপর যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর তিনি পেয়েছেন ১০৬ নম্বর কয়েদির পরিচয়।