X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১
উঠেছে পঞ্চমীর চাঁদ

স্মরণীয় পাঁচ গান তৈরির গল্প

ইমরান মাহমুদুল, কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক
১৩ মে ২০১৮, ১২:০২আপডেট : ১৩ মে ২০১৮, ১৪:২৬

ইমরান মাহমুদুল। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে সংগীত পরিচালকের তুলনায় কণ্ঠশিল্পীর জীবন হয়তো অনেক সহজ ও অর্থবহ। তবে আমার কাছে বরাবরই মনে হয়েছে, একজন সংগীত পরিচালকই একটি গানের মূল নায়ক। গীতিকার, কণ্ঠশিল্পী, যন্ত্রীরা মিলে তাকে সঙ্গত করেন মাত্র। ফলে বাংলা ট্রিবিউনের চার পেরিয়ে ‘উঠেছে পঞ্চমীর চাঁদ’ আয়োজনে একজন ক্ষুদ্র সংগীত পরিচালক হিসেবে নিজের কিছু সুখস্মৃতি শেয়ার করার খেয়াল জেগেছে।   
সাবিনা ইয়াসমিন। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন সংগীত পরিচালক হিসেবে জীবনের প্রথম অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা হলো ২০১১ সালে। আমার সুর ও সংগীতে একটি দেশের গান করেছিলাম। গানটির নাম ‘সুপ্রিয় বাংলাদেশ’। কথা লিখেছিলেন রবিউল ইসলাম জীবন। এ পর্যন্ত ঠিকই আছে। কিন্তু আমার ছোট্ট সংগীত জীবনের প্রথম সেরা অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে গানটি যখন শ্রদ্ধেয় সাবিনা ইয়াসমিন ম্যাম কণ্ঠ দিয়েছেন! তখন আমার ক্যারিয়ারের একদম শুরু। সেই সময়ে উনার মতো একজন লিজেন্ডের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি, সেটা আমার জন্য অনেক বড় ইন্সপায়রেশন ছিল। এই গানটা আমার জন্য একটা সম্পদের মতো। কারণ, এটি করার পর আমি আত্মবিশ্বাস পেয়েছি সংগীত পরিচালনায়। এই এক্সপেরিয়েন্স আসলে ভোলার মতো না।
বাপ্পা মজুমদার। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন সংগীত পরিচালক হিসেবে আমার জীবনের দ্বিতীয় সেরা ঘটনা হলো বাপ্পা দা’কে ঘিরে। আমার কম্পোজিশনে  তিনি যখন প্রথম গাইলেন, এটা তখন আমার জন্য বিশাল ব্যাপার ছিল। কারণ, আমার জীবনের প্রথম মৌলিক গানই তার সংগীতে করা। আমি প্রথম মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়াই বাপ্পা দা’র স্টুডিওতে, তার সামনে। তো সেই মানুষটার জন্য যখন আমি একটা গান করি, সেটা সত্যিই অন্যরকম অনুভূতির বিষয়। গানটির নাম ‘একি মায়া’। স্নেহাশীষ ঘোষের কথায় এটিতে বাপ্পা দা’র সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন ন্যানসি।
কুমার বিশ্বজিৎ। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন এতো অল্প সময়ে জীবনের তৃতীয় বড় অর্জন হলো শ্রদ্ধেয় কুমার বিশ্বজিৎ দাদার জন্য গান করা। গানটি হলো ‘তোমার প্রয়োজন’। লিখেছেন স্নেহাশীষ ঘোষ। এই গানটিও ন্যানসির সঙ্গে দ্বৈত। দাদার এই গানটি নিয়ে আমি উচ্ছ্বসিত হওয়ার কারণ, সবাই জানেন আমি একটি রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি ২০০৮ সালে। সেই প্রতিযোগিতায় আমি প্রথম ইয়েস কার্ড পাই দাদার গান করে। মনে আছে, গানটি ছিল ‘যে শিকারী দেখে দেখে না’। সেই গান, সেই ইয়েসকার্ড পাওয়ার স্মৃতি আসলে মুছে ফেলা যাবে না। তো যেই দাদার গান গেয়ে জীবনে প্রথম ইয়েসকার্ড পেলাম পরে সেই দাদার জন্যই গান করা- এরচেয়ে সৌভাগ্যবান আর কী হতে পারে? সত্যি বলতে এই গানটি যখন তৈরি করছিলাম তখন আমি একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম।
তাহসান খান। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন এর পরের ভালো লাগার বিষয় তাহসান ভাই। রবিউল ইসলাম জীবনের কথায় ‘কেউ না জানুক’ শিরোনামের গানটি করলাম তাহসান ভাইয়ের জন্য। গানটির বয়সও বেশি না। ২০১৬ সালে প্রকাশ পেয়েছে। এই গানটি এই তালিকায় আনার কারণ, তার জন্য এটা আমার প্রথম গান। এবং গানটি খুবই জনপ্রিয় হয়। মনে পড়ে, আমি যখন কলেজে পড়তাম তখন উনার গান প্রচুর শুনতাম, গাইতাম। সেই মানুষটির জন্য একটি গান করে সেটি মানুষকে সফলভাবে শোনাতে পারা বড় তৃপ্তির বিষয়। এই গানটির ভিডিও ইউটিউবেও বেশ হিট, কোটি ভিউ পার করেছে। তো এসব আসলে খুব ভালো লাগার বিষয়।
পালাক মুচ্ছাল। ছবি: সংগৃহীত আমার ছোট্ট সংগীত পরিচালনা জীবনের সেরা পাঁচটি গান-ঘটনার মধ্যে জড়িয়ে আছে বলিউড-ও! এখন সেখানকার অনেক জনপ্রিয় শিল্পীদের অন্যতম পালাক মুচ্ছাল। তো ওর জন্য একটা গান করার সুযোগ হয়েছে আমার। তার সঙ্গে আমিও কণ্ঠ দিয়েছি। নাম ‘সবাই চলে যাবে’, এটি লিখেছেন শ্রদ্ধেয় গীতিকবি জুলফিকার রাসেল ভাই। এই কাজটি আমার অনেক ভালো লাগার বিষয়। পালাক আমার অনেক পছন্দের একজন সিঙ্গার। তো তার জন্য একটা গান করতে পারা, নিশ্চয়ই অনাকাক্ষিত আনন্দ পাওয়ার মতো বিষয়। কারণ, সে তো আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কেউ নন। যাহোক এই গানটির অডিও-ভিডিও থেকে দারুণ সাড়া পেয়েছি। বাংলাদেশে তো বটেই, কলকাতার মানুষের মুখেও এই গানটির নাম শুনছি। এবং আমার অনেক হিট গানের ভিড়ে এই গানটি আলাদা স্বাক্ষর বহন করবে- আসল আমাকে চেনাতে।
অনুলিখন: মাহমুদ মানজুর

/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী